এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
Published: 11th, May 2025 GMT
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের মসৃণ ও সময়োপযোগী উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে উত্তরণের মূল অর্জনগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারী, তহবিলদাতা ও উন্নয়ন অংশীদারদের মনোযোগ এবং সমর্থন আমাদের রয়েছে। এখন আমাদের চলমান প্রচেষ্টাগুলোকে আরও জোরদার করতে হবে। দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপকে আরও বেগবান করতে হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সব অংশীদারদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের এমন একটি দল প্রয়োজন যারা অগ্নিনির্বাপকদের মতো কাজ করবে। যখন হুইসেল বাজবে, তাদের দ্রুত, দক্ষতার সঙ্গে ও বিলম্ব না করে সাড়া দিতে হবে এবং সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই প্রক্রিয়া তদারকিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভায় এলডিসি স্নাতকোত্তর কমিটি পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ চিহ্নিত করেছে, যা জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে। পদক্ষেপগুলো হলো:
১. সব প্রাসঙ্গিক সংস্থার অংশগ্রহণে জাতীয় একক জানালার পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
২. একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে জাতীয় শুল্ক নীতি ২০২৩ বাস্তবায়ন করা।
৩. জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪-এর অধীনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা, যার মধ্যে অবকাঠামো প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত।
৪. সাভার ট্যানারি গ্রামে বর্জ্য শোধনাগারের (ইটিপি) কার্যকর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা।
৫. মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) পার্কের পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট র পদক ষ প আম দ র এলড স
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র–চীন আলোচনায় বড় অগ্রগতি, ৯০ দিনের জন্য শুল্ক কমাতে ঐকমত্য
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনায় বড় অগ্রগতি হয়েছে। দেশ দুটি পরস্পরের পণ্যে যে বিপুল হারে শুল্ক আরোপ করেছিল, প্রাথমিকভাবে তারা ৯০ দিনের জন্য সেই শুল্ক অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সোমবার এক যৌথ ঘোষণায় মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর আগে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বের বৃহত্তম এই দুই অর্থনীতির প্রতিনিধিদের মধ্যে সপ্তাহজুড়ে টানা আলোচনা হয়েছে। এই সময় উভয় পক্ষ জানিয়েছে, আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।
যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, ১৪ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যে আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নিয়ে আসবে, এবং চীনও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চলমান রাখতে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া গড়ে তুলতে একমত হয়েছে। আলোচনায় চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির সহকারী প্রধানমন্ত্রী হি লিফেং এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চুক্তিভুক্ত উভয় পক্ষের সম্মতিতে এই আলোচনা পর্যায়ক্রমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে অথবা অন্য কোনো তৃতীয় দেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী উভয় পক্ষ প্রাসঙ্গিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলোতে বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক পর্যায়ের বৈঠক করবে; অর্থাৎ সমস্যা সমাধানে আরও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে দেশ দুটি।