শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় আটটি ব্র্যান্ডের ১৩৮৬ বোতল মদ জব্দ করেছে পুলিশ।

শনিবার (১০ মে) ভোরে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া রাবার বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মদ জব্দ করা হয়।। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত মদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আল আমীন বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়েছে। এসময় মাদক কারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ২

ঝিনাইদহে ট্রলির ধাক্কায় শিশু নিহত, মা হাসপাতালে

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়ের মাস উদ্‌যাপনে ঢাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ ছাত্রশক্তির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিজয়ের মাস উদ্‌যাপনে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা এ অভিযোগ করেন।

ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন, বিজয়ের মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক নানা আয়োজন, আলোকসজ্জা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান থাকে। কিন্তু চলতি বছর ক্যাম্পাসে সেই উৎসবমুখর পরিবেশ নেই।

প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) প্রতিনিধিদের অনাগ্রহে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রশক্তির এই নেতা।

তাহমিদ আল মুদ্দাসসির বলেন, ২১ ও ২২ নভেম্বরের ভূমিকম্প পরিস্থিতির পর প্রশাসন তড়িঘড়ি করে হল খালি করা ও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। মাত্র একদিনের নোটিশে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল, যা অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত হিসেবে সমালোচিত হচ্ছে। এরপর ছুটি বাড়িয়ে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হলেও হলগুলোর অবস্থা, কারিগরি নিরীক্ষার অগ্রগতি এবং সংস্কারকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বলেন, ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক প্রতিনিধির বক্তব্যে শহীদ ও নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের সংখ্যা ‘সহস্র’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার লাখের অধিক নারী নির্যাতিত হয়েছেন।

এই প্রেক্ষাপটে ‘সহস্র’ শব্দ ব্যবহার ইতিহাস বিকৃতির শামিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তাহমিদ আল মুদ্দাসসির বলেন, বিজয়ের মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিস্তব্ধতা উদ্বেগজনক। প্রশাসন ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হীনমন্যতা মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির সর্বোচ্চ অর্জন, এটি কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তির হাতে যেতে দেওয়া যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আরও বলেন, পরিকল্পনাহীন ছুটি সেশনজট বাড়াবে। পরীক্ষার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর ছেড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ