ভারতীয় শ্রমিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া কঠোর করল সৌদি
Published: 15th, January 2025 GMT
ভারতীয় কর্মীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া অনেকটা কঠোর করল সৌদি আরব। এখন থেকে সৌদিতে কাজের ভিসা পেতে ভারতীয়দের পেশাগত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রাক-যাচাই করাতে হবে। খবর এনডিটিভির।
সৌদি দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪ জানুয়ারি থেকে এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে। নতুন এ প্রক্রিয়া ছয় মাস আগে প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর লক্ষ্য হলো সৌদি আরবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সীমিত সক্ষমতা বিবেচনায় শ্রমবাজারের মান বজায় রাখা এবং দক্ষ কর্মী নিয়োগ নিশ্চিত করা।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মানবসম্পদ বিভাগগুলোকে প্রবাসী কর্মীদের জমা দেওয়া তথ্য এবং সনদ যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সৌদি আরব ইকামা (বাসস্থানের অনুমতি) নবায়ন ও এক্সিট-রিএন্ট্রি ভিসা বাড়ানোর নিয়মও হালনাগাদ করেছে।
আরো পড়ুন:
অর্থ উপদেষ্টা সৌদি আরব যাচ্ছেন শনিবার
ভারী বৃষ্টিতে মক্কা-মদিনায় বন্যা
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীদের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী ভারতীয়। বর্তমানে দেশটিতে ২৪ লাখেরও বেশি ভারতীয় কাজ করছেন। যার মধ্যে বেসরকারি খাতে ১ লাখ ৬৪ হাজার কর্মী এবং ৭ লাখ ৮৫ হাজার গৃহকর্মী রয়েছেন।
ভারতীয় কর্মীরা সৌদি আরবের শ্রমবাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে, ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে যে, আবেদনকারীদের যাচাই করার জন্য ভারতে পর্যাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্র নেই।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী, নিয়োগের মান উন্নয়নে দক্ষ প্রবাসী প্রতিভা আকর্ষণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো উন্নত হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে জামায়াতের কর্মী নিহত
রাজশাহী নগরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ওমর ফারুক (২৬) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নগরের আলীগঞ্জ পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ওমর ফারুক ওরফে শান্ত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছে মহানগর জামায়াত। দলটি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওমর ফারুকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ওমর ফারুক নামের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামী এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে মহানগর জামায়াতের আমির কেরামত আলী ও সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল অভিযোগ করেন, কাশিয়াডাঙ্গা থানার আলীগঞ্জ এলাকায় সুদের কারবারি স্থানীয় যুবলীগ কর্মী নয়ন, রুবেল ও রিপনের সঙ্গে হালিম নামের এক ব্যক্তির সুদের টাকা নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় তর্ক চলছিল। এ সময় জামায়াত কর্মী ওমর ফারুক তাঁদের থামাতে যান। তখন সুদের কারবারিরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতারা এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। একই সঙ্গে নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তাঁরা।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে দুটি বিষয় জানতে পেরেছেন। একটি হলো সুদের টাকার বিরোধে ওমর ফারুক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গিয়েছিলেন। অন্যটি জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটনা। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।