সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গুচ্ছভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আখন্দ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ জানায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও গুচ্ছ পরীক্ষায় থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এর আগে, মঙ্গলবার সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গুচ্ছ পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুরে ইউজিসি কার্যালয়ে জড়ো হয়ে দুটি গেট অবরোধ করেন এবং গুচ্ছপদ্ধতি অব্যাহত রাখার পক্ষে তারা স্লোগান দেন। তবে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জেনে তারা গেট খুলে দিয়েছেন।

শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলেন, আপাতত আমরা বিক্ষোভ স্থগিত করছি। তবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে এই ২০ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত থাকবে।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইসরায়েল

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা করার জন্য রোববার কাতারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতের শেষদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, তিনি আলোচকদের নির্দেশ দিয়েছেন—  তারা যাতে মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে।

তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় হামাস যে পরিবর্তনের শর্ত দিয়েছে, সেটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

গত শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়েছে এবং তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

তবে একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এমন কিছু সংশোধন চেয়েছে যার মধ্যে একটি হলো— স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হলেও নিশ্চিত করতে হবে যে, নতুন করে কোনো হামলা হবে না।

গাজার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলা ও গুলিতে অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের বরাতে জানানো হয়, আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুগুলোর ওপর বোমা হামলায় এক চিকিৎসক ও তাঁর তিন সন্তানসহ সাতজন নিহত হন।

এদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের দুই মার্কিন কর্মী খান ইউনিস এলাকায় একটি গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে। যদিও হামাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, তখন থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন নিহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ