হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে বিবেচনা করে তার ওপর কর আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করার পর মঙ্গলবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে এ হুমকি দিয়েছেন। 

ট্রাম্প বলেছেন, “হার্ভার্ড যদি রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রেরণা/সমর্থনমূলক ‘অসুস্থতা?’ প্রচার করতে থাকে, তাহলে তার করমুক্তির মর্যাদা হারানো উচিত এবং রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে কর আরোপের আওতায় আনা উচিত। মনে রাখবেন, করমুক্তির মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে জনস্বার্থে কাজ করার উপর নির্ভরশীল!” 

ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবেলা করতে গত সপ্তাহে হার্ভার্ডকে এক গুচ্ছ দাবির একটি তালিকা পাঠানোর কথা জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। এর মধ্যে হার্ভার্ডের বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচি বাতিল করা, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে মুখোশ নিষিদ্ধ করা, যোগ্যতা-ভিত্তিক নিয়োগ ও ভর্তি সংস্কার এবং অনুষদ ও প্রশাসকদের বৃত্তির চেয়ে সক্রিয়তার প্রতি বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার ক্ষমতা হ্রাস করার মতো বিষয়গুলো ছিল।

তবে সোমবার প্রশাসনের এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ড বলেছে, হোয়াইট হাউজ তাদের ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা করেছে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নীতি পরিবর্তনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের চাপকে প্রত্যাখ্যান করলো।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হলো ১৬ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাঅস্ট্রেলিয়ায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিশ্বের প্রথম নিষেধাজ্ঞা। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ৫০ লাখ শিশু এবং ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী দশ লাখ শিশু রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সরকার এই আইনটি নিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত। তারা জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয় বরং তারা বাবা-মায়ের পক্ষে এবং বাচ্চাদের অনলাইনে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করছে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস, এক্স, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, রেডডিট, কিক, টুইচ এবং টিকটক বুধবার থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট অপসারণ এবং কিশোর-কিশোরীদের নতুন অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেবে। যেসব প্ল্যাটফর্ম এই নীতি মেনে চলবে না তাদের চার কোটি ৯৫ লাখ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

নতুন এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার আদালতে মামলা হয়েছে। একটি অধিকার গোষ্ঠীর সমর্থিত ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরী, নোয়া জোন্স এবং ম্যাসি নেইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ আদালতে যুক্তি দিচ্ছেন যে এই আইন তাদের মুক্ত যোগাযোগের অধিকার হরণ করছে।

ডিজিটাল ফ্রিডম প্রজেক্ট (ডিএফপি) এই মামলাটি করেছে। গোষ্ঠীটি যুক্তি দিয়েছে যে, কিশোর-কিশোরীরা তথ্য এবং সংঘবদ্ধতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপর নির্ভর করে। এই নিষেধাজ্ঞা দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের - প্রতিবন্ধী তরুণ, প্রথম জাতির যুবক, গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু এবং এলজিবিটিকিউ+ কিশোর-কিশোরীদের ক্ষতি করতে পারে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী আনিকা ওয়েলস সংসদে বলেছেন, “আমরা হুমকিতে ভীত হব না। আইনি চ্যালেঞ্জে ভীত হব না। আমরা বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ভয়ে ভীত হব না। অস্ট্রেলিয়ান পিতামাতার পক্ষে, আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়াব।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ