রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজানের নেতৃত্বে বিভা‌গের অতিরিক্ত উপক‌মিশনার, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (প্যাট্রল), মোহাম্মদপুর থানার ওসি, পিআই, পরিদর্শক (তদন্ত) ও মোহাম্মদপুর থানার চৌকস দল এই বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় গ্রেপ্তারদের কাছে অবৈধ মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মাদক কারবারি, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী ও মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিহারে যা করেছেন, বাংলায় হবে না: বিজেপির প্রতি মমতার হুঁশিয়ারি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর রাজ্যে এনআরসি হবে না। ডিটেনশন ক্যাম্পও হবে না। মমতা বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমি ভোট চাইতে আসিনি। নিশ্চিন্তে থাকুন, কাউকে তাড়াতে দেবো না।’

এ সময় বিজেপির প্রতি মমতা হুঁশিয়ারি দেন, ‘বিহারে যা করেছেন, বাংলায় হবে না’। বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে এক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা বলেন।

সভায় দেওয়া বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘ইলেকশন এখনও ডিক্লেয়ার হয়নি। তুমি ডিএমদের ভয় দেখাচ্ছো কেন? মানুষকে বন্ডেড লেবার বানাতে চাইছো। আমরা তো বলেছিলাম, সময় নিয়ে এসআইআর করো, তাড়াহুড়ো কেন? হোয়াই সো হাঙ্গরি? ভোটের জন্য?’

বিজেপির প্রতি তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপির আইটি সেল ভোটার লিস্ট তৈরি করে দেবে। সেই লিস্ট ধরে ভোট করবেন? এটাই ইচ্ছা তো। বিহারে যা করেছেন, বাংলায় হবে না। এজেন্সি দিয়েও নয়।’

আরও পড়ুনভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি ব্রিগেডে গীতাপাঠের সভাস্থলে মাংসযুক্ত প্যাটিস বিক্রি করার অভিযোগে বিক্রেতাদের হেনস্থা ও মারধর করার ঘটনার প্রতিবাদ জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘প্যাটিস বিক্রেতাদের মারধর করা হয়েছে। কাল সবকটাকে গ্রেপ্তার করেছি। এটা বাংলা, উত্তরপ্রদেশ নয়।’

‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচিকে বিঁধে মমতা আরও বলেন, ‘গীতাপাঠ আমরা সবাই করি। তার জন্য পাবলিক মিটিং করার কী আছে?’ তাঁর মতে, ধর্মাচারণ ব্যক্তিগত, তা রাজনৈতিক প্রদর্শনের বিষয় হওয়া উচিত নয়।’

আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজ্যে সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর থেকে ‘পথশ্রী’ ও ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের চতুর্থ পর্বে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার সড়কের কাজের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুনপশ্চিমবঙ্গে এসআইআর–আতঙ্কে ২৮ জনের মৃত্যু, দাবি মমতার১৯ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ