চবির সমাবর্তন বুধবার, সনদ পাবেন ২৩ হাজার শিক্ষার্থী
Published: 12th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার (১৪ মে)। এই সমাবর্তনে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাশ করা প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ পাবেন।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এ অনুষ্ঠানে তাকে ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করবে চবি।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চবির পঞ্চম সমাবর্তন নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাবর্তন কমিটি-২০২৫ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক মো.
আরো পড়ুন:
চবিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ই-কার সেবা
সমাবর্তন ঘিরে চবিতে নিরাপত্তা জোরদার, পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি অনুষদের অধীনে বর্তমানে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট এবং পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। শিক্ষক ৯৯৬ জন, কর্মকর্তা ৪৪৫ জন, কর্মচারী (তৃতীয় শ্রেণী) ৫৪৫ জন এবং কর্মচারী (চতুর্থ শ্রেণি) ৯৮৩ জন।
শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য ১৪টি হল রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য নয়টি, ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি এবং হোস্টেল রয়েছে একটি। স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি ছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল, পিএইচডি, এমডি, এমএস (মেডিক্যাল সায়েন্স) উচ্চতর ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
আগামী ১৪ মে চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ২৩ হাজার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। এ কনভোকেশনে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অতিথিসহ প্রায় ২৫ হাজার অতিথির বসার জন্য মূল প্যান্ডেল প্রস্তুত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সমাবর্তনের প্রধান বিষয় হচ্ছে সনদ প্রদান বা গ্রহণ। শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদানের জন্য উপাচার্য এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষরসহ সনদ প্রস্তুতির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।
এই সমাবর্তনে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক ও আমন্ত্রীত অতিথিসহ ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে। ১০০টি বড় বাস চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সকাল ৬টা থেকে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে যাতায়াত শুরু করবে। এছাড়া নির্ধারিত শার্টল ট্রেনে করেও সমাবর্তীরা ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন।
পঞ্চম সমাবর্তনে ৪২ জন পিএইচডি এবং ৩৩ জন এমফিল ডিগ্রিসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এর মধ্যে কলা ও মানববিদ্যা বিভাগে ৪ হাজার ৯৮৮ জন, বিজ্ঞান বিভাগে ২ হাজার ৭৬৬ জন, ব্যবসায় প্রশাসনে ৪ হাজার ৫৯৩ জন, সমাজ বিজ্ঞান ৪ হাজার ১৫৮ জন, জীববিদ্যা বিভাগে ১ হাজার ৬৮৫ জন, ইঞ্জিনিয়ারিং ৭৯৬ জন, আইন ৭০৩ জন, শিক্ষা ৩১৭ জন, মেরিন সায়েন্স ২৮৪ জন, চিকিৎসা ২ হাজার ২৯৬ জন বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক), বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থা ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম, ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ।
এবারের সমাবর্তনের প্রাক্কলিত বাজেট প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশী খরচ হচ্ছে প্যান্ডেল, সাজ-সজ্জা ও আসন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে। এরপর খাদ্য, গাউন, পরিবহন, সনদ, শৃংখলা, স্মরণিকা, প্রচার-প্রকাশনায়ও উল্লেখ্যযোগ্য খরচ হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ উপদ ষ ট র জন য সনদ প
এছাড়াও পড়ুন:
আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেমবর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।
ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণরিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।
মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগবর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।
আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স