সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের আরও অবনমন, ফিনল্যান্ডই সবচেয়ে সুখী
Published: 20th, March 2025 GMT
সুখী দেশের তালিকায় আরও পাঁচ ধাপ পিছিয়ে এ বছর ১৩৪তম অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল আফগানিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের পেছনে। এ বছর তালিকায় থাকা ১৪৭টি দেশের মধ্যে সবার শেষে রয়েছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ ২০২৪ সালে তালিকায় ১২৯তম, ২০২৩ সালে ১১৮তম এবং ২০২২ সালে ৯৪তম অবস্থানে ছিল। অর্থাৎ টানা চার বছর সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের শুধু অবনমনই হয়েছে।
এ বছর সুখী দেশের তালিকায় ভারত আছে ১১৮ নম্বরে। ভারতের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে নেপাল (৯২) ও পাকিস্তান (১০৯)। দক্ষিণ এশিয়ার আরও দুই দেশ মিয়ানমার ১২৬তম এবং শ্রীলঙ্কা ১৩৩তম অবস্থানে।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস প্রতিবেদনে এ বছরও সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বরে ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে টানা অষ্টমবার দেশটি সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বর স্থান দখল করেছে।
আজ ২০ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ বা ‘বিশ্ব সুখী দিবস’। ২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০ মার্চকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে।
১৪০টির বেশি দেশ থেকে গ্যালাপ বিশ্ব জরিপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের সর্বশেষ তিন বছর কেমন কেটেছে, তার তথ্য দেন এবং সেই ভিত্তিতে দেশের মানুষের সুখী হওয়ার একটি গড় মূল্যায়ন করা হয়। এবারের প্রতিবেদনের জন্য ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
গ্যালাপ, দ্য অক্সফোর্ড ওয়েলবিং রিসার্চ সেন্টার ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) ও একটি সম্পাদকীয় পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জরিপে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে তাঁদের সার্বিক জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির ওপর নম্বর দিতে বলা হয় এবং জীবন নিয়ে ওই পর্যালোচনার ভিত্তিতে তালিকায় দেশগুলোর অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। জীবন নিয়ে পর্যালোচনায় সহায়তার জন্য প্রতিবেদনে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সূচকগুলো হলো—মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সহায়তা, সুস্থ জীবনযাপনের প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতি নিয়ে মনোভাব।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও সুখী দেশগুলোর তালিকায় নর্ডিক দেশগুলোর আধিপত্য স্পষ্ট। ফিনল্যান্ডের পরই আছে ডেনমার্ক। এরপর আইসল্যান্ড ও সুইডেন। ২০২৪ সালের তালিকাতেও এই চার দেশের অবস্থান এমনই ছিল। আরেক নর্ডিক দেশ নরওয়ে আছে তালিকায় ৭ নম্বরে।
গ্যালাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলানা রন-লেভি বলেন, ‘ফিনল্যান্ডের মতো নর্ডিক দেশগুলোয় সবার জন্য উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সামাজিক সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। ভালো থাকার ক্ষেত্রেও বৈষম্য অনেক কম।’
আরও পড়ুন‘আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি’২০ মার্চ ২০২৪সুখী দেশের তালিকায় প্রথম দশে আরও স্থান পেয়েছে নেদারল্যান্ডস (৫), ইসরায়েল (৮) ও লুক্সেমবার্গ (৯)।
এখন পর্যন্ত তালিকায় এ বছরই সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর দেশটি তালিকায় ২৪ নম্বরে।
এ বছর তালিকায় শেষের দিক থেকে আফগানিস্তানের ওপরে আছে যথাক্রমে সিয়েরা লিওন, লেবানন, মালাবি, জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন বিশ্বের শীর্ষ ১০ সুখী দেশ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ন ২০২৪ স এ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কস অলরাউন্ডার: ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরসহ ৯ জেলায় কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে এখন চলছে প্রতিভার উচ্ছ্বাস ‘মার্কস অলরাউন্ডার’। ‘দেখাও যত প্রতিভা তোমার’ স্লোগানে আয়োজিত দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্মটি শিশু-কিশোরদের নিজেদের সম্ভাবনা প্রকাশের মঞ্চ হয়ে উঠেছে। বরাবরের মতো এবারের আয়োজনটিও পাচ্ছে দর্শক ও অংশগ্রহণকারীদের দারুণ সাড়া। প্রতিযোগিতাটি তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে—আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে। এরই মধ্যে অনেক স্থানে প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ নভেম্বর) ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও পঞ্চগড় অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ৭ নভেম্বর, শুক্রবার
ভেন্যু: কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলা।
ভেন্যু: কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাসপাতাল রোড, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা।
ভেন্যু: ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ, আকুয়া, ময়মনসিংহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ময়মনসিংহ সদরের একাংশ (আকুয়া, সানকিপাড়া, কলেজ রোড, কাচিঝুলি, পুলিশ লাইনস, নয়াপাড়া, মাসকান্দা, দিগারকান্দা ও সুতিয়াখালী), মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, ভালুকা ও গফরগাঁও থানা।
তারিখ: ৮ নভেম্বর, শনিবার
ভেন্যু: ঝিনাইদহ নিউ একাডেমি স্কুল, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা।
ভেন্যু: ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ময়মনসিংহ সদরের একাংশ (টাউন হল, কাচারি, চরপাড়া, ব্রিজ মোড়, গাঙ্গিনাপাড়, পণ্ডিতপাড়া, মেছোয়া বাজার, ছোট বাজার ও বড় বাজার), গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, তারাকান্দা, ফুলপুর, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া থানা।
ভেন্যু: নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, পিটিআই রোড, নীলফামারী সদর, নীলফামারী।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলা।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়—প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা); পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাইস্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)
ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, যশোর, মাগুরা, নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, নাটোর, পাবনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, জামালপুর, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
পুরস্কারমার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট এক কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে পাঁচ লাখ এবং তিন লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফরমারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।
আয়োজকদের মতে, মার্কস অলরাউন্ডার শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা, মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস বিকাশের একটি অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এই আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের জন্য হয়ে উঠেছে শেখার, নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার এবং ভবিষ্যতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে। ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।