চীন সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের মাধ্যমে চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি) ২০২৫-এর আওতায় নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীরা বেইজিং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন। বিশ্বের অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

চীনের প্রায় ১ হাজার ১০০-এর অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন কোর্স অফার করে থাকে। এর মধ্যে প্রকৌশল, কৃষি, মেডিকেল ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, বিজনেস, ম্যানেজমেন্টসহ অনেক বিষয়ে পড়ানো হয়।

ছবি: ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এতিমখানার ছাত্রকে অপহরণ, লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকা থেকে মো. ত্বকী তাযওয়ার (১২) নামে এক শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে শিশুটিকে অপহরণ করা হলেও আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সময়েও উদ্ধার করা যায়নি। দুর্বৃত্তরা শিশুটির পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। অন্যথায় হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

অপহৃত শিশুর বাড়ি চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পাড়ায়। বাবার নাম মৃত মোহাম্মদ নোমান। শিশুটি কক্সবাজার শহরের বৌদ্ধমন্দির সড়কের বায়তুশশরফ জব্বারিয়া এতিমখানাতে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে।

এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে অপহৃত শিশুর চাচা মাওলানা মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুক্তিপণ না পেলে দুর্বৃত্তরা ত্বকীকে খুন করে লাশ গুম করতে পারে। ছেলের জন্য মা মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, শিশুর বিষয়ে নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মুক্তিপণ দাবির বিষয়েও নানা খবর আসছে। কিন্তু বাদীকে (মনিরুল) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অপহরণ চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে বার্মিজ মার্কেট এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। শিশুকে উদ্ধারের কাজ চলছে।

শিশুর মা আফরোজা বেগম বলেন, বায়তুশশরফ এতিমখানায় থেকে ত্বকী লেখাপড়া করছে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। গত শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এতিমখানা থেকে বেরিয়ে ত্বকী পাশের বার্মিজ মার্কেট এলাকার সড়কের মোড়ে গিয়ে দাঁড়ায়। এ সময় কয়েকজন লোক কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে এসে ত্বকীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর আর ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

শিশুর চাচা মনিরুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে চক্রের এক সদস্য কল দিয়ে এক লাখ টাকা নিয়ে রামুর বাইপাস এলাকায় যেতে বলে। ত্বকীর মা সেখানে গেলে বলা হয় সাত কিলোমিটার দূরে গর্জনিয়া এলাকাতে যেতে। দুপুরে গর্জনিয়াতে গেলে এক লাখ টাকা দিতে বলে, নয়তো ত্বকীর লাশ পড়বে। টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ নম্বরও দেওয়া হয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকেলে ওই বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর ত্বকীকে ছেড়ে দিতে বললে আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করে। এতিমখানার ছাত্র, গরিব পরিবার, এত টাকা কোথায় পাব জানালে চক্রের সদস্য টাকা ছাড়া ত্বকীর মুক্তি হবে না জানিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আরও ২০ হাজার টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠানো হয়। কিন্তু সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ত্বকীকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। ঘটনার বিষয়টি জানাতে মাকে নিয়ে কক্সবাজার সদর থানায় যাচ্ছেন বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ