ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমরা সবকিছুই খুব প্রফেশনালভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ (দ্বিতীয় খসড়া) এর ওপর একটি মতবিনিময় সভায় আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।


আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে। ‘ফরহাদ (ফরহাদ মজহার) ভাই, বারবার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের কথা বলেছেন। ট্রুথ জাস্টিস কমিশন অথবা ট্রুথ রিকনসিলিয়েশন কমিশনের খুব দরকার আছে। এটা সম্ভবত আমাদের দেশে ১৯৭২ সাল থেকে থাকলেই ভালো হতো। আমরা সবকিছুই খুব প্রফেশনালভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই। .

..আমরা ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করব।’ এজন্য প্রধান উপদেষ্টা এবং আমি সাউথ আফ্রিকায় যাব। ফিরে এসে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪২ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় শনিবার পর্যন্ত ৩৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে রবিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ভয়াবহ হামলা ইসরায়েলের, নিহত ২৫

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

গাজার মিডিয়া অফিসে যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক হামলা ও  বারবার অনুপ্রবেশের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

অফিস জানিয়েছে, শনিবার ২৭টি লঙ্ঘন রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে ২৪ জন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছেন। তারা এটিকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত মানবিক প্রোটোকলের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।

১০ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে- বেসামরিক নাগরিক, বাড়িঘর এবং বাস্তুচ্যুত তাঁবু লক্ষ্য করে ১৪২ বার গুলিবর্ষণ; ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করে ২১টি স্থল অনুপ্রবেশ; ২২৮টি বিমান, কামান ও স্থল হামলা এবং ১০০টি বেসামরিক বাড়িঘর ও কাঠামো ধ্বংস করা।

ইসরায়েলি এসব কর্মকাণ্ড ‘সম্মিলিত শাস্তি’ ও ধ্বংসকে আরো বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছে।

অফিসটি জানিয়েছে, অভিযান ও অনুপ্রবেশ করে ৩৫ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। কারণ তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল ‘গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ একটি রক্তাক্ত নতুন বাস্তবতা তৈরি করার চেষ্টা করছে।’

গাজা সিভিল ডিফেন্স অফিস জানিয়েছে, যে শনিবার গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়িঘর ও একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা যুদ্ধবিরতির নতুন লঙ্ঘন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল গাজার ৫০ শতাংশেরও বেশি এলাকা দখল করে রেখেছে।‘হলুদ রেখা’র মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের বসবাসের জায়গাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েনের এলাকাগুলোকে আলাদা করা হয়েছে। 

তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সম্প্রতি হলুদ রেখার ভেতরে ঢুকে পড়ে হামলা বাড়িয়েছে, বিশাল এলাকা ধ্বংস করেছে এবং কাছাকাছি এলাকাগুলোকে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বিপজ্জনক করে তুলেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।  হাজারের বেশি মানুষ নিহত

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যদ্ধে গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চলতি বছরের ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ