যুদ্ধ ও তার প্রতিহিংসার বীভৎস রূপ
Published: 15th, February 2025 GMT
যুদ্ধ আর তার প্রতিহিংসায় সম্পর্কগুলোর এক অদ্ভুত বীভৎস রূপ দেখা যায় কালে কালে। এক নারীর জীবনের আখ্যান শেষ হয় চূড়ান্ত এক ট্র্যাজেডিতে। এমনই সংবেদনশীল এক ঘটনা নিয়ে ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারি থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘দগ্ধা’ নাটকের ৩য় ও চতুর্থ মঞ্চায়ন করবে ফেইম স্কুল অব ডান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিকের নাট্যকলা বিভাগ। লেবানিজ বংশোদ্ভূত নাট্যকার ওয়াজদি মাওয়াদের ‘ইনসেন্ডিস’ নাটকের এ প্রযোজনা অনুবাদ করেছেন অসীম দাশ ও অন্বেষা দাশ। চিরকালীন কিন্তু অদ্ভুত এক সময়ের গল্প এ নাটকের। আছে ভীষণ এক অযাচিত, অকল্পনীয় পরিশেষ।
একটি বিরতিসহ ৩ দশমিক ১৫ ঘণ্টার এ নাটক শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে। ফেইম পরিচালক অসীম দাশের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ফেইমের ২৯তম প্রযোজনাটিতে অভিনয় করছেন যীশু দাশ, মুবিদুর সুজাত, কমল বড়ুয়া, দীপ্ত চক্রবর্তী, সাবিহা বিনতে জসিম, পূজা বিশ্বাস, অমিতা বড়ুয়া, নওয়াজেশ আশরাফ ঈশাদ, অরুণা দত্ত, সগীরুল আলম, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মোহাম্মদ রাসেল। আবহ ও নেপথ্যে আছেন ফরহাদ হোসেন পাপ্পু, এমএ সামি ও আবদুল মালেক। এই প্রযোজনা নির্মাণে সহযোগিতায় ছিল আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রাম ও ফরাসি দূতাবাস।
নাটক দেখে মুগ্ধ কলেজছাত্রী অনিমা রায়। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা আমাদের সম্পর্কগুলোকে বীভৎস করে, মানুষকে মানুষের প্রতি বিষিয়ে তুলে। দগ্ধা নাটকে সেই চিত্র এসেছে শিল্পীদের দারুণ অভিনয়ে। এই ধরনের নাটক আমরা আরও দেখতে চাই।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।