বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেলো দুই শিশুর
Published: 20th, April 2025 GMT
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মঙ্গলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশু সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন।
তারা হলো- মঙ্গলপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে হামিদা খাতুন (৮) এবং একই গ্রামের সোলেমান আলীর মেয়ে সাইফা খাতুন (৭)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান, দুপুরে বাড়ির উঠানে লুকোচুরি খেলছিল শিশু দুটি। খেলতে খেলতে তারা পাশের বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির একটি ফ্রিজের আড়ালে গিয়ে লুকানোর সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তারা। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
অনেক অগ্রগতি, তবে কিছু জটিলতাও আছে
সংশোধিত শ্রম আইনে অনেক অগ্রগতি আছে। শ্রমিকের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে পরিধি বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শ্রমিকের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এত দিন মধ্যম সারির কর্মীদের কোনো সুরক্ষা ছিল না। এ ছাড়া সংশোধিত আইনে গৃহশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও তাঁদের পরিপূর্ণ সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। তবে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ পাবেন তাঁরা।
এ ছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন আবেদন সহজ করা হয়েছে। কত জন শ্রমিকের সম্মতি লাগবে, সেটি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। দর–কষাকষিতে ফেডারেশনগুলোর ভূমিকা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য ভবিষ্য তহবিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একটি জাতীয় সামাজিক সংলাপ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কর্তৃপক্ষ করার কথা বলা হয়েছে। এগুলো ইতিবাচক অগ্রগতি।
সংশোধনের পর কিছু ঘাটতি ও জটিলতা রয়ে গেছে। যেমন গৃহশ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকেরা এখনো আইনি সুরক্ষার বাইরে রয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত গাড়িচালক, আউটসোর্সিংকর্মী, দৈনিক ভিত্তিক কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা ও দর–কষাকষির জন্য সংগঠন করার অধিকার দেওয়া এখন সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।
এখন থেকে ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যাবে। এটি বড় কারখানাগুলোতে সুফল দিলেও ছোট কারখানার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করবে। কোনো কারখানায় ৫০ জন শ্রমিক থাকলে কমপক্ষে ২০ জন, অর্থাৎ ৪০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগবে। কারখানার মোট শ্রমিক সংখ্যা ৩০ হলে ৬০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগবে। যেহেতু দেশের অধিকাংশ কারখানা ছোট, সে কারণে এই জটিলতায় শ্রমিকের সুরক্ষা বিঘ্নিত হবে।
একটি কারখানায় পাঁচটি ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ প্রতিষ্ঠানে সমস্যা সৃষ্ট করবে না যদি সেখানে সংগঠন করার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে। একটি ইউনিয়ন যদি কার্যকর হয়, তাহলে আর ইউনিয়ন হবে না। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কেউ যেন ইউনিয়ন করার প্রতিযোগিতায় না নামে, সেটি তদারকি করতে হবে।
জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের কোনো নির্দেশনা সংশোধিত শ্রম আইনে নেই। এটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তায় আরও কড়াকড়ি দরকার ছিল। সব মিলিয়ে বললে, আমরা এক ধাপ এগিয়েছি। আরও এগোতে হবে। তার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমেদ, সাবেক শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান