শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় আটটি ব্র্যান্ডের ১৩৮৬ বোতল মদ জব্দ করেছে পুলিশ।

শনিবার (১০ মে) ভোরে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া রাবার বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মদ জব্দ করা হয়।। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত মদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আল আমীন বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়েছে। এসময় মাদক কারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ২

ঝিনাইদহে ট্রলির ধাক্কায় শিশু নিহত, মা হাসপাতালে

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের সন্তানদের তাহলে খুন করল কে, প্রশ্ন মা–বাবার

প্রায় ২০ বছর আগে ভারতে ‘বিভীষিকাময় বাংলো’ হিসেবে পরিচিত একটি বাড়ির কাছ থেকে ১৯ নারী ও শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছিল। এত বছরের পুরোনো এ ঘটনাটি আবার আলোচনায় এসেছে। কারণ, এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত দুজনের শেষজন সুরেন্দ্র কোলি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন।

১২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বিচারাধীন শেষ মামলায় সুরেন্দ্রকে খালাস দেন। নির্যাতনের মুখে তিনি নরমাংস ভক্ষণ ও মৃতদেহের সঙ্গে যৌনকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর এমন দাবি আদালত আমলে নিয়েছেন।

ডি৫-নিচু বাংলা ঘরটি—এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে; সুসজ্জিত, ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা বাড়ির সারির মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়ে। বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত পড়ে থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে এক আগুনের ঘটনায় পুড়ে যাওয়া চিহ্ন রয়েছে। ওই আগুনে অবকাঠামোটির কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছিল।

ঘটনাটি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরের। রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে নয়ডা এলাকায় পুলিশ একটি বাংলো খুঁজে পায়, যেখানে নারী ও শিশুদের হত্যা, অঙ্গহানি ও কিছু ঘটনায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাড়ির আশপাশ থেকে মানবশরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়ার পর ব্যবসায়ী মণীন্দ্র সিং পান্ধের ও তাঁর সহকারী সুরেন্দ্র কোলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিভাবকেরা পুলিশের বিরুদ্ধে দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের শিশুদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নির্বিকার থাকার অভিযোগ আনেন। এ ঘটনার মাধ্যমে ভারতের গভীর সামাজিক বৈষম্যও সামনে আসে। কারণ, অভিজাত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছিল এবং এর বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ছিল পার্শ্ববর্তী নিঠারি বস্তির মানুষ।

দুই আসামি সুরেন্দ্র কোলি ও মণীন্দ্র সিং পান্ধের (ডানে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ