আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। 

পদত্যাগ করা এই নেতার নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। তিনি বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তার বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্য পদ পেয়েছিলেন। পরিমল চন্দ্র এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের ৫৯ নেতার পদত্যাগ

সংবাদ সম্মেলন করে দল ছাড়লেন আ.

লীগ নেতা

পদত্যাগপত্রে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, “সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।”

যোগাযোগ করা হলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, “আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।”

এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প পদত য গ য গ কর এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

চার কিশোরের আগুন নেভানোর স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র

পত্রিকা কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলে দেখা যায় অগ্নিদুর্ঘটনা। অগ্নিদুর্ঘটনার কারণে প্রতিবছর হারিয়ে যাচ্ছে বহু জীবন ও মূল্যবান সম্পদ। এই ভয়াবহতাকে প্রযুক্তির মাধ্যমে রুখে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে কুমিল্লার চারজন কিশোর। কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতির নিরলস প্রচেষ্টায় তারা তৈরি করেছে এক বিস্ময়কর বিজ্ঞান প্রকল্প। তাদের এই প্রকল্পের নাম অটোমেটেড ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা স্বয়ংক্রিয় আগুন নেভানোর যন্ত্র। এই যন্ত্র অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নিভিয়ে দিতে সক্ষম।

কুমিল্লা শহরের চার খুদে বিজ্ঞানীর দল ‘ব্লেজ স্কেপ’ এই প্রকল্প তৈরি করেছে। দলের সদস্যরা হলো আবদুল্লাহ আজিম (দলনেতা), সাদমান চৌধুরী, নাহিদুল ইসলাম ও সাবির ফারহান হক। সবাই কুমিল্লার এথনিকা স্কুল ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের এ প্রকল্প সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এরপর নিজ স্কুলের বিজ্ঞান মেলায় সেরা প্রকল্পের পুরস্কার জিতে নেয় তারা।

অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রটির কার্যকারিতা

ব্লেজ স্কেপের তৈরি স্বয়ংক্রিয় ফায়ার এক্সটিংগুইশারটি একটি সহজ কিন্তু কার্যকর প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হবে। এতে একটি তাপমাত্রা সংবেদনশীল সেন্সর ব্যবহার করা হবে। যখন কোনো কক্ষে তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট বিপৎসীমা অতিক্রম করে যা আগুনের উপস্থিতি নির্দেশ করে তখন সেন্সরটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভানোর উপাদান, যেমন পানি বা রাসায়নিক ফোম নির্গত করতে শুরু করে। এটি বিশেষত বন্ধ কক্ষ, সার্ভার রুম বা এমন বদ্ধ জায়গায় অত্যন্ত কার্যকর বলে জানায় খুদে বিজ্ঞানীরা। যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে মানুষের পক্ষে পৌঁছানো কঠিন, সেসব এলাকায় অগ্নিনির্বাপণের এই উদ্ভাবন কাজে আসবে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পে রোবট ও ড্রোন ব্যবহার করে উন্নত করার সুযোগ থাকবে বলে জানায় খুদে বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞান মেলায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রটির কার্যকারিতা তুলে ধরেছে খুদে বিজ্ঞানীরা। বাঁ থেকে আবদুল্লাহ আজিম, সাবির ফারহান হক, সাদমান চৌধুরী, নাহিদুল ইসলাম ও বিচারক ঝলক ঘোষ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ