চীন সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের মাধ্যমে চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি) ২০২৫-এর আওতায় নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীরা বেইজিং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন। বিশ্বের অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

চীনের প্রায় ১ হাজার ১০০-এর অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন কোর্স অফার করে থাকে। এর মধ্যে প্রকৌশল, কৃষি, মেডিকেল ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, বিজনেস, ম্যানেজমেন্টসহ অনেক বিষয়ে পড়ানো হয়।

ছবি: ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুর স্ক্রিন টাইম নিয়ে আপনার যা জানা জরুরি

মানুষের বিকাশ মূলত একটি সামাজিক বিষয়। শৈশব থেকেই আমরা আমাদের চারপাশের পরিবেশের অংশ হয়ে উঠতে থাকি। নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখতে থাকি। বিশেষ করে অপরিচিত পরিস্থিতি ও সংস্কৃতিতে আমরা বেশি শিখি।

প্রাপ্তবয়স্করা যখন শিশুদের সঙ্গে মেশেন, তাঁরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি শিশুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন। বড়রা চারপাশের বৈচিত্র্য, জটিলতা ও সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণ করে সবকিছু বুঝতে চেষ্টা করেন।

শিশুরা বড়দের কাছ থেকে শিখতে পারে। অন্যদিকে বড়রাও শেখেন, পৃথিবীকে কীভাবে শিশুদের চোখে দেখতে হয়। আমাদের মনোযোগ যদি স্ক্রিনের দিকেই থাকে, তাহলে কীভাবে আমরা চারপাশের পরিবেশকে দেখতে ও বুঝতে পারব?

শিশুদের কাছে যোগাযোগ কোনো বিমূর্ত কিংবা তাত্ত্বিক বিষয় নয়। বড়দের সঙ্গে কাটানো ছোট ছোট সময়েই তারা যোগাযোগ শেখে। হোক সেটা স্কুলে যাওয়ার পথে একটি শামুককে চলতে দেখা কিংবা বাড়িতে আপনজনদের সঙ্গে বই পড়া। এভাবেই তারা ‘মানুষ’ হয়ে ওঠে।

বড়দের সঙ্গে ছোটদের কাটানো মুহূর্তগুলোকে বিশেষ করে তোলে আমাদের আচরণ। যেমন চোখের দৃষ্টি, কণ্ঠস্বর, ভাষা, হাত–পায়ের নড়াচড়া ইত্যাদি। প্রতিটি বিষয়ই জীবনের শুরুর বছরগুলোয় শিশুর শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আপনার শিশু আর আপনি কতক্ষণ ধরে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকেন, কখন দৃষ্টি সরিয়ে নেন, কীভাবে একজনের পর আরেকজন কথা বলেন—এসব দেখেই শিশু যোগাযোগের প্যাটার্ন বুঝতে শেখে। এই প্যাটার্ন দেখেই শিশু অন্যদের সঙ্গে মিশতে শেখে। দলবদ্ধভাবে কাজ করতে শেখে। শিশুদের সঙ্গে বড়দের পারস্পরিক এই মিথস্ক্রিয়ার কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুনশিশু সেপারেশন অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগলে করণীয়০২ নভেম্বর ২০২৫‘পোস্ট ডিজিটাল মানুষ’ হয়ে ওঠা

স্মার্ট ডিভাইস ও স্ট্রিমিং অ্যাপগুলো এখন দৈনন্দিন পারিবারিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। আজকাল দুই থেকে পাঁচ বছরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শিশু প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি সময় স্ক্রিনে চোখ রাখে। খুব ছোটবেলায় শিশুদের স্ক্রিনে অভ্যস্ত হওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে।

গত ২০ বছরের গবেষণায় দেখা গেছে, ডিজিটাল প্রযুক্তি শিশুদের দৈনন্দিন কাজ—যেমন খেলা, মনোযোগ রাখা, কিছু মনে রাখা, এমনকি ঘুমানো—সবকিছুই বদলে দিচ্ছে।

প্রতিদিন বেশি সময় ধরে স্ক্রিনে চোখ রাখলে শিশুরা কিছু কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে। যেমন পড়া বা যেকোনো কাজ শেষ করা, পরিবারের মধ্যে সমস্যা হলে শান্ত থাকা ইত্যাদি। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে তাদের ঘুমের মান কমে যায়।

এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ডে টিভি চলতে থাকলেও শিশুদের খেলার মান কমে যায়। তাদের মনোযোগ নষ্ট হয় এবং তারা খুব অল্প সময় ধরে খেলে।

খাওয়ার সময় শিশুকে শুধু খেতেই দিন, ডিভাইস এ সময় দূরে থাক

সম্পর্কিত নিবন্ধ