মেহেরপুর সীমান্তে শিশুসহ ১৯ জনকে পুশব্যাক করল বিএসএফ
Published: 25th, May 2025 GMT
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ শিশুসহ ১৯ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে (পুশব্যাক) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। রোববার ভোরে মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়। তারা সীমান্ত পার হয়ে উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে অবস্থান করলে মুজিবনগর থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। খবর পেয়ে মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সেখানে যান। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী ৯ জন শিশু, ৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ রয়েছে।
তারা হলেন, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গমারি থানার কাঠগিরি গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে মোমেনা খাতুন, তার এক ছেলে, মোজাম্মেল হক (২৩), মোস্তাক আহমেদ (১৯), কাবিল (১১), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার জয় মঙ্গল (১১), মাথা গ্রামের জালালউদ্দিনের ছেলে মইনুল ইসলাম, স্ত্রী কাঞ্চন বেগম এবং ছেলে কারণ (১৪),রবিউল (৭) এবং মেয়ে মরিয়ম(৪), লালমনিরহাট সদর থানার চুঙ্গগাড়া গ্রামের মৃত গনেশ চন্দ্র পাপের ছেলে নিতাই চন্দ্র পাল, তার স্ত্রী গীতা রানী পাল, মেয়ে পার্বতী পাল (১৫), পূজা রানী পাল (৭)ও আরতী পাল (৩), কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানার কুঠিচন্দ্র খানা গ্রামের খলিলের ছেলে আমিনুল ইসলাম, স্ত্রী পারুল, দুই মেয়ে আমেনা (৪) ও আরফিনা (১১ মাস)। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে যান। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে বসবাস করতেন।
ছয়-সাত দিন আগে তাদের হরিয়ানা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর জেলে রাখা হয়। রোববার ভোরে মুজিবননগরের সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, তারা সীমান্ত পার হয়ে কেদারগঞ্জ বাজারে বিআরটিসি কাউন্টারে অবস্থান করেছিলেন। খবর পেয়ে তাদের আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম জ বনগর স ম ন ত প শইন ম জ বনগর
এছাড়াও পড়ুন:
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের শমসেরনগর এলাকার পচাভান্ডার (পচাকাটা) সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবুজ মিয়া (৩০) পচাভান্ডার গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তাঁর লাশ বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানিয়েছে বিজিবি।
এ সম্পর্কে লালমনিরহাট ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুজাহিদ মাসুম বলেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে তিনি জানতে পরেছেন, সবুজ মিয়ার লাশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মাথাভাঙ্গা থানা থেকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাটগ্রামের শমসেরনগর এলাকার পচাকাটা সীমান্তের ৮৬৪ ও ৮৬৫ নম্বর মূল সীমানা পিলারের মাঝামাঝি ভারতের ভেতরে বিএসএফের গুলিতে সবুজ মিয়া নিহত হন। তিনিসহ কয়েকজন গরু আনার জন্য ওই সীমান্তের কাছাকাছি শূন্যরেখায় প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতের ১৫৬ চেনাকাটা ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দলের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সবুজ মিয়া নিহত হন। অন্যরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে বিএসএফের সদস্যরা সবুজের লাশ নিয়ে যান।