আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়াকে ইতিবাচক মনে করে বিএনপি
Published: 11th, May 2025 GMT
আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, একমাত্র বিএনপিই আইন-আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়েছে। দেরি হলেও সরকার সেই পথে এগিয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ অভিমত দেন দলের নেতারা। বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টায় বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে। বৈঠক শেষে বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা এসব তথ্য জানান।
এদিকে জুলাই গণহত্যার বিচার না হওয়ায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দেওয়া যাবে। গতকাল রাতে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে বিএনপির সম্মতি থাকবে। এ বিষয়ে আজ রোববার বিএনপি বিবৃতির মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানাবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আন্দোলন এবং সরকারের সিদ্ধান্ত ‘ফ্রেন্ডলি ম্যাচের’ মতো। কারণ নাগরিক পার্টি সরকারের দল।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েল ‘জলদস্যুর কাজ’ করেছে: এরদোয়ান
ইসরায়েলের গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌযান আটককে ‘জলদস্যুর কাজ’ আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। নিজের দল একে পার্টির এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ ধরনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে, এই গণহত্যাকারীরা গাজায় নিজেদের অপরাধ ঢাকতে পাগল হয়ে গেছে।
এরদোয়ান আরও বলেন, ‘গণহত্যাকারী (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহু সরকার শান্তির ন্যূনতম সুযোগ আসুক, সেটাও সহ্য করতে পারে না। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আবারও বিশ্ববাসীর সামনে গাজায় নির্মমতা ও ইসরায়েলের খুনি চেহারা তুলে ধরেছে। আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ছেড়ে যাব না। যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমরা আমাদের সব ক্ষমতা দিয়ে কাজ করে যাব।’
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভেঙে সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান অংশ নেয়। এ বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক আছেন।
গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে ছেড়ে আসা এই নৌবহর বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে গাজার কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছায়। ২০০৭ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরের ওই জলসীমা অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল মাধ্যরাতে নৌবহরের জাহাজে জাহাজে উঠে ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা অধিকারকর্মীদের আটক করে নিজেদের দেশের বন্দরে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনারা।
আরও পড়ুনগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল৩ ঘণ্টা আগেইতিমধ্যে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে বাকি সব জাহাজ আটক করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা বা আইনসম্মত নৌ অবরোধ লঙ্ঘন করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনসুমুদ ফ্লোটিলার ২৪ জাহাজ এগিয়ে যাচ্ছে, একটি গাজার জলসীমায়: দেখুন লাইভ ট্র্যাকারে৮ ঘণ্টা আগে