প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের একাংশ।

রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ভবন থেকে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদারের নেতৃত্বে এ মিছিল করা হয়েছে। মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ উদ্যানে প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় তারা ‘বৈষম্যের খুনিরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘তুমি কে, আমি কে, পারভেজ পারভেজ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সমাবেশে সুমন সরদার বলেন, “আমাদের ভাই পারভেজকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট এর প্রমাণ রয়েছে। সেখানে থাকা চারজন বৈষম্যবিরোধীর ব্যানারে রাজনীতি করেন।”

তিনি বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনি যদি এর বিচার করতে না পারেন, আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা হাসিনাকে হটিয়েছি। আপনি পদক্ষেপ নিতে না পারলে আপনাকেও চেয়ার থেকে নেমে যেতে হবে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য উন্নত প্রযুক্তি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বহরের জন্য ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা পরিষেবা বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৮ ডিসেম্বরের মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) থেকে কংগ্রেসে পাঠানো এক চিঠি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এই প্যাকেজে রয়েছে লিংক-১৬ ডেটা লিংক সিস্টেম, ক্রিপ্টোগ্রাফিক সরঞ্জাম, এভিওনিকস (বিমানচালনা সরঞ্জাম) হালনাগাদকরণ, প্রশিক্ষণ এবং ব্যাপক লজিস্টিক্যাল সহায়তা।

ডিএসসিএ জানিয়েছে, এই সরঞ্জাম বিক্রির মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য পূরণ করতে চায়। এর ফলে পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। ভবিষ্যতের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত থাকতে পারবে।

এই আধুনিক যন্ত্রপাতিগুলো পাকিস্তানের পুরোনো ব্লক–৫২ এবং মিড-লাইফ আপগ্রেড এফ–১৬ যুদ্ধবিমানগুলোকে নতুন করে তৈরি করবে। এতে এসব যুদ্ধবিমান নিরাপদে চালানোর জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে।

ডিএসসিএ আরও বলেছে, এই উন্নত প্রযুক্তি বসানোর ফলে পাকিস্তান ও মার্কিন বিমানবাহিনী যুদ্ধ, মহড়া ও প্রশিক্ষণে সহজে এবং কার্যকরভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। এই মেরামত ও আধুনিকায়নের ফলে বিমানগুলো ২০৪০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে এবং নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দূর হবে।

ডিএসসিএর দাবি, এই সরঞ্জাম বিক্রির কারণে এই অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

প্যাকেজে কী আছে

এই মোট অর্থের মধ্যে বড় সামরিক সরঞ্জামের জন্য ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার খরচ হবে। আর বাকি ৬৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার খরচ হবে অন্যান্য সরঞ্জাম খাতে।

লিংক–১৬ হলো একটি নিরাপদ যোগাযোগব্যবস্থা, যা যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের মধ্যে প্রকৃত সময়ে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। এই প্রযুক্তি জ্যামিং প্রতিরোধ করতে পারে এবং যুদ্ধ চলাকালে নজরদারি, শত্রুকে চিহ্নিত করা, অস্ত্র ব্যবহার এবং দিকনির্দেশনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে।

অন্যান্য সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে শত্রু বা মিত্রকে চিহ্নিত করার উন্নত ব্যবস্থা, যা মিত্র ও শত্রুদের বিমান শনাক্ত করতে পারে।

টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থের কোম্পানি লকহিড মার্টিন এই কাজের প্রধান ঠিকাদার হিসেবে থাকবে। ডিএসসিএ নিশ্চিত করেছে, এই কাজের জন্য পাকিস্তানে অতিরিক্ত কোনো মার্কিন কর্মী বা ঠিকাদারকে পাঠাতে হবে না। এই বিক্রির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিতে কোনো খারাপ প্রভাব পড়বে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ