সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গুচ্ছভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আখন্দ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ জানায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও গুচ্ছ পরীক্ষায় থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এর আগে, মঙ্গলবার সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গুচ্ছ পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুরে ইউজিসি কার্যালয়ে জড়ো হয়ে দুটি গেট অবরোধ করেন এবং গুচ্ছপদ্ধতি অব্যাহত রাখার পক্ষে তারা স্লোগান দেন। তবে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জেনে তারা গেট খুলে দিয়েছেন।

শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলেন, আপাতত আমরা বিক্ষোভ স্থগিত করছি। তবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে এই ২০ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত থাকবে।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলে ম্যাচে মারামারির ঘটনায় ১৭ লাল কার্ড

বলিভিয়ার বার্ষিক কাপ প্রতিযোগিতা কোপা বলিভিয়া। দেশটির শীর্ষ লিগের ১৬টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। গত পরশু কোয়ার্টার ফাইনাল ফিরতি লেগে জেসুস বারমুদেজ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক হয়ে ব্লুমিংয়ের মুখোমুখি হয় রিয়াল অরুরো। প্রথম লেগ ২-১ গোলে জেতায় ফিরতি লেগ ২-২ গোলে ড্র করেও দুই লেগ মিলিয়ে শ্রেয়তর গোল ব্যবধানে সেমিফাইনালে ওঠে ব্লুমিং। কিন্তু এই ম্যাচের ফল ছাপিয়ে আলোচনায় দুই দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের মারামারির ঘটনা এবং ১৭টি লাল কার্ড!

বলিভিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘এল পোতোসি’ জানিয়েছে, ফিরতি লেগের ম্যাচ শেষে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। স্বাগতিক দল রিয়াল অরুরোর খেলোয়াড় এবং স্টাফরা মারামারি শুরু করেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে।

অফিশিয়াল সম্প্রচারকদের ফুটেজ থেকে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, রিয়াল অরুরোর খেলোয়াড় সেবাস্তিয়ান জেবায়োস, হুলিও ভিলা ও কোচ মার্সেলো রোবলেদো ম্যাচ শেষে পাশের অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের ওপর চড়াও হন। জেবায়োসকে ব্লুমিংয়ের খেলোয়াড়েরা শান্ত করার চেষ্টা করেন। কোচ রোবলেদো বলিভিয়া জাতীয় দলের এক অফিশিয়ালের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান। ভিলা ঘুষি মারেন ব্লুমিংয়ের খেলোয়াড়কে।

মারামারি লাগার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। এল পোতোসির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফিরতি লেগের ফল মেনে নিতে পারেনি রিয়াল অরুরোর খেলোয়াড়েরা। মেজাজ হারিয়ে তারা এই কাণ্ড ঘটান।

আরও পড়ুনকাতারে ছোটদের বিশ্বকাপ জিতল পর্তুগাল, রোনালদোর অভিনন্দন২ ঘণ্টা আগে

দুই পক্ষকে শান্ত করতে ২০ জন পুলিশ মাঠে ঢুকে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেন। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’ জানিয়েছে, অফিশিয়াল ম্যাচ প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্লুমিংয়ের ৭ জন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখান রেফারি। রিয়াল অরুরোর ৪ জন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানো হয়। দুই দলের কোচিং স্টাফ থেকে আরও ৬ জনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। সব মিলিয়ে মোট ১৭ জন লাল কার্ড দেখেন।

মিরর আরও জানিয়েছে, ব্লুমিংয়ের অন্তত ছয়জন খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখার নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের কাপ প্রতিযোগিতায় দলটির পরবর্তী ম্যাচগুলোয় খেলতে পারবেন না। তবে রেফারি রেনান কাস্তিয়ো ম্যাচের সম্পূরক প্রতিবেদন বলিভিয়ার স্পোর্টস ডিসিপ্লিনারি ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর পর শাস্তি আরও বাড়তে পারে। বলিভিয়ান অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ভিশন৩৬০’ জানিয়েছে, রিয়াল অরুরোর কোচ রোবলেদো কাঁধে আঘাত পেয়েছেন এবং তাঁকে হাসপাতালেও যেতে হয়।

আরও পড়ুনফিফার ‘সাপও মরল, লাঠিও ভাঙল না’ নীতি—রোনালদোর শাস্তি স্থগিতের আসল গল্প৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ