শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় আটটি ব্র্যান্ডের ১৩৮৬ বোতল মদ জব্দ করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ মে) ভোরে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া রাবার বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মদ জব্দ করা হয়।। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত মদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
ঝিনাইদহে ট্রলির ধাক্কায় শিশু নিহত, মা হাসপাতালে
ঢাকা/তারিকুল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবচেয়ে বড় ‘আফ্রো’ চুল তাঁর
দারুণ এক বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হয়েছেন জেসিকা এল মার্টিনেজ। মার্কিন এই নারী এখন সবচেয়ে বড় ‘আফ্রো’র মালিক।
‘আফ্রো’ হলো চুলের একটি বিশেষ ধরন বা স্টাইল। এটি অতি ঘন, ভীষণ কোঁকড়ানো একধরনের চুল। এই চুল সাধারণত মাথা কামড়ে থাকে এবং মাথার ওপর অনেকটা গোলাকার বলের মতো বেড়ে ওঠে। মূলত আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষের এমন চুল দেখতে পাওয়া যায়।
নিউইয়র্কের বাসিন্দা জেসিকার চুল ১১ দশমিক ৪২ ইঞ্চি লম্বা, ১২ দশমিক ২ ইঞ্চি চওড়া এবং চুলের পরিধি ৬ ফুট ২ দশমিক ৮৭ ইঞ্চি।
এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন এভিন ডুগাস। তিনি ২০১০ সালে জীবিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা আফ্রোর মালিক হন। এরপর টানা ১৫ বছর এভিন এই রেকর্ড ধরে রাখেন।
এত দিন পর অন্য কেউ তাঁর রেকর্ড ভাঙায় মোটেও অসুখী নন এভিন। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। জেসিকা তাঁর রেকর্ড ভেঙেছেন জানার পর এভিন নিজে এসে উত্তরসূরির মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন।
এভিন বলেন, ‘দিন শেষে আমরা এটাই আশা করি, মানুষ আমাদের দেখে ভাববে, আমি নিজেকে ভালোবাসি, তিনি নিজেকে ভালোবাসেন। আমরা দুজনেই শুধু মানুষকে তাঁর নিজেকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’
নিজেদের মধ্যে দুজন কোনো প্রতিযোগিতা করছেন না জানিয়ে এভিন আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা আসলে পুরোপুরি ভালোবাসা।’
নিজের আফ্রোর কারণে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানো জেসিকা একসময় নিজের চুল খুব একটা পছন্দ করতেন না। তিনি নিজেও বলেন, মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত তিনি স্যালনে গিয়ে নিজের চুল নিয়মিত সোজা করতেন। কলেজে ওঠার পর তিনি চুল সোজা করা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
জেসিকা বলেন, ‘আমি কলেজে প্রথম বর্ষে শেষবার চুল সোজা করি। খুব সম্ভবত সালটা ছিল ২০১৪। আমার মনে আছে, আমি চুল সোজা করেছিলাম, তারপর আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। নিজেকে আমার ১২ বছর বয়সী জেস মনে হয়েছিল এবং আমি জানতাম, এটা আমি নই। নিজেকে আমি বলেছিলাম, এটা তুমি নও, এখানে যা দেখা যাচ্ছে, তার কিছুই তুমি নও। তোমার একটি নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আছে।’
তারপর জেসিকা আর কখনো চুল সোজা না করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বছর জেসিকা রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় তিনজনের একটি দল তাঁর চুল সব দিক দিয়ে মেপে দেখে।
রেকর্ড গড়ার পর কেমন অনুভূতি হয়েছিল, তা জানাতে গিয়ে জেসিকা বলেন, ‘যখন আমি জানতে পারলাম, আমি রেকর্ড ভেঙেছি, আমি সত্যিই হতবাক হয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, এটি অবাস্তব বলে মনে হচ্ছিল।’
এই নারী বলেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। শৈশবের আমি এই আমিকে নিয়ে নিশ্চয়ই খুবই গর্বিত হব।’