জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ জন
Published: 30th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় শিশু সন্তানদের সামনে বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৬ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন: সাখাওয়াতের অনুসারী তিন আইনজীবী- খোরশেদ আলম, মো. আল আমিন ও বিল্লাল হোসেন, তার সহকারী (মুহুরি) হিরণ বাদশা ও রাসেল বেপারী।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করে।্
আদালতে সাখাওয়াত হোসেন নিজে তাদের পক্ষে শুনানি করেন। তার সঙ্গে এজলাসে শুনানিতে অংশ নেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বারী ভূঁইয়া, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক নয়ন।
এদিকে আদালতে শুনানির জন্য বাদীপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা। তার অভিযোগ, আদালতপাড়ায় অন্তত চারজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতে চাননি।
জামিনের সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পুলিশ শুনানিতে অংশ নিয়েছে এবং জামিনের বিরোধীতা করেছে।
জামিন পাওয়ার পর অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমার ক্লিন ইমেজকে নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যারা বাদী হয়েছে, তারাই প্রথমে আইনজীবী সহকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় তারা মামলা দিতে গেলেও সেটি গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বলা হচ্ছে আমি নাকি প্রশাসনকে ফোন করে মামলা নিতে নিষেধ করেছি। কিন্তু আমি কখনও কাউকে ফোন করিনি বরং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা সরকারি আইনজীবীদের আমার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, তিনি সবসময় আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখেন এবং এই মামলায় সত্য প্রকাশ পেলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের অসারতা প্রমাণিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় চেক জালিয়াতি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী, তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকার পরেও গত ২৯ অক্টোবর ফতুল্লা থানায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সারাদেশে আলোড়ন তোলা সাত খুন হত্যা মামলায় বাদী পক্ষের হয়ে আদালতে লড়ে আলোচনায় আসেন সাখাওয়াত হোসেন। পরে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হন এ বিএনপি নেতা। যদিও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে পরাজিত হন তিনি।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ম মল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
সাখাওয়াত- টিপুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে আইনজীবী ফোরামের মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ অন্যান্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, নারায়ণগঞ্জ বার ইউনিট।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী আইনজীবীরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এবং আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু একজন সফল ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। আমরা এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তাঁরা আরও বলেন, আইনজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে গণমাধ্যমের উচিত সত্যতা যাচাই করা। একটি কুচক্রী মহল আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদেরই প্ররোচনায় এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
আইনজীবীরা সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত থাকলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. কাজী আঃ গাফফারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও আইনজীবী সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, জেলা আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, জেলা আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. বেনজির আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জহিরুল হক, এড. মেহেবুব আরেফিন শিমু, এড. কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, এড. আসমা হেলেন বিথি, এড. শামসুন্নুর বাঁধন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুল হক হান্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. ওমর ফারুক নয়ন, সিনিয়র আইনজীবী এড. রফিক আহমেদ, এড. বেনজীর আহমেদ, এড. বোরহান উদ্দিন সরকার, এড. হাফিজুর রহমান মোল্লা, এড.সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, এড. রকিবুল হাসান শিমুল, এড. মানিক মিয়া, এড. আলম চৌধুরী, এড. আজিজুর রহমান মোল্লা, এড. সামসুল আরেফিন টুটুল, এড. জাহিদ হাসান মুক্তা, এড.একেএম মাহমুদুল হক আলমগীর, এড. নজরুল ইসলাম মাসুম, এড. সিদ্দিকুর রহমান, এড. সুমন মিয়া, এড. হৃদয়, এড.এসএম সায়েম রানা, এড. মাঈনউদ্দিন রেজা, এড. সালাউদ্দীন ভুঁইয়া সবুজ, এড. ফজলুর রহমান ফাহিম, এড. সুমন মিয়া, এড. মাসুদা আক্তার ,এড. লিজা, এড. রাসেল মিয়া, এড. শাহআলম শামীম, এড. জামান মিয়া, এড. কাজী সুমন, এড.আবুল কালাম আজাদ, এড. আদনান মোল্লা, এড.আবু রায়হান, এড. আশরাফুল বারী ভুঁইয়া, এড. খোরশেদ আলমসহ প্রমূখ।