জাতীয় পা‌র্টির চেয়ারম‌্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তা‌রের দা‌বি‌তে মানববন্ধন ক‌রে‌ছেন জাতীয় পা‌র্টির এক অং‌শের নেতাকর্মীরা।

রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে পার্টির নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন ক‌রেন। এ সময় তা‌দের হা‌তে জিএম কা‌দে‌রের বিরু‌দ্ধে নানা শ্লোগান সম্বলিত ব‌্যানার ফেস্টুন দেখা যায়।

মানববন্ধনে বক্তারা জিএম কা‌দের‌কে ‘সু‌বিধা‌ভোগী আওয়ামী ফ‌্যসিস্টের দোসর’ উল্লেখ ক‌রে ব‌লেন, “জিএম কা‌দের সরকা‌রি সু‌বিধা নি‌য়ে আওয়ামী লী‌গের কা‌ছে শুধু জাতীয় পা‌র্টি‌কে বি‌ক্রি ক‌রে‌নি, নেতাকর্মী‌দের ম‌নোনয়নও বি‌ক্রি ক‌রে কো‌টি কো‌টি টাকা কা‌মি‌য়ে‌ছেন। বিগত নির্বাচ‌নে তার প্রত‌্যক্ষ মদ‌দে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করার বৈধতা পায়, আর এ কার‌ণে বি‌রোধীদ‌লের নেতা, উপ‌নেতাসহ সব ধর‌নের সরকা‌রি সু‌বিধা উপহার হি‌সে‌বে পে‌য়ে‌ছেন। আওয়ামী লী‌গের পত‌নের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তি‌নি সংসদ থে‌কে পদতাগ ক‌রেন‌নি বরং সংসদ বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত বি‌রোধী‌নেতার সু‌বিধা  ভোগ ক‌রে ‌তি‌নি যে ফ‌্যসিস্টের দোসর ছি‌লেন তা প্রমাণ ক‌রে‌ছেন।”

আরো পড়ুন:

জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তার দাবি রওশন গ্রুপের

আ.

লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে যা বললেন জিএম কাদের

মানববন্ধনে জাপা নেতারা ব‌লেন, “জাতীয় পা‌র্টি হু‌সেইন মুহম্মদ এরশা‌দের হা‌তেগড়া সন্তান। যা সা‌বেক রাষ্ট্রপ‌তির অসুস্থতার সুযোগে চেয়ারম‌্যা‌নের পদ দখল ক‌রে ম‌নোনয়ন বা‌ণিজ‌্য, ফ‌্যা‌সিস্ট সরকা‌রের স‌ঙ্গে মি‌লে‌ দুর্নী‌তি ও নানা অপকর্ম ক‌রে জিএম কা‌দের নিজ হা‌তে এই সন্তান‌কে হত‌্যা ক‌রে‌ছেন। আমরা  পা‌র্টির নেতাকর্মীরা তার কবল থে‌কে জাতীয় পা‌র্টির মু‌ক্তি চাই। সততার আড়া‌লে ভণ্ড রাজনী‌তিক জিএম কা‌দেরের শা‌স্তি চাই।”

তারা ব‌লেন, “দুর্নী‌তিবাজ জিএম কা‌দের ও তার স্ত্রী শে‌রিফা কা‌দেরের বিরু‌দ্ধে দুর্নী‌তির অনুসন্ধান চল‌ছে। তাছাড়া জিএম কা‌দের ফ‌্যসি‌স্টের দোসর হি‌সে‌বে একা‌ধিক হত‌্যা মামলারও আসা‌মি। এসব মামলায় আসামিরা জে‌লে থাক‌লেও ঘু‌রে বেড়া‌চ্ছেন তি‌নি। তাই আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দুদকের প্রতি অবিলম্বে জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তা‌রের দা‌বি জানা‌চ্ছি।”

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো- চেয়ারম্যান সুনীল শুভ রায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইদ্রিস আলীসহ ঢাকা মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ এম ক দ র এম ক দ র ন ত কর ম জ এম ক আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে নদীবন্দরের সীমানা নিয়ে উত্তেজনা, বিক্ষোভে পিছু হটল বিআইডব্লিউটিএ

কক্সবাজার শহরে নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে শহরের বাঁকখালী নদীর কস্তরাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে পিছু হটেন বিআইডব্লিউটিএর (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ) কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা আসবেন—এমন খবরেই সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৯টা থেকে বদরমোকাম, কস্তুরাঘাট ও পেশকারপাড়ার লোকজন গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। এতে ওই এলাকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে একই জায়গায় কয়েক শ নারী-পুরুষ এক হয়ে মানববন্ধন করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা কস্তুরাঘাট এলাকায় পৌঁছান। এরপর উত্তেজনা আরও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণের কাজ বন্ধ করেই ফিরে যায় বিআইডব্লিউটিএ।

বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর বাঁকখালী নদীর ওই অংশে উচ্ছেদ অভিযানে ৪৯৬টি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে প্রায় ৬৩ একর জমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার জমি আবার দখলের ঝুঁকি থাকায় কাঁটাতারের বেড়া ও সীমানা পিলার দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বিআইডব্লিউটিএ।

যা বলছেন বিক্ষোভকারীরা

অবরোধকারীদের দাবি, উচ্ছেদ হওয়া স্থানের মধ্যে ব্যক্তিমালিকানাধীন খতিয়ানভুক্ত জমিও রয়েছে। পারুল আক্তার নামের এক নারী বলেন, ‘আমাদের খতিয়ান আছে, খাজনাও দিচ্ছি। ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বা আলোচনা না করে ঘরবাড়ি ভাঙা ও কাঁটাতার দেওয়া চলবে না।’

সাবিনা ইয়াছমিন নামের আরেক নারী বলেন, অনেক পাকা ভবন যখন তৈরি হলো, তখন কেউ থামাননি। এখন হঠাৎ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে অনেকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এ জায়গায় স্থায়ী কোনো অবকাঠামো হতে দেবেন না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের এ মানববন্ধনে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। তাঁদের একজন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি নাসিমা আকতার। তিনি বলেন, বাঁকখালী নদীর দখল নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পৃথক তিনটি মামলা রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ নিয়েও হাইকোর্টে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না করে ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে জায়গাজমিতে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা অন্যায়। আলোচনার মাধ্যমে সংকটের নিরসন না করলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
কর্মসূচিতে থাকা জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক ও আইনজীবী মো. ইসমাইল বলেন, বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ করা জমিতে অসংখ্য মানুষের খতিয়ানভুক্ত জমি রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তিনিসহ ৭৭ জন মামলা করেছেন।

নদী বন্দরের সীমানা নির্ধারণের খবর শুনে সড়কে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে কক্সবাজারের কস্তুরা ঘাট এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে নিখোঁজ ছাত্র অরিত্রকে উদ্ধারে অভিযান শুরুর দাবি
  • কক্সবাজারে নদীবন্দরের সীমানা নিয়ে উত্তেজনা, বিক্ষোভে পিছু হটল বিআইডব্লিউটিএ