‘ভারত যে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে, এটি আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের বাইরে’
Published: 15th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারত যে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে, এটি আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের বাইরে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি ৩ দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। আসন্ন বেইজিং সফর নিয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘এটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন।’’
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা ভারতকে বলেছি, আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের (বোঝাপড়া) বাইরে এটা হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ফসল চাষ ব্যতীত সীমান্তবর্তী কোনো দেশ তাদের সীমানায় বেড়া কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু ভারত সেটি মানছে না।’’
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে বিধি লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ১০ জানুয়ারি সকালে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় শ্রমিক দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে দেশটির সীমান্তরক্ষীরা। এ ঘটনায় দহগ্রাম সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তথ্য মতে, দহগ্রাম সীমান্তে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৮-এর তিন ফিট দূরত্বে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারত। যার দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ম ণ কর
এছাড়াও পড়ুন:
রম্যা নয়, রজনীকান্তের পছন্দ ছিল ঐশ্বরিয়া
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার রজনীকান্ত। তার অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘পডিয়াপ্পা’। কে. এস. রবিকুমার নির্মিত তামিল ভাষার এ সিনেমা ১৯৯৯ সালের ১০ এপ্রিল মুক্তি পায়। সিনেমাটির প্রধান দুই চরিত্রে ‘পডিয়াপ্পা’ ও ‘নীলাম্বরি’। এ দুটো চরিত্র যথাক্রমে রূপায়ন করেন রজনীকান্ত ও রম্যা কৃষ্ণান। ২৬ বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি পুনরায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে এটি।
‘পডিয়াপ্পা’ সিনেমার পুনরায় মুক্তি উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা রজনীকান্ত। তাতে তিনি জানান, কালজয়ী সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘নীলাম্বরি’ এর জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
আরো পড়ুন:
রজনীকান্ত-ধানুশের বাড়িতে বোমা আতঙ্ক
কত আয় করল রজনীকান্তের ‘কুলি’?
‘দ্য রিটার্ন অব পডিয়াপ্পা’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে ভিডিওটি। তাতে রজনীকান্ত জানান, ‘নীলাম্বরি’ চরিত্রটি যখন কল্পনা করেছিলেন, তখন এটি তামিল সিনেমার অন্যতম শক্তিশালী নারী চরিত্র ছিল। সেই সময়ে রজনীকান্তের মনে কেবল ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ছবিই ভেসে উঠেছিল। চরিত্রটিতে কাস্ট করার জন্য সিনেমাটির টিম ৩ মাস চেষ্টা করেছিল। এমনকি, ঐশ্বরিয়ার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। ঐশ্বরিয়া যদি চরিত্রটিতে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করতেন, তবে নির্মাতারা এক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও রাজি ছিলেন। কারণ রজনীকান্তের বিশ্বাস ছিল, সিনেমাটির সফলতা অনেকটাই ‘নীলাম্বরি’ চরিত্রের উপর নির্ভর করছে।
সঠিক ‘নীলাম্বরি’ ছাড়া সিনেমাটি চলবে না। কিন্তু ঐশ্বরিয়া আগ্রহী ছিলেন না। এ তথ্য উল্লেখ করে রজনীকান্ত বলেন, “যদি তিনি (ঐশ্বরিয়া) বলতেন যে, ‘চরিত্রটি ভালো এবং আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’ তবে আমরা এক বছর অপেক্ষা করতাম। কারণ এই চরিত্রটি সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা দরকার ছিল। না হলে সিনেমাটা ভালো চলবে না। আমরা পরে বুঝতে পারি এই চরিত্রে আগ্রহী নন তিনি।”
পরে রজনীকান্ত সিনেমাটির পরিচালক কে. এস. রবিকুমারকে বলেছিলেন, ‘সিনেমাটি কেবল তখনই সফল হবে, যখন নীলাম্বরি চরিত্রে এমন কাউকে নেওয়া হবে যার চোখে শক্তি আছে, যার উপস্থিতি দাপুটে। আর উপযুক্ত কোনো অভিনেত্রীকে পাওয়া না গেলে প্রজেক্টটির কাজ স্থগিত রাখা উচিত।’ পরে পরিচালক রম্যা কৃষ্ণানের নাম প্রস্তাব করেন। শেষ পর্যন্ত রম্যা সিনেমাটির অংশ হন বলেও জানান রজনীকান্ত।
ভক্তদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়ে রজনীকান্ত কালজয়ী সিনেমাটির সিক্যুয়েল নির্মাণের প্রস্তাব দেন। সিক্যুয়েলটির নাম হতে পারে—‘নীলাম্বরি: পডিয়াপ্পা টু’। তবে নির্মাতারা এ নিয়ে কোনো বক্তব্য এখনো দেননি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত