ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের হারানঘাট গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান তারা। 

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে নিহত ১

বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ১০

এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাসের মধ্যে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে রবিবার বিকেলে হারানঘাট গ্রামের কল্যাণপুর বাজারে নজরুল ইসলামের সমর্থক মিঠু বিশ্বাসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে সিরাজ বিশ্বাসের সমর্থক গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় নজরুল ইসলামের সমর্থকরা।

এ সময় তারা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চান। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুললে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। তারা গাড়ির ভেতরে এবং বাইরে নামিয়ে গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেনন। তারা পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করেন। হামলায় পুলিশের এক সদস্য সামান্য আহত হন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আরো তিনজন আহত হন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.

ছোঁয়া ইসরাইল বলেন, “হাসপাতালে আসা আহত তিনজনেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোলাম ফারুখের শারীরিক অবস্থা সব থেকে বেশি খারাপ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।”

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ আহত নজর ল ইসল ম ল ইসল ম র ঝ ন ইদহ ব এনপ র স ঘর ষ র সমর

এছাড়াও পড়ুন:

হিটলার, মুসোলিনি, রুজভেল্ট তুচ্ছ যে ঘোড়ার খুরে

দেখলে রেসের ঘোড়া বলে মনেই হয় না। আকারে বেশ ছোটখাটো। সামনের হাঁটু দুটো একটু ভেতরের দিকে ঢোকানো—অনেকে যাকে বলেন ‘নবি-নি’। রেসের জন্য এমন হাঁটু মোটেও উপযোগী নয়। স্বভাবেও সে বেশ আলসে, দিন কাটে খাওয়া আর ঘুমেই।
অথচ রক্তে তার রেসের নেশা। সে হলো থরোব্রিড জাতের ঘোড়া, যাদের জন্মই ট্র্যাকে ঝড় তোলার জন্য। এরা একটু গরম রক্তের ঘোড়া, গতি আর ক্ষিপ্রতার জন্য যাদের সুনাম।

কিন্তু সিবিস্কিট তেমন ছিল না। অন্তত তিনজন মানুষের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার আগপর্যন্ত তো নয়ই। এই তিনজন—ভাগ্যবিড়ম্বিত এক সফল ব্যবসায়ী, ঘোড়ার এক পোড়-খাওয়া ট্রেনার আর ভাগ্যান্বেষী এক জকি—তাদের হাত ধরেই এল আসল পরিবর্তনটা। সিবিস্কিট রাতারাতি হয়ে উঠল তিরিশের দশকে মহামন্দায় ডুবে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের আশা-ভরসার প্রতীক। খেটে খাওয়া সাধারণ মার্কিনদের ভাগ্য ফেরানোর প্রেরণা!

সিবিস্কিটের আশ্চর্য গল্পটা প্রথম বইয়ের পাতায় তুলে আনেন মার্কিন লেখক লরা হিলেনবার্গ ১৯৯৯ সালে। ঘোড়াপ্রেমী এই নারী ছোটবেলা থেকেই সিবিস্কিটের গল্প শুনেছেন। ১৯৯৬ সালে একটি নিবন্ধের কাজ করতে গিয়ে ঘোড়াটির মালিক ও ট্রেনার সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়ার পর তিনি বই লেখার কাজে নেমে পড়েন। প্রথম দিকে তাঁর ধারণা ছিল, ‘৫ হাজার কপি বিক্রি হলেই খুশি!’

সিনেমার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন (বাঁ থেকে) টবি ম্যাগুইর, ক্রিস কুপার ও জেফ ব্রিজেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ