রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মাহামুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহামেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর মুখ্য মহানগর আদালত-৩ এর বিচারক দেবী রানী চৌধুরী আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় আদালতে নুরুজ্জামানের পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আবেদনটি নামঞ্জুর করেন বিচারক।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহেদ কামাল ইবনে খতিব বলেন, “আসামির বয়স বিবেচনায় আমরা আদালতের কাছে তার জামিনের আবেদন জানাই। তবে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে (নুরুজ্জামন) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি আজিজ কারাগারে

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

গত ৩০ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিস গলির ভাগ্নের বাসা থেকে থেকে সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরদিন আদালতে তোলা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

টিউলিপের বিচারপ্রক্রিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের অদূরদর্শিতা

বাংলাদেশের আদালতে গত সোমবার ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের দোষী সাব্যস্ত হওয়াটা যুক্তরাজ্যে একটি বড় খবর ছিল।

বেলা একটায় বিবিসি রেডিও ৪-এর প্রধান সংবাদ বুলেটিনে এটি দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হিসেবে প্রচার করা হয়। অন্য গণমাধ্যমেও বিষয়টি বড় খবর হিসেবে উঠে আসে।

রায়ের ঠিক এক সপ্তাহ আগে আরেকটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। খবরটি ছিল লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠানো একটি চিঠি নিয়ে।

এ চিঠি টিউলিপ সিদ্দিকের নিয়োগ করা জ্যেষ্ঠ ব্রিটিশ আইনজীবীরা লিখেছিলেন। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, চিঠিটিতে মূলত আইনি ‘ডিউ প্রসেস’ বা ন্যায্য বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিউ প্রসেস বলতে কোনো মামলা যে আইনি কাঠামো ও নিয়মের মধ্যে পরিচালিত হয় এবং বিচার হয়, সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায়।

এটি মামলার মূল যুক্তি বা প্রমাণের বিষয় নয়; বরং কোন নিয়মে সেই বিচার হচ্ছে, সেটিই এর প্রধান বিষয়।

যথাযথ আইনজীবীর সহায়তা পাওয়া বা না–পাওয়া, এটিও ডিউ প্রসেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আরও পড়ুনটিউলিপ যেভাবে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন১৬ জানুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশে অনেক বিশ্লেষক ও মন্তব্যকারী টিউলিপ সিদ্দিক আদৌ ন্যায্য বিচারপ্রক্রিয়া পেয়েছেন কি না, তা নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু এখানে আমি সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি না।

আদালতে কে কী যুক্তি দিয়েছেন বা কোন পক্ষের যুক্তি কতটা শক্ত, সেটিও আমি বিবেচনায় আনছি না। তার বদলে আমি এমন একটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি, যেটি খুব কম আলোচিত হয়েছে।

সেটি হলো যুক্তরাজ্যের জনপরিসর ও গণমাধ্যমে আলোচিত এ বিষয়কে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে সামলেছে, তাকে আসলে গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনার বড় বিপর্যয় বলা যেতে পারে।

এ ছাড়া পুরো ঘটনার সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘমেয়াদি গুরুত্ব কী হতে পারে, সেটিও আমি বিবেচনা করছি।

বাংলাদেশের বাইরে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যসহ বিদেশে থাকা যেকোনো ব্যক্তির কাছ থেকে সম্পদ উদ্ধার করার যে প্রচেষ্টা বাংলাদেশ করছে, এ ঘটনা সেই প্রচেষ্টার ওপর কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সেটিও আমি বিবেচনা করছি।

সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো পর্যালোচনা করে স্পষ্টভাবে বোঝা গেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে কোনো শক্ত পাল্টা বর্ণনা বা ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর ফলে টিউলিপ সিদ্দিক ও তাঁর জনসংযোগ বা মিডিয়া টিমের জন্য মাঠটা পুরো খালি হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার আদৌ কোনো পাল্টা বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কি না, সেটিও স্পষ্ট নয়।

দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের আইনজীবীদের চিঠিটিতে মূলত আইনি ‘ডিউ প্রসেস’ বা ন্যায্য বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু
  • সুপ্রিম কোর্টের অন্য রকম ফ্যাশন শোয়ে মডেল হলেন আইনজীবীরা, দেখুন ছবিতে
  • ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রিমান্ডে
  • নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ
  • ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চেয়ে ফজলুর রহমান বললেন, ‘স্লিপ অব টাং হয়ে যেতে পারে’
  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে আমার নামে মামলা হয়েছে: শিশির মনির
  • পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটাই বাতিল হওয়া উচিত: আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া
  • বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে প্রথম জাতীয় আইন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন, তদন্তে ডিবি
  • টিউলিপের বিচারপ্রক্রিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের অদূরদর্শিতা