নতুন কিচেন হাইজিন সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করেছে লায়ন কল্লোল লিমিটেড। গ্রুপটির মামা লেমন লিকুইড ডিশওয়াশ ব্র্যান্ডের আওতায় এই প্রচারণা শুরু করা হয়। সম্প্রতি রাজধানীর লেকশোর হাইটসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রচারণার বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা শেখানোই এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। বর্তমানে এটি মানিকগঞ্জের ৬৫১টি স্কুলে পরিচালিত হচ্ছে। যার মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা হাত ধোয়া, খাবার নিরাপদে রাখা ও সঠিকভাবে থালাবাসন পরিষ্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস শিখছে। পাশাপাশি তারা প্রশিক্ষণ পাচ্ছে ‘হাইজিন অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে যাতে এই জ্ঞান পরিবার ও কমিউনিটিতে ছড়িয়ে দিতে পারে। প্রশিক্ষণটি দেওয়া হচ্ছে জাইকার রেগুলেটরি অ্যান্ড কো–অর্ডিনেটিং (এসটিআইআরসি) প্রকল্পের আওতায়।

প্রচারণা শুরুর ঘোষণা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাইকার কর্মকর্তা ওকাদা আকিকো, লায়ন কল্লোল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকেশি হাসেগাওয়া, কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের প্রধান বিজ্ঞানী মো.

লতিফুল বারী, লায়ন কল্লোল লিমিটেডের বিপণন পরিচালক তন্ময় দত্ত গুপ্ত প্রমুখ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লায়ন কল্লোল লিমিটেড ২০২২ সালে জাপানের লায়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশের কল্লোল লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত, যার ফ্ল্যাগশিপ পণ্য মামা লেমন লিকুইড ডিশওয়াশ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন কল ল ল ল ম ট ড ল য ন কল ল ল পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের সব সংস্কার আইনের মাধ্যমেই হয়েছে: আইন উপদেষ্টা

দেশের সব পরিবর্তন বা সংস্কার আইনের মাধ্যমেই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর আদালতের জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ই-পারিবারিক আদালত’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা বলেন, পারিবারিক বিরোধের ক্ষেত্রে এখন আর আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনা মূল্যে সেবা নেওয়া যায়। এই প্রক্রিয়ায় একজনের পরিবর্তে তিনজন বিচারককে যুক্ত করা হয়েছে।

সংস্কার ভাবনা আরও বাস্তবতার আলোকে হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বেশি করতে পারিনি। তবে আশা করি, নতুন সরকারও এসব উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। না হলে উদ্যোগগুলো ম্লান হয়ে যাবে।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো দুর্বল করা যাবে না। যেকোনো প্রক্রিয়াই বাস্তবায়ন করতে গেলে তা ক্রমান্বয়ে এগিয়ে নিতে হয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের সংস্কারের ধারাবাহিকতার বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এ পর্যন্ত ২১টি জায়গায় সংস্কার করা হয়েছে। তবে আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত না হলে, ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে সেগুলো টিকবে না।

ই-পারিবারিক আদালত প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নতুন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পেপারলেস সিস্টেম আরও এগিয়ে যাবে। এটি আমার জন্য আনন্দের বিষয়।’

প্রক্রিয়াটি গ্রহণ করায় আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই ডিজিটাল কার্যক্রম আইন পেশাজীবীদের আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা দিতে সহায়তা করবে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ই-পারিবারিক আদালত বিচারব্যবস্থাকে পেপারলেস সিস্টেমের দিকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ