কুষ্টিয়ায় সিভিল সার্জন অফিসের জনবল নিয়োগের পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার একটি টিম সিভিল সার্জন অফিসে যায়। পরে দুপুর ১২টায় স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপর্যায়ের টিম অভিযোগ তদন্তে ওই কার্যালয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

দেশে অ্যান্টিভেনম ও অ্যান্টি র‍্যাবিক্স ভ্যাকসিন তৈরি হবে: সায়েদুর

পটুয়াখালীতে বরফ কলের গ্যাস ছড়িয়ে অসুস্থ ২০ 

এ সময় উভয় টিমের সদস্যরা সিভিল সার্জন ডা.

শেখ মো. কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে দুদক টিমের সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের টিমে নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী। দুদকের টিমের নেতৃত্বে ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২৫ অক্টোবর) কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্র জনতা এবং রবিবার (২৬ অক্টোবর) কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটিতে আরো রয়েছেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি (সদস্য) এবং ঢাকা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (সদস্য সচিব)। তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটি রিপোর্ট দেবেন বলে জানান সভাপতি অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী।
 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন য় গ পর ক ষ সদস য তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৪  

বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ নারীসহ ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আহত পুলিশ সদস্য জনী (৩৫)কে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।  বর্তমানে সে বন্দর থানার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩০) একই এলাকার মৃত মনির হোসেনের মেয়ে ও রবিউল ইসলামের স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী মুন্নি আক্তার (২৭) সোনাকান্দা বেপারীপাড়া এলাকার নুরুল আমিন মিয়ার মেয়ে  ফারজানা আক্তার (২৫) ও একই এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে ও সোহেল মিয়ার স্ত্রী সুমা (২২)।

এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি উপ-পরিদর্শক সৈয়দ জাকির হোসেন  বাদী হয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারকৃত ৪ হামলাকারিসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও  আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার (১৬ অক্টোবর)  রাত ১০টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

থানার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  রোববার রাতে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় মাদক উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা কালে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরাসহ অজ্ঞাত নামা মাদক কারবারিরা পুলিশের উপর লক্ষ করে অতর্কিত হামলা চালায়।  ওই সময় হামলাকারিরা পুলিশ সদস্য জনীক বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।  তারা দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।

এর ধারাবাহিকতা গত ১৫ অক্টোবর   রাত ৮টায় বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে শওকত  মিয়া কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বন্দর থানাধীন দড়ি সোনাকান্দা বেপারীপাড়া সাকিনস্থ ধৃত লেডী সন্ত্রাসী  মুন্নী বেগমের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র বিবাদী মুন্নীসহ অন্যান্য বিবাদীগন পথ গতিরোধ
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শওকতের নিকট  ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

আমি বিবাদীদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিবাদীগন আমাকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ