Prothomalo:
2025-05-01@10:55:44 GMT

শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন

Published: 7th, February 2025 GMT

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার ইউএনবিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনতা রাজধানীর বনানীতে সেলিমের বাসায় আগুন দিয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।

ভারতে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বক্তৃতা প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গত বুধবার রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের পর গত বুধবার রাতে খুলনায় ‘শেখ বাড়ি’ ভাঙচুর করা হয়। এরপর কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হানিফের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গত দুদিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কমপক্ষে ১৩টি বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের অর্ধশত ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাতটি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত সারা দেশ থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুনগাজীপুর, বরিশালসহ ৩৫ জেলায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন ৫৮ মিনিট আগেআরও পড়ুনটঙ্গীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ও তাঁর চাচার বাড়িতে ভাঙচুর, মালামাল লুট৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চা শ্রমিকদের জীবন: সামান্য বেতনে বেঁচে থাকার সংগ্রাম

চা বাগানে নারী শ্রমিকরাই বেশি কাজ করেন। সকাল থেকে ছাতা, চুপড়ি নিয়ে বের হন, রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে তারা টিলায় টিলায় কাজ করেন দিনভর। ১৬৮টি চা বাগানে রয়েছেন দেড় লাখ চা শ্রমিক। তারা পাচ্ছেন না ন্যায্য মজুরি। তাদের জীবনে রয়েছে নানা বঞ্চনার গল্প। জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের সংগ্রামী জীবনের বাঁকে বাঁকে সৃষ্টি হয় নতুন উপাখ্যান।

তবে বৈষম্য ছেড়ে দেয়নি তাদের। নতুন করে চা শিল্পে নানা সংকট দেখা দিয়েছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে উৎপাদন খরচ। এর মধ্যে বাজারে চায়ের দাম কমে যাওয়ায় বাগান চালাতে মালিকপক্ষ হিমশিম খাচ্ছেন।

চা শ্রমিকরা জানান, তাদের জীবনমান উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ। উপযুক্ত মজুরি না পাওয়ায় দেড়শ বছর ধরে তারা বৈষম্যের শিকার। চা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চা উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারে চায়ের দাম কমে গেছে। বাজার দখল করে নিয়েছে চোরাই পথে আসা নিম্নমানের চা। ভোক্তারা না জেনেই নিম্নমানের চা কিনছেন।

আরো পড়ুন:

সমান কাজ করেও কম মজুরি পান আদিবাসী নারীরা

গাজীপুরে পেশা বদলাচ্ছেন অনেক শ্রমিক 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৌলভীবাজার কুলাউড়া লংলাভ্যালীর বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে শ্রমিকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, শ্রমিক দিবস নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। কাজ করতে পারলেই ভালো থাকেন তারা।

কথা হয় করিমপুর চা বাগানে কর্মরত শ্রমিক শেফালী গোয়ালার সাথে। তিনি বলেন, “আমার স্বামী নেই। ১৭০ টাকা মজুরি পেয়ে কষ্টে চলে সংসার। দু্ই মেয়ে লেখাপড়া করে। তাদের খরচ জোগাতে অনেক কষ্ট হয়।”

ইটা চা বাগানের চা শ্রমিক রুবি মৃগধা বলেন, “বাজারে চায়ের দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদেরও মজুরি বাড়বে। বর্তমান মজুরি দিয়ে চলতে কষ্ট হয়।” একই ভ্যালীর উত্তর ভাগ চা বাগানের শ্রমিক ভারতী গোড়াইত বলেন, “ম্যানেজার বলেন চা পাতার দাম নেই। বাজারে পাতার দাম বাড়লে আমাদেরও মজুরি বাড়বে। এই মজুরি দিয়ে সংসার চালানো কঠিন।”

লংলাভ্যালীর সভাপতি শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, “চা শ্রমিকরা যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার। নানা অজুহাত দেখিয়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে না।”

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ বলেন, “দেড়শ বছর ধরে চা শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার। ১৬৮টি চা বাগানে রয়েছেন দেড় লাখ চা শ্রমিক। ১৫ বছর পর ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটলেও শ্রমিকদের ন্যূনতম একটা মজুরি বৃদ্ধি হয়নি। বাগান কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করছে না।”

কথা হয় চা বিশেষজ্ঞ ও উত্তরভাগ চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার মো. লোকমান চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, “১ কেজি চা পাতা উৎপাদন খরচ বর্তমানে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর বিক্রি করতে হয় ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি দিয়ে বাগান চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে আসছে। অনেক বাগানই বন্ধ হওয়ার পথে। বাজারে চায়ের দাম কমে গেছে, বাজার দখল করে নিয়েছে চোরাই পথে আসা ভারতের নিম্নমানের চা। ভোক্তারা না জেনেই নিম্নমানের চা ক্রয় করছেন। আমরা চায়ের সঠিক মূল্য পাচ্ছি না।”

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ