সুইডেনে শিক্ষাকেন্দ্রে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
Published: 4th, February 2025 GMT
সুইডেনের মধ্যাঞ্চলে একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী স্টকহোমের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, গুলির ঘটনার পর ‘বিপদ এখনো শেষ হয়নি।’ লোকজনকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্কও করেছে তারা। খবর বিবিসির
হামলার শিকার স্কুলটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। যারা সময় মতো প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করতে পারেননি, এমন বয়স্ক লোকজনই মূলত এই স্কুলে পড়াশোনা করেন।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাকে আপাতত হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র–সংক্রান্ত গুরুতর অপরাধ বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তার খাতিরে আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাবি অধ্যাপকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ছাত্রদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এরশাদ হালিমের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারাও।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে প্রক্টরের আশ্বাসে রাতে কর্মসূচি শেষ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দুই কার্যদিবসের মধ্যে এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের প্রতিবেদন দিতে হবে এবং তাঁকে চার কার্যদিবসের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। এ সময় তাঁরা রসায়ন বিভাগে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর করা যৌন নিপীড়নের মামলায় গত বৃহস্পতিবার অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদের যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার এই শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার সন্ধ্যায় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ বলেন, একজন অপরাধী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হয় এবং প্রমাণিত হয়, তখন দুটি জায়গা থেকে তার মৌলিক শাস্তি আসা উচিত। একটি হলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আরেকটি রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুই জায়গাতেই যথেষ্ট গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। শুধু গাফিলতি নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা বিষয়টি উপক্ষা করছে।
ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মাদ বলেন, ‘আপনারা জানেন অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করার পরে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জবাবদিহি করা। কিন্তু তাঁর রিমান্ডের আবেদনই করা হলো না। এটি একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁকে কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী শেল্টার দিচ্ছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করলে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ এসে তাঁদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আসার পর রসায়ন বিভাগে দ্রুত একাডেমিক মিটিং করে গত বৃহস্পতিবার অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল থেকে তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।