নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 30th, October 2025 GMT
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশকে শতভাগ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির প্রতি দুর্বলতা প্রদর্শন করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর পুলিশের গ্র্যান্ড কল্যাণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন এ দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কালিমালিপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো প্রয়োজন। অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষার মাধ্যমে আমরা বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছি।
বেআইনি সমাবেশ মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে শেখ মো.
ডিএমপি কমিশনার বিভিন্ন পদবীর পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
কল্যাণ সভায় ডিএমপি কমিশনার ঘোষণা করেন যে, দায়িত্ব পালনকালে ডিএমপির কোনো সদস্য আহত হলে তার চিকিৎসার সব ব্যয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বহন করবে।
তিনি ডিএমপিতে কর্মরত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে নিয়মিত খেলাধুলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার অনুরোধ করেন।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অধীনস্তদের প্রতি সব সময় সহানুভূতিশীল হতে হবে।
কল্যাণ সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার বলেন, থানায় আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সুবিধার্থে থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে। ডিএমপিতে কর্মরত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের কল্যাণে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যার সুফল সবাই পাচ্ছে।
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক থানা, ফাঁড়ি ও কোর্টের মালখানার জরাজীর্ণ অবস্থা। এগুলো মেরামত করে বসবাস উপযোগী করা হচ্ছে। সামনের নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। এ সময়ে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ঢাকা/এমআর/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল য ণ সদস য ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের বিধিমালা প্রণয়নে প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছে শাখা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ অভিযোগ তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে: জবি উপাচার্য
লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে, যা হতাশাজনক।”
তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা চাই এটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক—যাতে জকসু শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচনের মুক্ত মঞ্চে পরিণত হয়, কোনো দলীয় প্রভাবের শিকার না হয়।”
তিনি আরো বলেন, “জকসুর মেয়াদ ও দায়িত্বের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট ও বাস্তবসম্মত করা, সদস্যপদের যোগ্যতা সহজ করা এবং সংবিধানে শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের ক্ষমতা শুধু সহ-সভাপতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ সম্পাদক ও সহসাধারণ সম্পাদককেও যুক্ত করতে হবে।”
সংগঠনটি জকসুর কাঠামোতে নতুন ১০টি পদ সংযোজনের প্রস্তাব করেছে তারা। প্রস্তাবিত পদগুলো হলো— বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীবিষয়ক সম্পাদক, ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক (শুধু নারীদের জন্য), দক্ষতা উন্নয়ন (ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট) সম্পাদক, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক, মিডিয়া ও যোগাযোগ সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, বিতর্ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, পরিবেশ সম্পাদক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পাদক এবং কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক।
এর আগে, ছাত্রদলের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং একটি সদস্য পদ জকসু বিধিমালায় সংযোজন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা সবাই যোগ্য। তবে এখনো প্যানেল নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অধিক গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই প্যানেল প্রকাশ করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তা রাখা হয়নি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ থাকলেও জকসুতে তা নেই। এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়াটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।”
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক, আহ্বায়ক সদস্যসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী