আওয়ামী লীগ যা করেছে আমরা সেটা করবো না এই অঙ্গিকার নিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে নগরের কালীরবাজার ফ্রেন্ডস মার্কেট, চারারগোপ এলাকায় ওষুধ মার্কেট ও সাধারণ দোকানদার ও আগত ক্রেতাদের কাছে ৩১ দফাল লিফলেট ও আগামীর বাংলাদেশ গঠনে তারেক রহমানের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নেতা তারেক বলেছেন তারা রাষ্ট্রক্ষমতা চায়না। এবার তারা চায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে। জনগণের সেবার দায়িত্ব নিতে।

আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে দেশের মানুষের হক যেভাবে নষ্ট করেছে, আদালত, থানা থেকে শুরু করে মসজিদ ও মার্কেট কমিটি গুলোও তারা দখলে রেখে ধ্বংস করে দিয়েছে।

এসব থেকে উদ্ধার পেতে আমরা ধানের শীষ মার্কায় ভোট চাই। মানুষ বলতে পারে আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল আপনারা একটি রাজনৈতিক দল তাহলে আপনাদের কেন ভোট দিবো।

আমি বলতে চাই আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে যা যা করেছে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে তা করবে না। আওয়ামী লীগ যা করেছে আমরা সেটা করবো না।

তাহলে বাংলাদেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে। এদেশকে একটি খুন গুম মুক্ত মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করবে তারেক রহমান। রাষ্ট্রের কোন বাহিনী কখনো কোন মায়ের সন্তানকে খুন গুম করবেনা।

বিএনপির নেতাকর্মীরা কারো হক নষ্ট করবে না। তারেক রহমান আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যারাই সীমা লঙ্গন করবে কারো হক নষ্ট করবে তারা বিএনপির কেউ না।

সীমা লঙ্গনকারী কেউ পাড় পাবে না সে যত বড় নেতাই হোক। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এদেশে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবেনা। হুমকি ধামকি করে নেতা হওয়ার বড় ভাব দেখিয়ে নেতা হওয়া যাবেনা। মানুষের ভালবাসা নিয়েই ভোট আদায় করতে হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার মাহমুদ বকুল, মো.

মিঠু, মুছা মিয়া, মোশারফ, নাহিদ, মনির হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান

বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।

ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্‌ক্‌ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।

প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।

রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫

ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।

পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক

হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।

আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ