রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজানের নেতৃত্বে বিভা‌গের অতিরিক্ত উপক‌মিশনার, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (প্যাট্রল), মোহাম্মদপুর থানার ওসি, পিআই, পরিদর্শক (তদন্ত) ও মোহাম্মদপুর থানার চৌকস দল এই বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় গ্রেপ্তারদের কাছে অবৈধ মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মাদক কারবারি, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী ও মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও গতিশীল করতে কর্মশালা 

নারায়ণগঞ্জে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।  

স্থানীয় পর্যায়ে গ্রাম আদালত সেবা প্রদান কার্যক্রম আরও গতিশীল করতেই এ কর্মশালার মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন প্রশাসন, এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মীরা  কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেন। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. রায়হান কবির, জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাঈমা ইসলাম, ডিডিএলজি (ভারপ্রাপ্ত), তারিক আল মেহেদী সহকারী পুলিশ সুপার, ডা. মেহেদি হাসান সিভিল সার্জন কার্যালয়, মোঃ আসাদুজ্জামান উপ পরিচালক সমাজসেবা অধিদপ্তরের, কামরুজ্জামান রোমান জেলা তথ্য কর্মকর্তা, টি. এম. রাহসিন কবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার, হাসিনা মমতাজ উপ পরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ভিকারুননেছা, উপ পরিচালক মহিলা অধিদপ্তর। 

কর্মশালায় নারায়ণগঞ্জ জেলার জুলাই ২০২৪ জুন ২০২৫ গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা এবং করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন জেলা ব্যবস্থাপক ফিরোজা বেগম ঝুমুর। 

গ্রাম আদালত নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার টি. এম রাহসিন কবির। এ সময় তিনি গ্রাম আদালত গঠন, কর্মপরিধি, জরিমানা ও এ আদালত কিভাবে জনগনের সহায়তা করতে পারেন বিশদ বর্ননা দেন। 

এরআগে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির তার বক্তব্যে বলেন, দেশে আদালতগুলোতে লাখ লাখ মামলা পেন্ডিং রয়েছে। যে কারণে গ্রামের ছোট ছোট মামলাগুলো গ্রাম আদালতে নিস্পত্তি করা গেলে আদালতে মামলা জট অনেক কমবে।

এ সময় তিনি গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করে বলেন, গ্রাম আদালত থাকলে পক্ষ পাতিত্ব কম হবে। সঠিক প্রক্রিয়ায় বিচার না হলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আসবে। ছোট-খাটো ঘটনা ঘটলে আমরা থানায় চলে যাই। যে বিষয়ে যাই থানাও জানেনা এটা গ্রাম আদালতে বিচার করা সম্ভব। 

ইউপি চেয়ারম্যান হবেন গ্রাম আদালতের বিচারক। তিনি না থাকলে যে মেম্বার যোগ্য বেশী তিনিও গ্রাম আদালতের বিচারক হতে পারবেন। গ্রাম আদালত সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকার রায় দিতে পারবে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ব্যাপব প্রচারণা করতে হবে। 

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্রীন ফর পীচের চেয়ারম্যান আরিফ মিহির, প্রভাত সমাজ কল্যান সংসদের চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার দাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ্ রাসেল, দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি শরীফ সুমন, আলোকিত বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ শাওন, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমীর ইসলাম, ঢাকা নিউজের সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, আজকের নীর বাংলার বার্তা সম্পাদক আনিসুল হক হীরা, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিভিন্ন এনজিও এবং প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ