সন্ধ্যায় উইন্ডিজের ঝড়, রাতে বাংলাদেশের ‘নিরামিষ’ ব্যাটিংয়ে হার
Published: 27th, October 2025 GMT
একই মাঠ। একই উইকেট। অথচ ব্যাটিংয়ে কেমন রাত-দিনের তফাৎ। সন্ধ্যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্রেফ ৩ ওভারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওলটপালট স্কোরবোর্ড। ওই ঝড়টাই যেন এলোমেলো করে দিলো মনোবল, আত্মবিশ্বাস।
জবাব দিতে নেমে রাতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পথে পথে হোঁচট খেল। একটু মাথা তুলে দাঁড়ায় তো, আবার ঝাঁকুনি খেয়ে নিচে পড়ে। ফলাফল ম্যাচ হার।
আরো পড়ুন:
দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে ১৬ রানে হারল বাংলাদেশ
খেলা চলাকালিন মারা গেলেন বরিশাল দলের ফিজিও হাসান আহমেদ
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অতিথিরা মাত্র ৩ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে। বাংলাদেশের ইনিংস আটকে যায় ১৪৯ রানে।
ওয়ানডে সিরিজ জেতার কারণে বাংলাদেশের থেকে প্রত্যাশা ছিল বেশি। তাইতো চট্টগ্রামের দর্শকরা দলকে উজ্জীবিত করতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন। মিরপুর শের-ই-বাংলায় দর্শক খরা ছিল। চট্টগ্রামের গ্যালারি ছিল প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ। যা নিশ্চিতভাবেই আয়োজকদেরও স্বস্তি এনে দেবে। কিন্তু মাঠের ক্রিকেট! তা নিশ্চিতভাবেই মন ভরাতে পারেনি দর্শকদের।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল বড় সংগ্রহ পাওয়া। তাদের শুরুর ব্যাটিং সেই বার্তাই দিচ্ছিল। কিন্তু মাঝের ওভারে স্বাগতিক বোলাররা তাদের রানের চাকায় লাগাম টানেন। কিন্তু শেষের ঝড়ে স্বস্তির পুঁজি পায় অতিথিরা।
রোভমান পাওয়েল ও শেই হোপ শেষ ৩ ওভারে ৫১ রান পায়। তাসকিন আহমেদ ১৮তম ওভারে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান দিয়ে তাদের হাত খুলে দেন। পরের ওভারে মোস্তাফিজ দেন ১৪ রান। শেষ ওভারে ছক্কার হ্যাটট্রিক হজম করেন তানজিম হাসান। সব মিলিয়ে ২২ রান দিয়ে তার বোলিং স্পেল শেষ করেন বিনা উইকেটে ৪৭ রান দিয়ে।
অধিনায়ক হোপ ২৮ বলে ৪৬ রান করেন ১ চার ও ৪ ছক্কায়। সমান বলে রোভমান পাওয়েল ৪৪ রান করেন সমান ১ চার ও ৪ ছক্কায়। চতুর্থ উইকেটে তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে যোগ হয় ৪৬ বলে ৮৩ রান।
এর আগে দুই ওপেনার আলিক আথানজে ও ব্রেন্ডন কিং ৫৯ রান করেন। দুজনই ত্রিশের ঘরে গিয়ে আউট হন। আথানজে ২৭ বলে ৩৪ রান করেন। কিং ৩৬ বলে করেন ৩৩ রান। চারে নামা রাদারফোর্ড খুলতে পারেননি রানের খাতা।
বোলারদের মধ্যে তাসকিন ৩৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে ছিলেন সেরা। রিশাদ ৪০ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই খানিকটা সময় ছন্দ পাওয়া সেটাই পুরোপুরি আগলে নেওয়া। হোপ ও পাওয়েল শেষ ৩ ওভারে যা করেছেন সেটাই এই ফরম্যাটের আসল মজা। সেখানে বাংলাদেশের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যান ৫৭ রানে। শতরানের আগে সাজঘরের পথে আরো ১ ব্যাটসম্যান। মানে লড়াইয়ের আগেই ম্যাচের এপিটাফ লিখা হয়ে যায়!
নিবেদন, আবেদন সবটাই তো শেষ। ব্যাটসম্যানদের ফেরার ধরনগুলো প্রায় একই রকম। তানজিদ ৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রান করে উইকেট বিসর্জন দিয়ে আসেন। ফেরার ম্যাচে লিটন করেন মাত্র ৫ রান। ফিরতি ক্যাচ দেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে। ফর্মে থাকা সাইফ সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে শেফার্ডের তালুবন্দি হন ৮ রানে। শামীম বল উইকেটে টেনে বোল্ড। আর সোহান উইকেট থেকে সরে শট খেলতে গিয়ে পিয়েরের শিকার হন। কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তারপরও ২৫ বলে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
এরপর লেজের ব্যাটসম্যানদের কেবল ম্যাচটা টেনে বড় করার লড়াই। যেখানে তারা সফল। দলের সর্বোচ্চ স্কোরার তানজিম ২৭ বলে ৩৩ রান করেন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কা তার ব্যাটে। হোল্ডারের বল সীমানা তাড়া করতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে তালুবন্দি হন। তাকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাটিং করা নাসুম ১৩ বলে ২০ রান করেন ৩ চার ও ১ ছক্কায়। দলের সবচেয়ে বড় জুটিটা আসে তাদের ব্যাটে, ২৩ বলে ৪০ রান।
তাসকিন-মোস্তাফিজ এসে যথাক্রমে ১০ ও ১১ রান তুলে দর্শকদের আশা দেখালেও ক্যারিবীয়ানদের বোলিংয়ে আর পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ।
সিলস ও হোল্ডার ৩টি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছেন। ২ উইকেট পেয়েছেন আকিল।
বোলিং ও ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডিং ছিল দারুণ। সীমানায় দুয়েকটি নিশ্চিত বাউন্ডারি বাঁচিয়েছেন তারা। ক্যাচ লুফেছেন দারুণভাবে। যা দলকে জেতাতে বড় সাহায্য করেছে।
২৯ অক্টোবর একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। বাংলাদেশ সিরিজটা বাঁচাতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন ইন ড জ র ছক ক য় য টসম উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনা জেলা পরিষদে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে চাকরির সুযোগ
পাবনা জেলা পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পাঁচটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদন করতে হবে ডাকযোগে। আবেদনের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৬।
পদের নাম ও বিবরণ১. হিসাবরক্ষক
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে অভিজ্ঞতা।
বেতন–ভাতা: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
২. সাঁটলিপিকার
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং তৎসহ ইংরেজিতে দ্রুতলিপি প্রতি মিনিটে ১০০ শব্দ এবং মুদ্রাক্ষরিক প্রতি মিনিটে ৫০ শব্দ এবং বাংলায় দ্রুতলিপি প্রতি মিনিটে ৭০ শব্দ ও মুদ্রাক্ষরিক প্রতি মিনিটে ৩৫ শব্দের যোগ্যতাসহ কম্পিউটার চালনায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে এবং বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।
বেতন-ভাতা: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
আরও পড়ুনপরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২৭ পদের চাকরি পেতে আর কত অপেক্ষা১১ ডিসেম্বর ২০২৫৩. পরিবহনচালক
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: হালকা যান চালনায় বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে এবং ইংরেজি ও বাংলা শব্দ পড়িবার সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।
বেতন-ভাতা: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৪. ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর কাম-দপ্তরি
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা তৎসহ মেশিন চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা।
বেতন-ভাতা: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)
৫. অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন-ভাতা: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
আরও পড়ুনসকালের অ্যালার্ম, না ফোনভীতি? জেন–জিরা কর্মজীবনের চ্যালেঞ্জ জয় করবেন যেভাবে১১ ডিসেম্বর ২০২৫বয়সসীমা১১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
আবেদনের নিয়মআবেদনকারী নিজের হাতে লিখিত নির্ধারিত আবেদন ফরম ডাকযোগে ১১/০১/২০২৬ তারিখ অফিস চলাকালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, পাবনা বরাবর পৌঁছাতে হবে। সরাসরি কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। নির্ধারিত আবেদন ফরম জেলা পরিষদ, পাবনার ওয়েবসাইট এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopa.gov.bd) বা (www.forms.gov.bd) এ পাওয়া যাবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ১০ (দশ) টাকার ডাকটিকিট–সংবলিত আবেদনকারীর নাম ঠিকানা লিখে ফেরত খাম সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদন ফি১–৩ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা;
৪ ও ৫ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ১১ জানুয়ারি ২০২৬
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষা ২ জানুয়ারি১০ ডিসেম্বর ২০২৫