ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিও তা নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার কিছুক্ষণ আগে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, আজ বিকেলে পাকিস্তানের সামরিক অপারেশনসের মহাপরিচালক ভারতের তাঁর সমমর্যাদার কর্মকর্তাকে ফোন করেন। সেই আলোচনায় উভয় পক্ষ সম্মত হয় যে, আজ ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—সব ক্ষেত্রেই সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে।
উভয় দেশেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি: ট্রাম্প৩৪ মিনিট আগেআরও পড়ুনযুদ্ধবিরতির কথা জানালেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী১৬ মিনিট আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে কিন্ডারগার্টেনসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ৪৬ শিশুসহ নিহত ১১৪

আফ্রিকার দেশ সুদানে একটি কিন্ডারগার্টেনসহ একাধিক স্থানে আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১১৪ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি শিশু। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ হামলার ঘটনা ঘটে সাউথ করদোফান রাজ্যের কালোগিতে, গত বৃহস্পতিবার। কালোগির নির্বাহী পরিচালক গতকাল শনিবার আল–জাজিরাকে অন্তত ৭১ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন।

এর আগে গত শুক্রবার দিনের শেষে সুদানের চিকিৎসকদের জোট সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এক বিবৃতিতে জানায়, ঘটনাস্থলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা হয়েছে।

আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের হামলায় নিহত ৩০০১৫ জুলাই ২০২৫

সুদানের সরকার–সমর্থিত সুদানিজ আর্মড ফোর্সেসের (এসএএফ) দুটি সূত্র আল–জাজিরাকে জানায়, বৃহস্পতিবার ওই কিন্ডারগার্টেনে আরএসএফ প্রথমবার হামলা চালায়। পর উদ্ধারকাজে সেখানে জড়ো হওয়া বেসামরিক মানুষদের ওপর আরেক দফায় হামলা চালানো হয়।

এ ছাড়া শহরের হাসপাতাল ও একটি সরকারি ভবনে বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় একটি সূত্র।

সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক বলেছে, বেসামরিক মানুষ ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় একের পর এক হামলার ধারাবাহিকতায় চালানো এবারের হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।

সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন উয়েত শুক্রবার বলেন, নিজের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিশুদের হত্যা করা শিশু অধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিবদমান সব পক্ষের প্রতি অবিলম্বে এমন সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শিশুদের কখনোই সংঘাতের মূল্য চোকানো উচিত নয়।

সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক বলেছে, বেসামরিক মানুষ ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় একের পর এক হামলার ধারাবাহিকতায় চালানো এবারের হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।

আরও পড়ুনদারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা০৩ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানী খার্তুম থেকে আল–জাজিরার হিবা মরগান জানান, প্রাথমিক প্রতিবেদনে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, হতাহত মানুষের সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। নিহত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কেননা, হামলায় আহত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

নিজের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিশুদের হত্যা করা শিশু অধিকারের চরম লঙ্ঘন। শিশুদের কখনোই সংঘাতের মূল্য চোকানো উচিত নয়।শেলডন উয়েত, সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি

২০২৩ সাল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। দেশের কেন্দ্র ও পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে সেনাবাহিনী। আর আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলের, বিশেষ করে উত্তর করদোফান ও দারফুর অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব জোরদার করতে চাইছে। এসব সংঘাতে দরিদ্র দেশটির লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন০২ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ