কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এবং তার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে মঙ্গলবার। গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমনের অফিস থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্চ মাসে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণের পর কার্নি তার প্রথম মন্ত্রিসভা গঠন করেন যা ছিল পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ৩৯ সদস্যের মন্ত্রিসভার তুলনায় অনেক ছোট। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের মাধ্যমে কার্নি তার প্রশাসনের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার পরিকল্পনা করছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি অটোয়ার রিডো হলে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমন নতুন মন্ত্রীদের শপথ পাঠ করাবেন।

অন্যদিকে ২৮ এপ্রিল কানাডার ফেডারেল নির্বাচনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মার্ক কার্নির বৈঠক হয়েছে। যেখানে মার্ক কার্নি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প আবারও কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিলে, কার্নি সরাসরি বলেন, ‌‘কানাডা বিক্রির জন্য নয়’। তিনি বলেন, কানাডার মালিক কানাডার প্রতিটি নাগরিক, আর এটা বিক্রির জন্য নয়। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি প্রতিবেশী দেশ কানাডার ওপরও ক্রমাগত শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি কানাডাকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবেও একীভূত করার ক্রমাগত ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্ক কার্নির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্ক কার্নি জানিয়েছেন, প্রথম বৈঠকেই সব সমস্যার সমাধান হয় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমরা বৈঠকে বসাতে পেরেছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শপথ

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশি শাহানা হানিফ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ‍ইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মায়া কর্নবার্গকে পরাজিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার নির্বাচন শেষে নিউ‍ইয়র্ক নগরের বোর্ড অব ইলেকশন শাহানাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। সাধারণত নিউইয়র্ক নগরে ডেমোক্রেট প্রার্থীরাই জয়লাভ করেন। আগামী ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনেও শাহানা হানিফ জয়লাভ করবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর সমর্থকদের।

প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ের পর শাহানা হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কঠিন একটি নির্বাচনে আমার ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এই শহরকে সুন্দর করার জন্য তাঁরা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন জোহানকে (ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী নির্বাচিত জোহরান মামদানি)। আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা সুন্দর একটি নিউইয়র্ক সিটির স্বপ্ন দেখি। আমি আমার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামর্থ্য অনুযায়ী এবং চাইল্ড কেয়ার নিয়ে আগের মতোই কাজ করে যাব। আমি চেষ্টা করব, আর কোনো মানুষ যেন এই শহর ছাড়তে বাধ্য না হয়।’

নিউইয়র্ক নগর ৫১টি ডিস্ট্রিক্ট নিয়ে গঠিত। তার একটিতে জয়লাভ করেছেন শাহানা হানিফ। প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ের পর তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহানার জয় ব্রুকলিনের রাজনৈতিক চেতনায় একটি নতুন ঢেউ। এই নির্বাচনে ব্যাপক অর্থসংস্থানের বিপরীতে জয়লাভ করেছে তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও ছোট ছোট দাতাদের ঐক্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জনগণ।’

আরও পড়ুননিউইয়র্কে ইতিহাস গড়া জোহরান কেন ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ ধন্যবাদ দিলেন১২ ঘণ্টা আগে

শাহানা হানিফের বাবা মোহাম্মদ হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে নিউইয়র্কে আসেন। প্রথমে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থাকতেন, পরে কেনসিংটনে চলে যান।

শাহানার জন্ম ব্রুকলিনে। তিনি কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান ও নারী অধিকার বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক চেতনার বীজ রোপিত হয়। ২০২১ সালে ২৯ বছর বয়সে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম নারী হিসেবে নিউইয়র্ক নগরের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুননিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি১৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ