নভেম্বরের মধ্যে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে ইসিতে জামায়াতসহ সাত দল
Published: 30th, October 2025 GMT
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট করাসহ পাঁচ দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ সাতটি দল।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয় হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি। আমরা দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছি।
কোনো কোনো দল জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একদিনে আয়োজনের প্রস্তাব করেছে উল্লেখ করে এই জামায়াত নেতা বলেন, 'ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হোক, কিন্তু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের যে চেতনা, ছাত্রজনতার রক্তের যে স্বীকৃতি আমাদের দিতে হবে, সে জন্য জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একদিনে নয়।'
সংশোধিত আরপিওর আলোকে জাতীয় নির্বাচন ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতেও দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে বলে জানান এই জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো দল আরপিওকে সংসদে আনার কথা বলেছে। আমরা মনে করি, আরপিও যেটা উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করেছে, এটাকে কোনো কাঁট ছাঁট করা যাবে না।'
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিসহ (জাগপা), নেজামে ইসলাম পার্টি, ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেট্রো স্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে আসে। সেখানে দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ।
দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। নেতারা বলেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নই এখন সময়ের দাবি।
পরে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও ঢাকা-১৩ আসনে জামায়াত সমর্থিত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোবারক হোসাইন। মিছিলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের গুলিতে নিহত মুম্বাইয়ে ১৭ শিশুকে জিম্মিকারী
পুলিশের গুলিতে শেষ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের একটি স্টুডিওতে ১৭ শিশুকে জিম্মি করে রাখা যুবক রোহিত আর্য। বৃহস্পতিবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুদের উদ্ধার করতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে এয়ার গান থেকে গুলি চালান রোহিত। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মুম্বাইয়ের পওয়াইয়ের ওই স্টুডিওতে অভিনয়ের ক্লাস হত এবং অডিশন চলত। বৃহস্পতিবার সেখানে অডিশন দিতে এসেছিল প্রায় ১০০ শিশু। বেশির ভাগকেই চলে যেতে বলেন রোহিত। তবে ১৭ জন শিশুকে আটকে রাখেন। তার পর ভিডিওবার্তায় হুমকি দেন, তার দাবি না মানা হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। শিশুদের মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী থাকবেন না, গোটা স্টুডিওতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা জিম্মির খবর পায়। এরপরে জিম্মিকারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার দাবিদাওয়া শুনতে চাওয়া হয়। তাকে অনুরোধ করা হয়, শিশুদের যেন অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু অপহরণকারী শিশুদের মুক্ত করতে রাজি হননি। পাল্টা তিনি শিশুদের ক্ষতি করার হুমকি দেন। শেষমেশ পুলিশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে স্টুডিওর ভিতরে ঢুকে পড়ে। পুলিশকে দেখেই এয়ার গান থেকে গুলি চালাতে শুরু করে রোহিত। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তখনই গুলিবিদ্ধ হয় রোহিত।
ঘটনাস্থল থেকে একটি এয়ার গান এবং বেশ কিছু রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে। ওই স্টুডিওতে কাজ করতেন রোহিত। নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল তার। রোহিত অভিযোগ তোলেন, স্বচ্ছতা অভিযানের জন্য একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। সেই প্রকল্পের জন্য দুই কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছিল। তিনি কাজ করার পরেও অর্থ দেওয়া হয়নি। এর জন্য দুই বার অনশনেও বসেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকর তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাকে দু’দফায় ৭ এবং ৮ লাখ রুপিও দিয়েছিলেন। বাকি অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও তা পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন রোহিত।
ঢাকা/শাহেদ