মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে সিন্ডিকেট গঠনের চেষ্টা রুখে দিতে খুলনায় মোবাইল ফোনের সব মার্কেট বন্ধ করেছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে দোকান বন্ধ রেখে মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ির মোড়ে খুলনা মহানগর মোবাইল ফোন ও অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন করেছেন তারা।

খুলনা মহানগর মোবাইল ফোন অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কায়েসুল আজাদ শাকিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম পল্টুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—আমিনুল ইসলাম রনি, খোরশেদ আলম, মাকসুদ রানা মুরাদ, মো.

নুর ইসলাম সরদার, আজিজুল আমিন, ইমরান হাসান, মো. বেলাল হোসেন, নিহাল আহম্মদ হিরা, মোস্তফা কামাল, শাহনাজ আলী জনি প্রমুখ।

দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিতে ৫৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ ও ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম চালুর উদ্যোগকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ‘বিপর্যয় ডেকে আনা সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ব্যবসায়ীরা। 

তাদের দাবি, এই নীতি কার্যকর হলে দেশের কোটি মানুষ প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়বে, দাম বৃদ্ধি পাবে লাগামহীনভাবে এবং পুরো মোবাইল ফোন খাত ধ্বংসের মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে তারা বলেন, দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ীকে বাদ দিয়ে মাত্র ৩০ শতাংশ প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করতে চাচ্ছে একটি চক্র।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশের মোবাইল ফোনের বাজার বর্তমানে মাত্র ৮-৯ জন লাইসেন্সধারীর হাতে জিম্মি। ২০ কোটি মানুষের দেশে মোবাইল ফোন ব্যবসার লাইসেন্স এত অল্প সংখ্যক ব্যক্তির হাতে থাকা অযৌক্তিক। বাজারের ভারসাম্য ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে লাইসেন্স সংখ্যা অন্তত ৫ হাজারে উন্নীত করতে হবে।

মানববন্ধনে তারা ক্ষোভ প্রদর্শন করে বলেন, সিন্ডিকেট মানি না, মানব না। কিছু প্রভাবশালী মুনাফাখোর গোষ্ঠী এনইআইআর সিস্টেমের অপব্যবহার করে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য (মনোপলি) গড়ে তুলতে চায়। এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হারাবে ব্যবসা। সাধারণ মানুষকে বেশি দামে ফোন কিনতে বাধ্য হতে হবে। 

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএস: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডারদের মানববন্ধন

আজ রোববারের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল–সংক্রান্ত ফাইল জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডাররা।

মানববন্ধনে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডারদের ভাষ্য, ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফলের ফাইল ৩ বছর ১১ মাস ২৫ দিন (বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে) পেরিয়ে গেলেও জনপ্রশাসনে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে পিএসসি। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন যদি সুদীর্ঘ চার বছর ধরে চলমান ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ১ হাজার ৬৭৬ যুবশক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে না পারে, তাহলে এই কমিশনের কাজ কী? কেন ৪৪তম বিসিএস অগ্রাধিকার তালিকায় নেই, এর জবাব জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।

৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত শেষ না করলে রিপিট ক্যাডার সমস্যার সমাধান হবে না। এক বছরের মধ্যে বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করাও সম্ভব হবে নাপ্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী‘আরও পড়ুনজুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে বিশাল নিয়োগ, পদ ১১৫২৬ ঘণ্টা আগে

সুপারিশ পাওয়া ক্যাডাররা আরও বলেন, দ্বিতীয় সম্পূরক ফলাফল প্রকাশের পর ইতিমধ্যে ১২ দিন এবং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে ৩ বছর ১১ মাস ২৫ দিন হয়ে গেছে, কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তির চাপে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৪৪তম বিসিএসের রুটিন কাজগুলো করতে পিএসসি এখনো গড়িমসি করছে। সম্পূরক ফলাফলের ফাইল আজ বিকেলের মধ্যে জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া এক প্রার্থী বলেন, ‘৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত শেষ না করলে রিপিট ক্যাডার সমস্যার সমাধান হবে না। এক বছরের মধ্যে বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করাও সম্ভব হবে না। বিশেষ বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত করতে পারলেও সাধারণ বিসিএস নিয়ে তাদের গড়িমসি রয়েছে।’

এদিকে গত ১১ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার পরিবর্ধিত সম্পূরক ফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১ হাজার ৭১০টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৬৭৬ জনকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। রিপিট ক্যাডার বাদ দিয়ে এই পরিবর্ধিত সম্পূরক ফল প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে তিনবার প্রকাশ করা হলো ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল। ১১ নভেম্বরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে সংশোধিত বিধি অনুযায়ী আগের বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং ৪৪তম বিসিএসে পুনরায় একই ক্যাডার কিংবা নিম্নপদের জন্য মনোনয়নযোগ্য হয়েছেন এমন প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের ৩৪টি পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ক্যাডার পদে মনোনয়ন না পাওয়ায় ৭ হাজার ১৩৯ জনকে নন–ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঢাকার সাত কলেজ: বিশ্ববিদ্যালয় শুরুর আগেই তীব্র সেশনজটে শিক্ষার্থীরা ২ ঘণ্টা আগে

২০২৫ সালের ৩০ জুন প্রথম দফায় ৬ নভেম্বর ২০২৫ দ্বিতীয়বারের মতো ৪৪তম বিসিএসের ‘চূড়ান্ত’ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর তৃতীয় দফায় ১১ নভেম্বর ২০২৫ চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হলো।

প্রথম দফায় প্রকাশিত ফলাফলে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় সুপারিশ করা হয় ১ হাজার ৬৮১ জনকে। দ্বিতীয় দফায় বাদ পড়েন ৯ জন। তৃতীয় দফায় ১ হাজার ৬৭৬ জনকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। এবার বাদ পড়লেন ৫ জন।

আরও পড়ুনইউনিলিভারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ২৪ নভেম্বর১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারের ভক্তদের ওপর হামলা, আহত ৪
  • জামালপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে সড়ক অবরোধে ছিলেন নারীরাও
  • ৪৪তম বিসিএস: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডারদের মানববন্ধন
  • আট আসনে বিক্ষোভ, অবরোধ, মানববন্ধন
  • কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ে দীর্ঘ মানববন্ধন
  • সীতাকুণ্ডে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে একাধিক স্থানে মানববন্ধন
  • বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তি দাবিতে সংসদের সামনে মানববন্ধন
  • বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে শহরে মানববন্ধন