প্রথম দিন ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন খালেদ। দ্বিতীয় ফাইফার অনুমেয় ছিল। তবে একধাপ এগিয়ে খালেদ তুলে নিলেন ৬ উইকেট। তাতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচে বড় পুঁজি পায়নি নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল। ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সেঞ্চুরিতে শেষ বিকেল রাঙিয়েছেন সোহান।

বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম চারদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এদিন ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান তুলেছে দলটি। এর আগে নিউ জিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৫৬ রানে গুটিয়ে যায়।

নিউ জিল্যান্ডকে অল্প রানে থামিয়ে দিলেও ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলের প্রায় সব ব্যাটারই উইকেটে সেট হয়ে আউট হয়েছেন। কিন্তু সোহান ছাড়া ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তুলে ৮৮ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা।

সোহান ছাড়া স্বীকৃত বাকি সব ব্যাটারদের মধ্যে তিন টপ অর্ডার ব্যাটার এনামুল হক ২৪, জাকির হাসান ১২ এবং মাহমুদুল হাসান জয় ১৮ রান করেন। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন খেলেন ২৫ রানের ইনিংস। এছাড়া অমিত হাসান ২৫ ও নাঈম হাসান ২০ রান করেন।

এর আগে সকালে আগের দিনের ৮ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ দুটি উইকেট হারিয়ে আরও ৩০ রান যোগ করে নিউ জিল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস খেলেন মিচেল হেই। ৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক।

বাংলাদেশের হয়ে খালেদ ৫৯ রানের খরচায় ৬টি উইকেট নেন। আরেক পেসার এনামুল নেন ৩ উইকেট।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

আলোচনা ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া ঠিক হবে না: খেলাফত মজলিস

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া মিয়ানমারে মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের জন্য সঠিক হবে না বলে মনে করে খেলাফত মজলিস।

বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এমন আলোচনা উঠে এসেছে। বৈঠকে খেলাফত মজলিসের নেতারা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। কেননা, এর সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চলছে বলেও মনে করা হচ্ছে। সে জন্য দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে সবাইকে আরও পারস্পরিক সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

ন্যায়বিচারের স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে বর্তমান সরকার ‘যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে বলে মনে করছে খেলাফত মজলিস। দলটির নেতাদের মতে, এখন সময় জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার। শাপলা ‘গণহত্যার’ ঘটনায় কমিশন গঠন করে অবিলম্বে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে দলটি নির্বাচনের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ