প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের একাংশ।

রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ভবন থেকে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদারের নেতৃত্বে এ মিছিল করা হয়েছে। মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ উদ্যানে প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় তারা ‘বৈষম্যের খুনিরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘তুমি কে, আমি কে, পারভেজ পারভেজ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সমাবেশে সুমন সরদার বলেন, “আমাদের ভাই পারভেজকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট এর প্রমাণ রয়েছে। সেখানে থাকা চারজন বৈষম্যবিরোধীর ব্যানারে রাজনীতি করেন।”

তিনি বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনি যদি এর বিচার করতে না পারেন, আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা হাসিনাকে হটিয়েছি। আপনি পদক্ষেপ নিতে না পারলে আপনাকেও চেয়ার থেকে নেমে যেতে হবে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণ আটক

শরীয়তপুরে ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেলে জাজিরা উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাজিরা থানা সূত্রে জানা যায়, শিশুটি জাজিরার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থী। আজ বিকেলে প্রতিবেশী এক তরুণ মুঠোফোনে গেম খেলতে দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই তরুণকে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা পিটুনি দেন। এরপর শিশু ও অভিযুক্ত তরুণকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এলাকাবাসী। পরে পুলিশ অভিযুক্ত তরুণকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। পিটুনিতে আহত তরুণকে পুলিশি পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শিশুটির বাবা সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। যে কারণে সব সময় মেয়েকে চোখে চোখে রাখতে পারছিল না। দুপুরে খাওয়ার পর মেয়েটি বাড়ির পাশে খেলছিল। মোবাইলে গেম খেলতে দেওয়ার কথা বলে ওই ছেলে আমার ছোট্ট মেয়েটাকে তার ঘরে নিয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে বাচ্চাটা হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে। বাবা হয়ে তা কীভাবে সহ্য করব?’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লিমিয়া সাদিনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘যৌন নির্যাতনের শিকার একটি শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আমরা তার চিকিৎসা শুরু করেছি। তার শারীরিক অবস্থা বোঝার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।’

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির পরিবার মামলা করার পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ