কানাডায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথ মঙ্গলবার
Published: 10th, May 2025 GMT
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এবং তার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে মঙ্গলবার। গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমনের অফিস থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্চ মাসে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণের পর কার্নি তার প্রথম মন্ত্রিসভা গঠন করেন যা ছিল পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ৩৯ সদস্যের মন্ত্রিসভার তুলনায় অনেক ছোট। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের মাধ্যমে কার্নি তার প্রশাসনের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার পরিকল্পনা করছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি অটোয়ার রিডো হলে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমন নতুন মন্ত্রীদের শপথ পাঠ করাবেন।
অন্যদিকে ২৮ এপ্রিল কানাডার ফেডারেল নির্বাচনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মার্ক কার্নির বৈঠক হয়েছে। যেখানে মার্ক কার্নি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প আবারও কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিলে, কার্নি সরাসরি বলেন, ‘কানাডা বিক্রির জন্য নয়’। তিনি বলেন, কানাডার মালিক কানাডার প্রতিটি নাগরিক, আর এটা বিক্রির জন্য নয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি প্রতিবেশী দেশ কানাডার ওপরও ক্রমাগত শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি কানাডাকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবেও একীভূত করার ক্রমাগত ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্ক কার্নির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্ক কার্নি জানিয়েছেন, প্রথম বৈঠকেই সব সমস্যার সমাধান হয় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমরা বৈঠকে বসাতে পেরেছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শপথ
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।