রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মঙ্গলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশু সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন।

তারা হলো- মঙ্গলপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে হামিদা খাতুন (৮) এবং একই গ্রামের সোলেমান আলীর মেয়ে সাইফা খাতুন (৭)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান, দুপুরে বাড়ির উঠানে লুকোচুরি খেলছিল শিশু দুটি। খেলতে খেলতে তারা পাশের বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির একটি ফ্রিজের আড়ালে গিয়ে লুকানোর সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তারা। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় ৫ জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে পাঁচ জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারের পাঁচটি জুয়েলারি দোকানে চুরি হয়। 

আরো পড়ুন:

শরীয়তপুরে চিকিৎসক দম্পতির বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাকসহ ৩০টি গরু লুট

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের পূর্ব দিকে আঁখি জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স, মধু জুয়েলার্স, উত্তম জুয়েলার্স ও মাতৃ জুয়েলার্স স্বর্ণের দোকান। প্রতিদিনের মতো দোকানের কাজকর্ম সেরে দোকান তালাবদ্ধ রেখে চলে যান ব্যবসায়ীরা। রাত ২টার দিকে গুমানী নদী দিয়ে একটি স্পিডবোটে করে ১২-১৫ জনের ডাকাতদল প্রথমে অষ্টমনিষা বাজারে নামে। তারপর বাজারে থাকা তিনজন নৈশ প্রহরীকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে তারা। এরপর একে একে পাঁচটি জুয়েলারি দোকানে তালা কেটে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আঁখি জুয়েলার্সের ২০ ভরি সোনা, ১৮০ ভরি রুপা ও নগদ ২০ হাজর টাকা; মা জুয়েলার্সের ১১ ভরি সোনা, ৩০০ ভরি রুপা ও নগদ ৪০ হাজার টাকা; মধু জুয়েলার্সে ৫ ভরি সোনা, ৩ লাখ নগদ টাকা ও ২০০ ভরি রুপা; উত্তম জুয়েলার্সে ১২ ভরি সোনা, ১৫ লাখ টাকা ও ১০০ ভরি রুপা এবং মাতৃ জুয়েলার্সে আড়াই ভরি সোনা, ২৫ ভরি রুপা ও দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রতন কর্মকার বলেন, ‘‘রাত ২টার দিকে আমার বাসায় গিয়ে গেটে শব্দ করে ডাকাডাকি শুরু করে ডাকাতদল। তারা নিজেদের প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেয়। এরপরও বাড়ির গেট খুলিনি।’’

আঁখি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আত্তাব আলী বলেন, ‘‘আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।’’ মা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী বলেন, ‘‘অনেক টাকা ঋণ করে দোকান করেছি। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।’’ 

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ভোরে ডাকাতি হওয়া দোকান ও এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করবে।’’ 

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কেউ থানায অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘‘ডাকাতির ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন টিম কাজ করছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ