সুইডেনের মধ্যাঞ্চলে একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী স্টকহোমের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, গুলির ঘটনার পর ‘বিপদ এখনো শেষ হয়নি।’ লোকজনকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্কও করেছে তারা। খবর বিবিসির 

হামলার শিকার স্কুলটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। যারা সময় মতো প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করতে পারেননি, এমন বয়স্ক লোকজনই মূলত এই স্কুলে পড়াশোনা করেন।

এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাকে আপাতত হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র–সংক্রান্ত গুরুতর অপরাধ বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তার খাতিরে আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। পাশাপাশি এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার ‘শ্রমিকের প্রাণ ও স্বপ্ন হত্যার প্রতিবাদে’ রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপ্রধান ও শ্রম কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, শ্রমিকের মৃত্যু একটা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের নজির।

আবাসিক এলাকায় কারখানা, রাসায়নিক গুদামসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার কারণে অতীতেও বিপুলসংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং সব সময়ই এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শ্রমিক ও নিম্ন আয় শ্রেণিরর কর্মজীবীরা। এই সংকট সমাধানে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এমন কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে।

গত মঙ্গলবার শিয়ালবাড়িতে পাঁচতলা একটি পোশাক কারখানা ও এর লাগোয়া একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনমিরপুরে আগুন লাগা রাসায়নিকের গুদাম থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে১২ ঘণ্টা আগে

সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী বলেন, বারবার কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া শ্রমিক পরিবারগুলো কেবল শোকবার্তা আর ক্ষতিপূরণ চায় না, তারা ন্যায়বিচার চায়। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যেন বন্ধ হয়—তেমন সংস্কার চায়। সেটি নিশ্চিত করাই হবে শ্রমিকদের জন্য ‘নতুন বন্দোবস্ত’।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, শিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সংগঠক কায়সারী প্রধান কেকা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসুসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিল্পী, অধিকারকর্মী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুনরাসায়নিক গুদামটি অবৈধ, তিনবার নোটিশও দেওয়া হয়েছিল: ফায়ার সার্ভিস১৫ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ