প্রথম আলো বন্ধুসভা প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ইউসিবি নিবেদিত ‘বন্ধুর গান প্রতিযোগিতা ২০২৫’। সারা দেশের প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে তিন ধাপে নানা যাচাই–বাছাইয়ের পর গত শনিবার প্রথম আলোর ডিজিটাল স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পর্ব। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সাভারের সরকার একান্ত ঐতিহ্য, প্রথম রানারআপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজওয়ানুল কবির, দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন জামালপুর বন্ধুসভার সাদিকুর রহমান। তাঁদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া আরও সাতজনকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।

বেসরকারি ব্যাংক ইউসিবির পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত চূড়ান্ত পর্বে বিচারক ছিলেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির সংগীত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক প্রদীপ কুমার নন্দী, চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ-২০০৮ বিজয়ী জানিতা আহমেদ ঝিলিক এবং চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সিঁথি সাহা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের নির্বাহী সভাপতি মৌসুমী মৌ।

বিচারক প্রদীপ কুমার নন্দী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি লালনে আমরা যে দায়িত্ব পালন করছি, সেটির একটি অংশ বন্ধুসভার এ প্রতিযোগিতা।’ এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কিছু গুণী ও মেধাবী শিল্পী উঠে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সিঁথি সাহা। জানিতা আহমেদ ঝিলিক বলেন, ‘যদি চর্চা অব্যাহত রাখে, ভবিষ্যতে এরা অনেক ভালো কিছু করতে পারবে।’

আরও পড়ুনবন্ধুসভার জাতীয় সমাবেশ চ্যানেল আইতে২৪ ডিসেম্বর ২০১০

এ প্রতিযোগিতায় মেন্টর ছিলেন ছায়ানটের শিল্পী ও ছায়াবীথির সংগীত প্রশিক্ষক তাপসী রায়। চূড়ান্ত পর্বের তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রথম আলোর হেড অব কালচারাল প্রোগ্রাম ও গীতিকার কবির বকুল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ড় ন ত পর ব প রথম আল

এছাড়াও পড়ুন:

৩ দফা দাবিতে ঢাবির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করলেন ডাকসু নেতারা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) তহবিলের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রকাশ ও বরাদ্দকৃত অর্থ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেন ডাকসু ও হল সংসদ নেতারা। একপর্যায়ে তাঁরা ভবনের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কক্ষে গিয়ে স্লোগান দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদের আশ্বাসে তাঁরা ফিরে যান।

আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে ডাকসু নেতারা রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন হল সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো, ২০১৯ সালের পর থেকে ডাকসু ও হল সংসদ ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ ডাকসুর কাছে হস্তান্তর এবং অতীতের সব তহবিলের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রকাশ করে স্বচ্ছ বাজেট প্রণয়ন, ক্যাম্পাস থেকে ভবঘুরে, টোকাই ও মাদক চক্র নির্মূলের মাধ্যমে নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানবিরোধী মিছিলে অংশ নেওয়া ডেপুটি রেজিস্ট্রার রুহুল আমিনসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক–কর্মকর্তাদের অপসারণ ও বিচারের আওতায় আনা।

ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাস পার হয়ে গেলেও এখনো বাজেট হস্তান্তর করা হয়নি। এর ফলে আমাদেরকেই শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। গতকাল শনিবার আমরা ক্যাম্পাস থেকে হকারদের সরালে বাম সংগঠনগুলো বহিরাগত এনে মিছিল করেছে। অথচ প্রশাসন তখনো নির্লিপ্ত থেকেছে।’

মুসাদ্দেক আলী আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট কোষাধ্যক্ষ অফিসের কর্মকর্তা রুহুল আমিন খুনি হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছিলেন। এখনো তিনি স্বাভাবিকভাবে অফিস করছেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য চরম লজ্জার।

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ক্যাম্পাসকে টোকাই ও মাদক চক্রমুক্ত করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ