খুলনায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ
Published: 30th, October 2025 GMT
খুলনার রূপসা উপজেলায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাজদিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন শান্ত শেখ (৩৭), শাহাজাদা (৪১), মেহেদী হাসান (৩৮), জাহিদুল ইসলাম (৩৫) ও ইমরান শেখ (৩০)। তাঁদের রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী (হেলাল) এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক আলাদা আলাদা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠকেও তাঁরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আজ রূপসার কাজদিয়া বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিকের গণসংযোগ করার কথা ছিল। এ জন্য তাঁর অনুসারী শান্ত শেখের নেতৃত্বে কর্মী-সমর্থকেরা কাজদিয়া বাজারে অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী আজিজুল বারীর পক্ষের কিছু কর্মী-সমর্থক সেখানে গেলে দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষ সটকে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ টিএসবি ইউনিয়নে মুয়াজ্জিনদের মধ্যে পাঞ্জাবি উপহার ও কাজদিয়া বাজারে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু কাজদিয়া বাজারে তাঁর কর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন হেলাল (আজিজুল বারী) ভাইয়ের লোকজন। তখন তাঁর কর্মীরা প্রতিরোধ করেন। খবর পেয়ে তিনি টিএসবি ইউনিয়নে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসে ঘটনা শুনছিলেন। তখন হেলাল ভাইয়ের নামে স্লোগান দিয়ে আবার হামলা করা হয়। নেতা-কর্মীরা তাঁকে নিরাপদে সরিয়ে নেন। এতে তাঁর কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমার কর্মীদের ওপর তৃতীয়বারের মতো হামলার ঘটনা ঘটল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কয়েক দিন আগে আমাদের ডেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঐক্য নষ্ট তো প্রথমেই আমার হেলাল ভাই করে ফেললেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই তাঁরা সটকে পড়েন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো মামলা করেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজ জ ল ব র য় ব এনপ ব এনপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ানীবাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফয়সল আহমদ চৌধুরী
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে একটি গোষ্ঠী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য ফয়সল আহমদ চৌধুরী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠতে সবাই প্রস্তুত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াবড়া বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। দুবাগ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় ফয়সল আহমদ চৌধুরী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। তাদের লক্ষ্য স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে এনে এ দেশকে আবারও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনতা সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না। বাংলার মাটিতে আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন হবেই, ইনশা আল্লাহ।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বিএনপির সুপারিশ, মতামত, নোট অব ডিসেন্ট এসবকে পাশ কাটিয়ে গেছে ঐকমত্য কমিশন। বিএনপির মতামত, প্রস্তাবকে উপেক্ষা করেছে তারা। এই কমিশন ঐকমত্যের বদলে অনৈক্য কমিশন হয়ে গেছে। ২৫টি রাজনৈতিক দল যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল, সেই সনদের সঙ্গে কমিশনের সুপারিশের মিল নেই। এগুলো দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নিয়াজ উদ্দিন। জেলা যুবদলের সদস্য এবি কালাম ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিদুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মান্নান, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন প্রমুখ।