বরই থেকে ৫ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন গিয়াস
Published: 24th, November 2025 GMT
বরই চাষে ভাগ্য বদলেছে বিডিআর বিদ্রোহে চাকরিচ্যুত গিয়াস উদ্দিনের। জমিতে আপেল, বলসুন্দরী এবং রেড আপেল কুল চাষ করে তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী। এ বছর তার বিশাল বাগানে ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে ফলটি বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন এই কৃষক। তিনি জানান, আগামী ১৫-২০ দিন পর বাজারে বরই বিক্রি করতে শুরু করবেন। পাইকাররা বাগানে এসে কিনে নিয়ে যাবেন সুস্বাদু এই ফল।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের একামধু গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন। এক বিঘা জমি দিয়ে শুরু করলেও এখন তিনি পাঁচ বিঘা বাগানের মালিক। গ্রামের মনু নদের তীরে তার বরইয়ের বাগান। বর্তমানে তার বাগানের ৪০০ থেকে ৪৫০টি গাছে ঝুলে আছে কচিকাঁচা বরই।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (২২-২৮ নভেম্বর)
অসময়ের ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষে চমক দেখালেন দুলাল
গিয়াস উদ্দিনের বাগানের গাছে ঝুলে থাকা বরই
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বাগান দেখতে গিয়ে কথা হয় গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে। আলাপকালে তিনি বলেন, “পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের পর বিনা অপরাধে চাকরি হারাই। এরপর পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে অভাবের দিন শুরু হয়। পরে মনের শক্তি আর নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করি বাড়ির পাশের জমিতে শাক-সবজি চাষ। জমির উর্বরতা ভালো দেখে, ফল চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়।”
তিনি বলেন, “২০২১ সালে নিজের আয় থেকে এক বিঘা জমি কিনি। ওই বছরের জুন মাসে যশোর থেকে চারা এনে রোপণ করি আপেল ও বলসুন্দরী বরই। জমিতে রেড আলেপ বরইয়ের চারাও লাগাই। আমার বাগানে সাত মাসেই গাছে বরই আসে।”
এই কৃষক বলেন, “প্রথম বছর এক বিঘা জমিতে ২০০ গাছের চারা রোপণ করি। মোট খরচ হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা। সাত মাসেই ফল আসে। প্রতিটি গাছে তিন থেকে প্রায় এক মণ পর্যন্ত বরই আসে। ওই বছর আমি কয়েক লাখ টাকার বরই বিক্রি করি। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামে এখান থেকে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা করে কেজি দরে বরই নিয়ে যেতেন। তারাও লাভবান হয়েছেন আমিও লাভ করেছি। এবার জমির পরিমাণ বেশি, আশা করছি পাঁচ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।”
১৫-২০ দিন পর বরই বিক্রি শুরু করার আশা গিয়াস উদ্দিনের
বাগান দেখতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, “অল্প দিনে গাছে বরই ধরেছে বিষয়টি অবাক হওয়ার মতো। পরিশ্রমী উদ্যোগের কারনে গিয়াস উদ্দিন আজ বরই চাষে সফল হয়েছেন।”
একই এলাকার বাছির মিয়া বলেন, “আপেল কুল লাভজনক একটি ফল। গিয়াস উদ্দিনকে অনুসরণ করে আমিও আপেল কুল চাষ করে লাভবান হয়েছি।”
রাজনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো.
ঢাকা/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল গ য় স উদ দ ন র বরই চ ষ র বরই
এছাড়াও পড়ুন:
বরই থেকে ৫ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন গিয়াস
বরই চাষে ভাগ্য বদলেছে বিডিআর বিদ্রোহে চাকরিচ্যুত গিয়াস উদ্দিনের। জমিতে আপেল, বলসুন্দরী এবং রেড আপেল কুল চাষ করে তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী। এ বছর তার বিশাল বাগানে ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে ফলটি বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন এই কৃষক। তিনি জানান, আগামী ১৫-২০ দিন পর বাজারে বরই বিক্রি করতে শুরু করবেন। পাইকাররা বাগানে এসে কিনে নিয়ে যাবেন সুস্বাদু এই ফল।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের একামধু গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন। এক বিঘা জমি দিয়ে শুরু করলেও এখন তিনি পাঁচ বিঘা বাগানের মালিক। গ্রামের মনু নদের তীরে তার বরইয়ের বাগান। বর্তমানে তার বাগানের ৪০০ থেকে ৪৫০টি গাছে ঝুলে আছে কচিকাঁচা বরই।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (২২-২৮ নভেম্বর)
অসময়ের ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষে চমক দেখালেন দুলাল
গিয়াস উদ্দিনের বাগানের গাছে ঝুলে থাকা বরই
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বাগান দেখতে গিয়ে কথা হয় গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে। আলাপকালে তিনি বলেন, “পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের পর বিনা অপরাধে চাকরি হারাই। এরপর পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে অভাবের দিন শুরু হয়। পরে মনের শক্তি আর নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করি বাড়ির পাশের জমিতে শাক-সবজি চাষ। জমির উর্বরতা ভালো দেখে, ফল চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়।”
তিনি বলেন, “২০২১ সালে নিজের আয় থেকে এক বিঘা জমি কিনি। ওই বছরের জুন মাসে যশোর থেকে চারা এনে রোপণ করি আপেল ও বলসুন্দরী বরই। জমিতে রেড আলেপ বরইয়ের চারাও লাগাই। আমার বাগানে সাত মাসেই গাছে বরই আসে।”
এই কৃষক বলেন, “প্রথম বছর এক বিঘা জমিতে ২০০ গাছের চারা রোপণ করি। মোট খরচ হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা। সাত মাসেই ফল আসে। প্রতিটি গাছে তিন থেকে প্রায় এক মণ পর্যন্ত বরই আসে। ওই বছর আমি কয়েক লাখ টাকার বরই বিক্রি করি। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামে এখান থেকে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা করে কেজি দরে বরই নিয়ে যেতেন। তারাও লাভবান হয়েছেন আমিও লাভ করেছি। এবার জমির পরিমাণ বেশি, আশা করছি পাঁচ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।”
১৫-২০ দিন পর বরই বিক্রি শুরু করার আশা গিয়াস উদ্দিনের
বাগান দেখতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, “অল্প দিনে গাছে বরই ধরেছে বিষয়টি অবাক হওয়ার মতো। পরিশ্রমী উদ্যোগের কারনে গিয়াস উদ্দিন আজ বরই চাষে সফল হয়েছেন।”
একই এলাকার বাছির মিয়া বলেন, “আপেল কুল লাভজনক একটি ফল। গিয়াস উদ্দিনকে অনুসরণ করে আমিও আপেল কুল চাষ করে লাভবান হয়েছি।”
রাজনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, “সিলেট অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন হচ্ছে। আমরা চাষিদের সহযোগিতা করছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে গিয়াস উদ্দিনের এলাকার বরই চাষে আগ্রহীদের উৎসাহিত করছি। দিন দিন ওই এলাকায় বরই চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
ঢাকা/মাসুদ