শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় আটটি ব্র্যান্ডের ১৩৮৬ বোতল মদ জব্দ করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ মে) ভোরে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া রাবার বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মদ জব্দ করা হয়।। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত মদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
ঝিনাইদহে ট্রলির ধাক্কায় শিশু নিহত, মা হাসপাতালে
ঢাকা/তারিকুল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পেটে ভর দিয়ে ঘুমানোর প্রভাব
পেটে ভর দিয়ে ঘুমানো অনেকের কাছে আরামদায়ক মনে হলেও এটি শরীরের জন্য খুব ভালো নয়। ভারতীয় ডা. সুনীল কুমার কে-এর মতে, ‘‘ পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে শরীর দীর্ঘ সময় অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো অবস্থায় থাকে, যা মেরুদণ্ড, ঘাড়, পিঠ, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হজম—সব কিছুকে প্রভাবিত করতে পারে’’। পেটে ভর দিয়ে ঘুমানোর স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু প্রভাব রয়েছে।
স্বল্পমেয়াদী প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—
আরো পড়ুন:
শীতকালে কত সময় ধরে গোসল করা ভালো
ডিজির সঙ্গে তর্ক: নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ডা. ধনদেব
ঘাড়ে ব্যথা
পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ড ভুল অবস্থানে (misaligned) থাকে। ফলে পিঠে চাপ বা ঝিনঝিন ভাব তৈরি হতে পারে। এবং ঘাড়ে টান এবং পেশীর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
কাঁধে অস্বস্তি
৩০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে দীর্ঘস্থায়ী ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। নিচের পিঠে অতিরিক্ত চাপ অনুভূত হতে পারে। অঙ্গবিন্যাস পরিবর্তন হতে পারে এবং মেরুদণ্ডের সঠিক সমন্বয় কমে যাওয়া। বুকের পেশীতে টান ফলে কাঁধ সামনের দিকে ঝুঁকে যাওয়া
পিঠে অসাড়তা আসতে পারে
পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে স্নায়ুতে চাপ পড়ে ফলে হাতে ও পায়ে অসাড়তা হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
এক. পেটে ভর দিয়ে ঘুমালে বুক ও পেট চাপে থাকার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস অগভীর হয়ে যায়। এতে অক্সিজেন গ্রহণ কমে যেতে পারে এবং ঘাড়ের টান স্লিপ অ্যাপনিয়া আরও খারাপ করতে পারে।
দুই . পেট চেপে থাকার কারণে অ্যাসিডিটি বা অস্বস্তি বাড়তে পারে।
তিন. শরীরের ওজন রক্তনালী ও স্নায়ুতে চাপ দিলে।
চার. হাত, পা বা শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচল ধীর হয়ে যেতে পারে।
কীভাবে অভ্যাস পরিবর্তন করবেন?
পিঠের ওপর ভর দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য হাঁটুর নিচে বালিশ রাখতে পারেন। খুব নরম বিছানায় না শুয়ে শক্ত বা কম নরম গদি বেছে নিন। ঘাড়ের চাপ কমাতে পাতলা বালিশ ব্যবহার করুন অথবা বালিশ ছাড়া ঘুমান। ধীরে ধীরে পাশে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
শেষ কথা: যদি ঘুমের ভঙ্গি নিয়ে আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা বা উদ্বেগ থাকে, তবে পরিবর্তন আনার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস
ঢাকা/লিপি