গুয়াহাটি টেস্ট তাহলে মার্কো ইয়ানসেনেরই!

গতকাল ঝড়ো এক ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নড়বড়ে অবস্থা থেকে বিশাল স্কোর এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের কাজটা সেখানেই শেষ মনে করেননি দক্ষিণ আফ্রিকান এই অলরাউন্ডার। আজ তৃতীয় দিনে বল হাতেও আলো ছড়ালেন।

যশস্বী জয়সোয়াল ফিফতি করলেন, ওয়াশিংটন সুন্দর লড়াই করে তুললেন ৪৮ রান, কুলদীপ যাদবও গড়লেন প্রতিরোধ। কিন্তু ইয়ানসেনের ৬ উইকেট (৬/৪৮) আজ সবকিছুকেই ছাপিয়ে গেল। ভারত ভেঙে পড়ল বাজেভাবে, ২৭ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হলো ২০১ রানে।

শেষ সেশনে দিনের খেলা শেষ হতে তখনও প্রায় ৪০ মিনিট সময় বাকি। অনেকে ভেবেছিলেন ভারতকে সম্ভবত ফলোঅন করাবেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। কিন্তু তা না করে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ২৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাভুমার দল। ১৩ রানে রায়ান রিকেলটন ও ১২ রানে এইডেন মার্করাম ক্রিজে অপরাজিত।

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ রান করায় ভারত এই টেস্টে এখন পিছিয়ে ৩১৪ রানে।

ঋষভ পন্তকে ফেরানোর পর সতীর্থদের সঙ্গে ইয়ানসেনের উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চাই: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের জন্য কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ সমর্থন চান।

আরো পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

এ সময়ে তিনি বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আপনারা সমর্থন দেবেন বলে আশা করি।”

তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবকে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতি গভীর আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন, “কমনওয়েলথ বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী রূপান্তরের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেবে।”

তিনি বলেন, “কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশ-যেখানে জি-৭ ও জি-২০-এর সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত-যাদের হাতে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই দেশগুলো একে অপরকে শক্তিশালী করতে সেই সম্পদ ব্যবহার করতে পারে।”

মহাসচিব আরো জানান, তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি যোগ করেন, “দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি খুব আশাবাদী।”

মহাসচিব নিশ্চিত করেন, “আসন্ন নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

বৈঠকে দুই নেতা তরুণদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি এবং বেকারত্ব, কার্বন নির্গমন ও বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে তিন-শূন্য ভিশন বাস্তবায়ন সম্পর্কেও আলোচনা করেন। খবর বাসসের।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ