দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ভোটের মাত্র পাঁচ দিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন–১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডকে জানানো হয়।

গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.

সারওয়ার আলম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে প্রাক্তন পরিচালক ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুজ্জামান দুলু ও কয়েকজন সদস্যের পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন স্থগিত ও পুনঃতফসিলের জন্য মত দেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়েছে, সদস্যপদ যাচাই–বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগের কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১ নভেম্বর দি সিলেট চেম্বারের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন যাচাইসহ নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। নির্বাচনে দুইটি প্যানেল সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের প্রার্থী এহতাশেমূল হক চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এমন সময়ে এসে নির্বাচন স্থগিতের মতো কোনো যৌক্তিক কারণ আমি দেখি না। ভোটার তালিকায় কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন চাই। কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ ব্যবসায়ীরা মেনে নেবে না। এটি স্পষ্টতই একটি ষড়যন্ত্র।”

সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলি আহমদ বলেন, “নির্বাচন কমিশনে এর আগেও কিছু ব্যক্তি ভোটার তালিকায় অসঙ্গতির অভিযোগ করেছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে সেসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এরপরও নতুন করে সেই একই অজুহাতে নির্বাচন স্থগিত করা নিঃসন্দেহে ষড়যন্ত্র। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আশা করি, নির্ধারিত সময়েই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।”

ঢাকা/নূর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হলে জনগণ তা মেনে নেবে না: সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কোনো দল বা ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আমরা চাই ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই নির্বাচন হোক। এর ব্যত্যয় ঘটলে জনগণ তা মেনে নেবে না। দেশজুড়ে নির্বাচনের সময় পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। যারা নির্বাচন নির্বাচন জিকির করত, তারাই এখন নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। কারণ, তারা মাঠপর্যায়ে জরিপ করে দেখেছে, তাদের পায়ের নিচের মাটি খালি হয়ে গেছে।’

জনগণ জুলুম ও অত্যাচার চায় না উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আর চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে টাকা পাচারকারীদের ভোট দিতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ আপসে একসঙ্গে বসবাস করতে চায়, ব্যবসা করতে চায়, চাঁদামুক্ত পরিবেশ চায়। মেয়েরা কী চায়? তারা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করবে, ধর্ষণ বা ইভ টিজিংয়ের শিকার না হয়—এ রকম একটি আস্থার পরিবেশ চায়। জনগণ যেটা চায়, আমরা তাদের সেটা দিতে চাই। ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা হলে দেশে একজনও না খেয়ে থাকবে না, বস্ত্রহীন থাকবে না। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম, আগামী ১০ বছরে সব গরিব দারিদ্র্যসীমার ওপরে চলে যাবে।’

বিগত সময়ে কারচুপি, পেশিশক্তি ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে ফয়জুল করীম বলেন, দেশের মানুষ একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়, যেখানে পেশিশক্তির প্রভাব থাকবে না, কালোটাকার প্রভাব থাকবে না এবং প্রত্যেকে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে—এমন নির্বাচন আমরা প্রত্যাশা করছি। আসন্ন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে না পারে, তাহলে জনগণ এই সরকারকে ক্ষমা করবে না। কোনো পক্ষ দখল বা সহিংসতার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নারায়ণগঞ্জ-৪–এর আহ্বায়ক মুহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, নগর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী মাওলানা ইসমাঈল সিরাজি, জেলা সভাপতি মাওলানা মো. দ্বীন ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির আতিকুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে সরকার মামলা প্রত্যাহার করেছে, তাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছি, এটা অবিশ্বাস্য: আদালতে শওকত মাহমুদ
  • নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হলে জনগণ তা মেনে নেবে না: সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম
  • বিএনপি প্রার্থী মোশারফের অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, থানায় জিডি