টপ অর্ডার ব্যর্থ, লড়াই করেও পারলেন না নাসুম–তানজিম
Published: 27th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম টি-টোয়েন্টি
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৫/৩
বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৪৯
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ রানে জয়ী।
শুধু আফসোসটাই বাড়িয়ে গেলেন নাসুম আহমেদ আর তানজিম হাসান। শেষ দিকে তাঁরা ম্যাচটা এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখান থেকে ৪ ওভারে দরকার ছিল ৪৭ রান। টি–টোয়েন্টিতে এই সমীকরণ তো মেলানোই যায়। হাতে উইকেট থাকলে চট্টগ্রামের উইকেটে তা সম্ভবও ছিল। কিন্তু সে সম্ভাবনা যে শেষ করে দিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরাই।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামজুড়ে আজ যেন টি–টোয়েন্টির উৎসব লেগেছিল। প্রায় গ্যালারিভর্তি দর্শক, প্রতিটি চার–ছক্কায় বাড়তি উচ্ছ্বাস। উইকেটও রান করার জন্য দারুণ উপযোগী ছিল। কিন্তু সেই রঙিন মঞ্চই বিবর্ণ হয়ে গেল, যখন ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৫৭ রানেই ৫ উইকেট হারাল। শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকি থাকতে অলআউট ১৪৯ রানে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরে গেল ১৬ রানে।
ম্যাচের ছকটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাজিয়েছিল যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তায়। ওপেনাররা ধীরে শুরু করে গড়েছিলেন শক্ত ভিত। পরে রোভম্যান পাওয়েল আর শাই হোপ দলের রানটা জেতার মতো জায়গায় নিয়ে যান। আর পরে তাঁদের নিখুঁত বোলিং ও ফিল্ডিং লিখে দিয়েছে ম্যাচের গল্প।
প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৬ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে আসে ৩৫ রান। এই সময়টায় ক্যারিবীয় ওপেনারদের চেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন বাংলাদেশের স্পিনার নাসুম আহমেদ। পাওয়ারপ্লেতে দুই ফিল্ডার বাইরে থাকার পরও ২ ওভার বল করে দেন মাত্র ৪ রান।
পাওয়ারপ্লেতে দারুণ বোলিং করেন নাসুম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকার স্বীকৃতি পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা
ফ্যাসিবাদী শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস–২০২৫ উপলক্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে খাদিজাতুল কুবরাকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
২০২০ সালের অক্টোবরে এক ফেসবুক ওয়েবিনারে অতিথির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে খাদিজাতুল কুবরা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা এই মামলায় ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১৪ মাস কারাগারে থাকার পর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর মুক্তি পান।
এ বিষয়ে খাদিজাতুল কুবরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এখন কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারব এই ভেবে যে আমি হারিয়ে যাইনি। আপনারা আমাকে মনে রেখেছেন ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমার পাশে আপনারা সব সময় থাকবেন এবং সাহায্য করে যাবেন। সব সময় বলে এসেছি এবং এখনো বলি, আমি ও আমরা চেষ্টা করব যাতে আমার মতো কারও মানবাধিকার ক্ষুণ্ন না হয়, কেউ যাতে কোনো নির্যাতনের শিকার না হয়, দেশে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয়। সবকিছুর উন্নয়নে কাজ করে যাব আমরা।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রইছ্ উদ্দীন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোশাররাফ হোসেন।