কিশোরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝ‌টিকা মিছিল করা হয়েছে। র‌বিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে মিছিলের ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। 

মি‌ছিলে ইউনুস সরকা‌রের বিরু‌দ্ধে নানা ধর‌ণের স্লোগান দেওয়া হয়। মি‌ছিল থে‌কে ‘শেখ হা‌সিনা বী‌রের বে‌শে, আস‌বে আবার বাংলা‌দে‌শে’, ‘জয় বাংলার হা‌তিয়ার, গ‌র্জে ও‌ঠো আরেকবার’, ‘মু‌জিব সেনা ভীরু নয়, লড়াই ক‌রে আন‌বে জয়’, ‘শেখ হা‌সিনা আস‌বে, বাংলা‌দেশ হাস‌বে’ ইত‌্যা‌দি স্লোগান দি‌তে শোনা যায়।

ধারণা করা হ‌চ্ছে, আজ ভো‌রে কিংবা সকা‌লে মিছিল হয়ে‌ছে। বিক্ষোভ মিছিল কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে করা হয়েছে। তবে এতে কারা অংশ নি‌য়ে‌ছে, তা স্পষ্ট নয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ২০-৩০ জন তরুণ ‘আইসিটি ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও নেতাদের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক ও বেআইনি কার্যক্রমের প্রতিবাদে মিছিল ও স্মারকলিপি’ লেখা ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করছে। এ সময় মি‌ছিলকারী‌দের অধিকাংশের মুখ কা‌লো কাপ‌ড়ে বাধা ছিল। ফ‌লে তা‌দের চেনা যায়‌নি।

এ বিষ‌য়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের অন্যতম সমন্বয়ক ও গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার জেষ্ঠ‌্য যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে ছাত্র-জনতা মাঠে ছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। আবার যদি আওয়ামী লীগ ও এর দোসররা রাজপথে নেমে আন্দোলনের কিংবা নাশকতার অপচেষ্টা চালায়, তাহলে আমরা তাদের প্রতিহত করবো। আমরা এখনো মাঠে আছি।’’ 

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, ‘‘ইউনূস সরকারের ব্যর্থতার কারণে আওয়ামী লীগ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে। এখন সরকারের উচিত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা। সরকার এ ব্যপারে ব্যবস্থা না নিলে জনগণ আবার ফুঁসে উঠবে।’’  

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘‘শুনেছি একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ধরনের ঝটিকা মিছিল প্রতিহত করতে আমাদের গোয়েন্দা বিভাগগুলো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মিছিলে কারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’’ 

তি‌নি ব‌লেন, বিশ্বরোড ছাড়াও ক‌টিয়াদীর বনগ্রাম এলা‌কা‌তেও এ ধরনের আরেক‌টি মিছি‌লের খবর পাওয়া গেছে। 

ঢাকা/রুমন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক শ রগঞ জ সরক র র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি, বিএনপির উদ্দেশ্যে

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘‘তারা ভেবেছিল ২-৩টা আসন দেখিয়ে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নেবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদের কেনার সাধ্য বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের হয় নাই।’’ 

শনিবার দুপুর ১টায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়ে শহীদ আসিফ চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে নাহিদ বলেন, ‘‘৫ আগস্ট আমরা দরজা খুলে দিয়ে বলেছিলাম আসুন জাতীয় সরকার গঠন করি, দেশ পুনর্গঠন করি। সকল বিভাজন সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি। কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তারা বলেছিল ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে, আবার বলেছে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের কোনো সমর্থন পাওয়া যায়নি।’’ 

দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরাবাসী অতীতেও সোচ্চার ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। চাঁদাবাজ নির্মূলে গ্রামে গ্রামে, পাড়া মহল্লায় কমিটি গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি। 

জাতীয় নাগরিক পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সমম্বয়ক কামরুজ্জামান বুলুর সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল ও চিকিৎসক তাসনীম জারা। মঞ্চে শ্লোগান দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। 

পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির নেতারা। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে শেষ হয়। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় আল-বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
 

ঢাকা/শাহীন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ