গত ঈদে নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ইউটিউব ফিল্ম ‘তোমাদের গল্প’ দর্শকদের কাঁদিয়েছে, আবেগপ্রবণ করেছে। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ। এবার ঈদুল আজহার জন্য একসঙ্গে কাজ করলেন তারা। তাদের নতুন ইউটিউব ফিল্মের নাম রাখা হয়েছে ‘ক্ষতিপূরণ’। এটি পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।

‘ক্ষতিপূরণ’ নাটকের মাধ্যমে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বোন মালাইকা চৌধুরী আবার ছোট পর্দায় আসছেন। এবার অভিনেতা ইয়াশ রোহানের বিপরীতে দেখা যাবে তাকে। ‘ক্ষতিপূরণ’-এর গল্প আপাতত জানাতে চান না রাজ। তবে এতে যে বার্তা আছে সেটি বললেন তিনি, ‘কোনও মা প্রতিদানের আশায় সন্তানকে ভালোবাসে না। মায়ের মমতার কোনও মূল্য হয় না। এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে অমূল্য বিষয়।’

গত ২ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ‘ক্ষতিপূরণ’-এর শুটিং হয়েছে। এতে আরো অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, মনিরা আক্তার মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, সুষমা সরকার, এমএনইউ রাজু, সমু চৌধুরী, শরিফ ফারজানা বুশরা, আইমন সিমলা, ইকবালসহ অনেকে। ইউটিউব ফিল্মটির চিত্রগ্রহণ করেছেন রাজু রাজ। ‘ক্ষতিপূরণ’-এ থাকছে একটি নতুন গান। এটি গেয়েছেন ও সুর-সংগীত পরিচালনা করেছেন আরফিন রুমি। গানের কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সম্পাদনা ও রঙ বিন্যাস করেছেন রাশেদ রাব্বি। সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে মুক্তি পাবে ‘ক্ষতিপূরণ’।

মালাইকা চৌধুরীর প্রথম নাটক ‘সন্ধিক্ষণ’ মুক্তি পায় ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। এতে অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। এ নাটকটিও পরিচালনা করেন রাজ। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যাফাসিয়া: হঠাৎ কথা বলা বন্ধ হয়ে যাওয়া 

অ্যাফাসিয়া (Aphasia) বা হঠাৎ কথা বলা বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি স্নায়বিক সমস্যা, যার কারণ মস্তিষ্কের ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। সাধারণত স্ট্রোক, আঘাত বা অন্য কোনো স্নায়বিক রোগের কারণে এমনটা হতে পারে। সমস্যাটি মানুষের কথা বলার ক্ষমতা, লেখার ক্ষমতা ও ভাষা বোঝার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

অ্যাফাসিয়ার কারণ 

স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে বা রক্তক্ষরণ হলে অর্থাৎ স্ট্রোক করার পর ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

মাথায় আঘাত: গুরুতর আঘাতের ফলে মস্তিষ্কের ভাষার কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগ: কিছু স্নায়বিক রোগ, যেমন ডিমেনশিয়া, আলঝেইমার বা মস্তিষ্কের টিউমারের কারণেও অ্যাফাসিয়া হতে পারে।

অ্যাফাসিয়ার লক্ষণ 

অ্যাফাসিয়ার লক্ষণগুলো হলো—কথা বলার সময় শব্দ খুঁজে না পাওয়া বা ভুল শব্দ ব্যবহার করা, বাক্যের গঠন বা শব্দবিন্যাসে সমস্যা, অন্য কেউ কথা বললে বুঝতে অসুবিধা হওয়া, লেখা বা পড়ার সমস্যা, কথা বলার সময় শব্দ বা বাক্য ভুলভাবে উচ্চারণ করা, কথা বলার আগ্রহ কমে যাওয়া বা কথা বলতে না পারা।

অ্যাফাসিয়ার চিকিৎসা 

অ্যাফাসিয়ার কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে কিছু থেরাপির মাধ্যমে এর প্রভাব কমাতে এবং কথা বলার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়। স্পিচ থেরাপিস্টরা অ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কথা বলা, ভাষা বোঝা ও লেখার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করেন।

কিছু পরামর্শ 

অ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের প্রতি ধৈর্য ও সহানুভূতিশীল হতে হবে। তাঁদের কথা বুঝতে অসুবিধা হলে সহজ শব্দ ব্যবহার করুন এবং ধীরে ধীরে কথা বলুন। কথা বলার সময় তাঁদের সাহায্য করুন। যেমন ছবি বা অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করা। অ্যাফাসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ সহায়তা দরকার হতে পারে।

অধ্যাপক ডা. হারাধন দেবনাথ, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ