পটুয়াখালীতে শহীদকন্যাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
Published: 12th, May 2025 GMT
পটুয়াখালী দুমকীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এক শহীদের মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ইমরান মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল এয়ারপোর্ট (বিমানবন্দর) থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমরান মুন্সি ধর্ষণ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং মেয়েটির কথিত প্রেমিক। তারা দু’জনই দুমকী সরকারি জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসি মো.
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কলেজ পড়ুয়া ওই মেয়ে ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার নলদোয়ানী গ্রামে নিজ বাড়িতে বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি যাবার পথে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছিল। এ ঘটনার পর মেয়েটি বাদী হয়ে সাকিব মুন্সি ও রিফাত মুন্সিকে আসামি করে দুমকী থানায় মামলা করেন। পরে ২৬ এপ্রিল ঢাকার মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। পরের দিন ২৭ এপ্রিল রাতে দুমকী উপজেলার নলদোয়ানী গ্রামে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার আদালতে সাকিব মুন্সি, রিফাত মুন্সি ও ইমরান মুন্সিকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন মেয়েটির বাবা। ১১ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
দুমকী থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ধর্ষণ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার কোদালপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কোদালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থানায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রধান আসামি করে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ‘‘যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সকলে বিগত দিনে স্বৈরাচারি হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’
কোদালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সালু মৃধা বলেন, ‘‘বিগত দিনে বিএনপি করার কারণে আমরা মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার আমাদের নাম একই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্র, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’’
ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মৃধা বলেন, ‘‘আমি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এমনকি, জুলাই আন্দোলনেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার নাম মিরপুর থানার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’
তিনি এর তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ঢাকা/আকাশ/বকুল