‘সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ’ বেশ আলোচনার রয়েছে। দেশের শোবিজ অঙ্গনের অন্য অভিনেত্রীদের মতো এতে অংশ নিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনুভা তিশাও। এ টুর্নামেন্টের নানা মুহূর্ত এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ক্রিকেট মাঠে অভিনেত্রীদের পোশাক নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন নেটিজেনরা। এ নিয়ে কথা বললেন তাসনুভা তিশা।   

তাসনুভা তিশা বলেন, “আমরা যারা মেয়েরা ক্রিকেট খেলছি, আমাদের নিয়ে অনেক সময় খুবই অপমানজনকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ইউটিউব বা অন্য মাধ্যমে খেলার পারফরম্যান্সের চেয়ে পোশাক নিয়ে আলোচনা বেশি হয়। কে কী পরল, কতটুকু পরল— এসব নিয়ে মন্তব্য করে আমাদের অসম্মান করা হয়। এসব প্রতিবেদনে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যেন আমরা খেলতে আসিনি, এসেছি শুধু পোশাক প্রদর্শনের জন্য।”

শিল্পীদের অজান্তে ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের কারণে সামাজিক-পারিবারিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এ তথ্য জানিয়ে তাসনুভা তিশা বলেন, “আমি নিজেই এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। মানুষ আমাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে আগ্রহী, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশে বলিউডের মতো পাপারাজ্জি সংস্কৃতি নেই। তার বদলে যা হয়, তা হলো হয়রানি। আমাদের অজান্তেই ভিডিও করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়, যা নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। আর এই কারণেই আমরা সামাজিকভাবে ভুগি। কারণ আমাদের পরিবার আছে, তারা এসব দেখে, পড়ে। ফলে তারা আমাদের কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর চায়।”

আরো পড়ুন:

স্ত্রীর বাড়ি ছাড়ার গুঞ্জনে কী বললেন শামীম?

পূর্ণিমার রায়ে জিততে পারেন ১৫ লাখ টাকা!

ওড়না বা হিজাব পরে খেলার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিশা। তার ভাষায়, “অনেকে আবার বলেন— ‘ঠিকমতো পোশাক পরলেই তো হয়।’ কিন্তু সেটা করলেও কমেন্ট থেমে থাকে না। শাড়ি পরলেও কথা হয়, আবার ওড়না পরলেও ছাড় নেই। আসলে কী পরব বুঝে উঠতে পারি না। খেলা তো খেলা, সেটা ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার জন্যই এক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, খেলতে গিয়ে ওড়না বা হিজাব পরে মাঠে নামার কোনো বাস্তব সুযোগই নেই।”

উভয় সংকটের কথা উল্লেখ করে তাসনুভা তিশা বলেন, “আমরা চেষ্টা করি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে না জড়াতে। এসব বিতর্কের শেষ নেই। আবার যে মেয়েটা বোরকা পরে, তাকেও অনেকে কটাক্ষ করে। শালীন পোশাকেও মানুষ বাজে মন্তব্য করতে ছাড়ে না। ফলে বোঝা কঠিন— কোনটা দৃষ্টিকটু আর কোনটা নয়।”

পোশাক নিয়ে ব্যক্তিগত পছন্দের কথা জানিয়ে তাসনুভা তিশা বলেন, “আমার ঢোলা টি-শার্ট ভালো লাগে, টাইট ফিটিং পছন্দ নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ— এটা আমার চরিত্র, শিক্ষা বা জ্ঞানের মানদণ্ড নয়।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদলের কর্মসূচিতে সবাইকে থাকতে অধ্যক্ষের নোটিশ

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি আজ বুধবার মতবিনিময় সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল আয়োজন করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীসহ কলেজের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সংগঠনটি। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রদলের আমন্ত্রণের উদ্ধৃতি দিয়ে সেখানে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকতে আলাদা নোটিশ দিয়েছে। এতে তৈরি হয়েছে সমালোচনা।

ছাত্রদলের সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি করা হয় গত ৫ জুন। এতে রজিবুল ইসলাম শাকিলকে আহ্বায়ক, আতিকুল ইসলাম বিপ্লবকে জ্যেষ্ঠ আহ্বায়ক ও রাফিউল আল আমিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এই কমিটি বুধবার সকালে মতবিনিময় সভা ও শুভেচ্ছা মিছিলের আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের প্যাডে এ-সংক্রান্ত একটি আলাদা নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশে লেখা ছিল, ‘বুধবার সকাল ১১টায় মুক্তমঞ্চে এই কলেজ শাখার নবগঠিত ছাত্রদলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে। এতে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ নোটিশে অধ্যক্ষ মো. শওকত আলম মীরের সই রয়েছে।

এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কলেজ শাখার সদস্য সচিব নিউতি সরকার বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর তীব্র নিন্দা জানাই। অতি উৎসাহী হয়ে অধ্যক্ষ যদি এ কাজ করে থাকেন, তাহলে তাঁর আসল রূপ পরিষ্কার হয়ে গেছে।’

ছাত্র ইউনিয়ন কলেজ শাখার আহ্বায়ক জয় ভৌমিক বলেন, ‘অধ্যক্ষকে সব সময় নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত। কিন্তু তিনি প্যাডে আমন্ত্রণ করায় একটি পক্ষের হয়ে কাজ করছেন বলে মনে করবে সবাই।’

ছাত্রদল নেতা আতিকুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আমাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু আমরা অধ্যক্ষকে কলেজ প্যাডে আমন্ত্রণ জানাতে বলিনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ শওকত আলম মীর বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে অফিস সহকারী নোটিশটি লিখে প্রচার করেছে। বিষয়টি জানার পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ