শাকিবের নায়িকা হতে ইধিকার ৩৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দাবি?
Published: 30th, October 2025 GMT
দেশসেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিপরীতে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ান ওপার বাংলার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। কিছুদিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, শাকিবের ‘প্রিন্স: ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমায়ও অভিনয় করবেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু সিনেমাটির জন্য ২৮ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮ লাখ টাকার বেশি) দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী। এ নিয়ে বেশ কটি গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
ইধিকা পালের পারিশ্রমিক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ চর্চা চলছে। টাকার পরিমাণ দেখে নেটিজেনদের অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। যদিও বিষয়টি মুখ খুলেননি ইধিকা। তবে নীরবতা ভেঙেছেন ‘প্রিন্স’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড ফিল্মস। বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠান একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
আরো পড়ুন:
‘রাক্ষস’ ছেড়ে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এ সাবিলা নূর
শাকিবের সিনেমা নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়, তা ভুয়া: ইকবাল
এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড ফিল্মস প্রযোজিত ‘প্রিন্স: ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমায় মেগাস্টার শাকিব খান ছাড়া অন্য আর্টিস্টদের নাম আমরা ঘোষণা করিনি। মৌখিকভাবে অনেকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হলেও কারো সঙ্গে লিখিত চুক্তি হয়নি। তার আগেই চূড়ান্ত না হওয়া শিল্পী ও তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত নিউজ আমাদের নজরে এসেছে, যা ভিত্তিহীন। একই সাথে বিষয়টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের জন্যেও বিব্রতকর।
এ সিনেমার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শিল্পী ও সিনেমা সম্পর্কিত সবকিছু আমরা অফিশিয়ালি জানাব। শুরু থেকে ‘প্রিন্স’ সিনেমা নিয়ে সংবাদকর্মী থেকে দর্শকদের আগ্রহ ও সমর্থন আমাদের মুগ্ধ করেছে। আপনাদের প্রত্যাশা পূরণে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।”
কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন উঠেছিল—‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন শাকিব খান। এ নিয়ে শাকিব খান ও নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ নীরব থাকলে মুখ খুলেন সিনেমাটির প্রযোজক, ক্রিয়েটিভ ল্যান্ডের কর্ণধার শিরিন সুলতানা। তিনি বলেন, “এটা তার প্রাপ্য।” যদিও শাকিবের ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করেননি এই প্রযোজক।
‘প্রিন্স’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে আবু হায়াত মাহমুদের। এর আগে অসংখ্য টিভি নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। তাছাড়া ‘প্রিন্স’ সিনেমা দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড।
কলকাতার মডেল ও টিভি অভিনেত্রী ইধিকা পালের নৃত্যশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘কপালকুণ্ডলা’। স্টার জলসায় প্রচারিত এ ধারাবাহিকে ‘পদ্মাবতী’ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান।
পরবর্তীতে ‘রিমলি’ ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তা ছাড়াও দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইধিকা। তবে ২০২৩ সালে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
গত বছর ‘খাদান’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অভিষেক ঘটে ইধিকার। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন টলিউড সুপারস্টার দেব। এরপর একই নায়কের বিপরীতে ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে ‘প্রজাপতি টু’ ও ‘কবি’ নামে দুটো সিনেমার কাজ ইধিকার হাতে রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন প রক শ ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধে ঢাবির ১৯৫ শহীদের ইতিহাস জানাতে ছাত্রদল নেতার ভিন্নধর্মী উদ্যোগ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক নেতা।
রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পুরো ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৫ জন শহীদের নাম ও পরিচয় লেখা ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড স্থাপন করেন তিনি।
এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার। তিনি ক্যাম্পাসের টিএসসি প্রাঙ্গণ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সম্মুখভাগ, হাকিম চত্বর, মধুর ক্যানটিন, কলাভবন প্রাঙ্গণ, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর, আইন অনুষদ প্রাঙ্গণ, মোতাহার হোসেন ভবন, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার, কার্জন হল এলাকা, দোয়েল চত্বর, চারুকলাসহ প্রতিটি আবাসিক হলসংলগ্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদদের নাম ও পরিচয় লেখা ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড স্থাপন করেন।
এ বিষয়ে জুলফিকার প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৯৫ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ হন। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে তাঁদের এই আত্মত্যাগ ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ত্যাগ ও অবদান অনেকাংশে তরুণ প্রজন্মের আড়ালে চলে যাচ্ছে। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করেই শহীদদের নাম-পরিচয় ও তাঁদের আত্মোৎসর্গের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই তিনি এ উদ্যোগ নেন।
আবু হায়াত মো. জুলফিকার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শহীদেরা কেবল ইতিহাসের পাতায় সীমাবদ্ধ কোনো নাম নন; তাঁরা আমাদের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার ভিত্তি। তাঁদের আত্মত্যাগকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের ইতিহাস সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের অবশ্য কর্তব্য।’
মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৫ জন শহীদের ইতিহাস জানানোর ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের কাজ যেন অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষার্থী শাহরিয়ার তানজিল বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতিসত্তা, চেতনা ও প্রেরণার এক অমলিন উৎস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের প্রাণের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে ১৯৭১ সালে ১৯৫ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা–কর্মচারী প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।’
শাহরিয়ার তানজিল বলেন, ‘এই আত্মত্যাগ আমাদের জন্য যেমন গভীর বেদনার, তেমনি এটি সাহস, দায়িত্ববোধ ও অনুপ্রেরণার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্ল্যাকার্ড স্থাপনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের স্মরণ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।’