ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি দীর্ঘদিন ধরেই আড়ালে আছেন। আগে আদনান উদ্দিন কামাল নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে ও মা হওয়ার গুঞ্জন নিয়ে কয়েকবার খবরের শিরোনামে ছিলেন তিনি। তবে এসব নিয়ে টু-শব্দও করেননি পপি। সেসময় আদনান জানান, পপি তাদের পারিবারিক বন্ধু। তার সঙ্গে বিয়ের কোনো প্রশ্নই আসে না। অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্য হল। সেই আদনান উদ্দিন কামালই নায়িকা পপির স্বামী।

জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগেই জাহাজ ব্যবসায়ী আদনান উদ্দিন কামালকে বিয়ে করেন পপি। তাদের সংসারে আয়াত নামে চার বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে পপি খুলনায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছেন, যদিও তিনি মাঝে মাঝে ঢাকায়ও আসেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার একটি বাসাও রয়েছে।

মঙ্গলবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে স্বামী-সন্তান নিয়ে পপির পরিবারের কিছু ছবি। একটিতে স্বামী ও ছেলের সঙ্গে কেক কাটতে দেখা যায় পপিকে। এটি তাদের সন্তান আয়াতের জন্মদিনের ছবি।

এদিকে মঙ্গলবার পপিকে নিয়ে আসে নেতিবাচক একটি সংবাদ। জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে সোমবার (৩ জানুয়ারি) খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় পপির বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার ছোট বোন ফিরোজা পারভীন। সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জিডির বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, পপি পারিবারিক জমি এককভাবে নিজের দখলে নিতে চান। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, বাধা পেলে তিনি ভাই-বোনদের হুমকি দিচ্ছেন, এমনকি তাঁদের মেরে ফেলার ভয়ও দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পপির মা মরিয়ম বেগম মেরির দিকেও নানা হুমকি আসছে।

এসব বিষয়ে জানতে পপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই 

ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ