জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২য় বর্ষের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
Published: 9th, May 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট ২য় বর্ষ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী ২৩ জুন শুরু হবে পরীক্ষা এবং শেষ হবে ২৪ জুলাই। প্রথম দিনে বাংলা জাতীয় ভাষা এবং বাংলা জাতীয় ভাষা বিকল্পপত্র কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা প্রতিদিন দুপুর ২টায় পরীক্ষা শুরু হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী শেষ হবে পরীক্ষা।
বুধবার (৭ মে) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
রুটিন প্রকাশের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষগণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব-সাইট ems.
পরীক্ষা শুরুর ৩ দিন আগে প্রবেশপত্র বিতরণের কাজ শেষ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্রে দেয়া বিষয় কোড অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশ নিবে । ব্যবহারিক পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় পরে জানানো হবে।
ব্যবহারিক পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় পরীক্ষার্থীবৃন্দ নিজ দায়িত্বে জেনে নিবেন। ব্যবহারিক পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক বিষয়ের কেন্দ্র ফি সংশ্লিষ্ট ব্যবহারিক পরীক্ষা কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। ওয়েব-সাইট ems.nu.ac.bd হতে কলেজ পরীক্ষার্থীর রোল বিবরণী ডাউনলোড করে ২ কপি প্রিন্ট আউট নিয়ে ১ কপি সংশ্লিষ্ট কলেজে সংরক্ষণপূর্বক ১কপি কেন্দ্র ফি বাবদ আদায়কৃত ৪৫০ টাকার মধ্যে ৩০০ টাকা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (যে কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে কেন্দ্রের) কাছে পরীক্ষার ৩ দিন আগে জমা দিতে হবে। অবশিষ্ট ১৫০ টাকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজের পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহ করবেন। পরীক্ষার হলে হাজিরা নেয়ার সময় মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেখাতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র ক পর ক ষ স শ ল ষ ট কল জ পর ক ষ র থ র পর ক ষ কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়বে না: শেখ বশিরউদ্দীন
ভারত আরও চারটি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়নি। দুই দেশের মধ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্যের আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি মেটানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে দর–কষাকষি চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ। সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে ১৫ শতাংশের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যা থাকলেও এতটা অস্থিতিশীল নয় যে ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। তাই রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে তাতে সমস্যা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের নতুন বিধিনিষেধের আওতায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটের পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করতে পারবেন না। শুধু দেশটির মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ আছে। এমন বিধিনিষেধ দিয়ে গতকাল সোমবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে গত কয়েক মাসে কয়েক দফায় অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেয় দেশটি। তার আগে ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে দেশটি।
এদিকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারত বাতিল করার এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে। এর আগে বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ ছিল।