শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় আটটি ব্র্যান্ডের ১৩৮৬ বোতল মদ জব্দ করেছে পুলিশ।

শনিবার (১০ মে) ভোরে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া রাবার বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মদ জব্দ করা হয়।। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত মদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আল আমীন বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়েছে। এসময় মাদক কারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ২

ঝিনাইদহে ট্রলির ধাক্কায় শিশু নিহত, মা হাসপাতালে

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১২ দিন ধরে ১৫ জেলে নিখোঁজ

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ উপকূল থেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১৫ জন জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।

যে নৌকায় জেলেরা মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, সেটির মালিক দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় গত সোমবার চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তাঁর থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি হয়নি।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ফারুক মাঝি (৪৫) চর মাদ্রাজ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাম্রাজ মৎস্যঘাট থেকে পাঁচ দিনের বাজার-সদাই নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে রওনা হন। এর পর থেকেই তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

নৌকার মালিক দেলোয়ার বলেন, ‘মাঝির ফোন বন্ধ পেয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আত্মীয়স্বজন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে থানায় খবর দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।’

চরফ্যাশন থানা-পুলিশ নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিখোঁজ ১৫ জেলের বাড়ি লালমোহন উপজেলার ধলীগৌড়নগর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন, ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফারুক মাঝি, আলম মাঝি, মো. মাসুদ, আবদুল মালেক, মো. ফারুক, নুরুল্লাহসহ মোট ১৫ জন। পরিবারগুলো বলছে, প্রতিদিন কান্না আর দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় কাটছে তাদের।

নিখোঁজ ফারুক মাঝির ছেলে আবদুর রাজ্জাক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘১০ তারিখে (নভেম্বর) “মা বাবার দোয়া” নামে আমাদের ফিশিং বোটটি ১৫ জন জেলে নিয়ে সাগরে গেছে। এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ নেই। আমরা আত্মীয়স্বজনকে জানিয়েছি, থানায় জিডি করেছি, ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি, কিন্তু কোনো খবর পাচ্ছি না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ