গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’, কিন্তু অগ্রগতি নিয়ে জনগণের ‘অতি উত্তেজিত’ হওয়া উচিত নয়। মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, তার দেশ বিশ্বাস করে যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “এখন যা ঘটছে তা নিয়ে জনগণের অতিরিক্ত উত্তেজিত হওয়া উচিত নয়।”

দোহায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, এই পরিস্থিতিতে প্রত্যাশা এমন স্তরে যেন না বাড়ে যখন গাজায় যা ঘটছে তার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।”

মুখপাত্র মাজেদ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আমরা একটি উন্নয়নমূলক পর্যায়ে আছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা শেষ পর্যায়ে আছি। কিন্তু সুস্পষ্ট বার্তা না আসা পর্যন্ত কোনো ঘোষণা হবে না এবং এখন যা ঘটছে তা নিয়ে আমাদের অতিরিক্ত উত্তেজিত হওয়া উচিত নয়।”

আল-আনসারি আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বাইডেন প্রশাসন এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে যাওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “দোহায় যে বৈঠকগুলো হয়েছে তা ফলপ্রসূ হয়েছে। এগুলো ইতিবাচক এবং আমরা কিছু আপডেট শুনতে পাব বলে আশা করি।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এর আগে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ইসরায়েলের অনীহার কারণে ভেস্তে গেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে তাঁর দায়িত্বকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। রাষ্ট্রদূত সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসে আলাপ করতে দেখে ভালো লাগছে। নির্বাচনের পরও এ ধরনের সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্র করে সনদে স্বাক্ষরের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক। তিনি আরও বলেন, এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতেও সহায়ক হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জার্মানিতে পড়াশোনার আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে স্বাগত জানান। এ ছাড়া তাঁরা রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে জার্মানির সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। অধ্যাপক ইউনূস তরুণ প্রজন্মের শক্তির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে তরুণেরা এখন সহজেই মত প্রকাশ করতে পারে, একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এবং অন্যায় চিহ্নিত করতে পারে। তবে তিনি ভুয়া তথ্যের ঝুঁকির ব্যাপারেও সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘ভ্রান্ত তথ্য আসন্ন নির্বাচনের আগে আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিবহন খাত বাঁচাতে দোষীদের ধরুন
  • চুরি-ছিনতাই কমাতে কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার করা জরুরি
  • বিএনপি-জামায়াত দুই দলকেই কথায় বিদ্ধ করলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
  • পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সর্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা জানাল বাংলাদেশ
  • ‘আমার তো রাজনীতি নাই, আমার হইল পেটনীতি’
  • জনগণ আর সেই পুরোনো রাজনীতির ফাঁদে পা দেবে না: ফখরুল
  • হাকিমপুরে লোডশেডিং ও ভূতুড়ে বিলের প্রতিবাদ
  • বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, ইসির প্রতি বিএনপির আহ্বান
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ