আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলটির তৃণমূল পর্যায়ের পাঁচ বিভাগ ও বগুড়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঞ্চালনায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রতিটি বৈঠকেই সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, সিলেট বিভাগ ও বগুড়া জেলার নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয়েছে। বিকেল চারটা থেকে শুরু হয়ে রাত আটটায় ঢাকা বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এসব বৈঠক শেষ হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত সিলেট ও খুলনা বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি দ্রুত ৩০০টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বিএনপি ও দেশের বিরুদ্ধে বিশাল ষড়যন্ত্র চলছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাঁকেই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে, তাঁর পক্ষেই অপর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, বৈঠকে সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনের ৬৬ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী উপস্থিত ছিলেন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করার নির্দেশনাও দেন।

দলটির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে দুই শতাধিক আসনে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে। কয়েক দিনের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

এর আগে ২৫ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমরা দুই শতাধিক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। খুব শিগগির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব প্রার্থীকে নির্বাচনপ্রস্তুতির জন্য গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে। দুই-তিন দিনের মধ্যে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে।’

দলীয় প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে দুই শতাধিক আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন। বাকি আসনগুলোর মনোনয়ন নিয়েও কাজ চলছে। এর মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ও জোট শরিকদের আসনও রয়েছে।

এর আগে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের ফোন করে নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ধারাবাহিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে আজ গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক ব এনপ র ম কম ট র পর য য় দলট র

এছাড়াও পড়ুন:

সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেন এক কর্মী

বিএনপির ৩১ দফার প্রচার ও ধানের শীষের পক্ষে সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ওই নির্বাচনী এলাকায় দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা। একপর্যায়ে কর্মীরা তাঁকে টাকার ফুল ও মালা গলায় দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তখন এক কর্মী ওই নেতাকে নির্বাচনের খরচের জন্য ১০ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারে শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
৩১ দফার প্রচারণার ঘোষণা থাকলেও এটি ছিল মূলত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলের নির্বাচনী সমাবেশ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশ শুরুর পর একপর্যায়ে কামরুজ্জামানকে ফুল, টাকার মালা গলায় পরিয়ে দেন কিছু নেতা-কর্মী। তখন মঞ্চে উঠে নূর কাশেম নামের একজন কর্মী কামরুজ্জামানের হাতে একটি চেক তুলে দেন। কামরুল সেটি হাতে নিয়ে দেখেন ১০ লাখ টাকার চেক। পরে তিনি চেকটি সমাবেশে উপস্থিত দলের নেতা-কর্মীদের দেখান।

কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের ওই কর্মীর সঙ্গে আমার আগে পরিচয় হয়নি। তিনি চেকটি আমার হাতে দিয়ে কাল (রোববার) ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। মানুষের ভালোবাসায় আমি অভিভূত।’ মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি ধানের শীষের কথা বলছি। ধানের শীষে ভোট চাইছি। জনগণ পাশে থাকলে আমি এখানে মনোনয়ন পাব বলে বিশ্বাস করি।’

জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম মাহমুদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে কামরুজ্জামান ছাড়াও বক্তব্য দেন উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহীনুর রহমান, জুলফিকার চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরী (তৌফিক) ও সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুনাব আলী, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হক প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) কামরুজ্জামান ছাড়াও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও তাহিপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা হামিদুল হক আফিন্দী, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুল মোতালেব খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে ‘ঐক্যের বার্তা’ পেলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
  • বগুড়ার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি, কাল বৈঠক
  • ১০ লাখ টাকার সেই চেক কর্মীকে ফেরত দিলেন বিএনপি নেতা
  • বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দেওয়া কর্মীর অ্যাকাউন্টে আছে ৩৪১২ টাকা
  • খুলনার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি, ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠক করবেন তারেক রহমান
  • সমাবেশ মঞ্চে কর্মীর দেওয়া ১০ লাখ টাকার সেই চেক ফেরত দেবেন বিএনপি নেতা
  • বোয়ালমারীতে বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে এক পক্ষের আনন্দ মিছিল, অন্য পক্ষের বিক্ষোভ
  • সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেন এক কর্মী
  • নির্বাচনী প্রস্তুতিতেই এখন পূর্ণ মনোনিবেশ বিএনপির