দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু
Published: 22nd, June 2025 GMT
দুর্নীতির মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
রবিবার (২২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ৫ কোটি ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৩ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ১০৮ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে।
২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল স্ত্রীসহ দুলুর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহফুজা। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক নুর জাহান।
এ মামলায় ওই বছরের ২৯ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। পরে সেই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুলু। হাইকোর্ট দুলুর আবেদন গ্রহণ করে ২০১২ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি বাতিল করে দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক।
২০১৫ সালের ২ নভেম্বর আপিল বিভাগ দুদকের আবেদন গ্রহণ করে হাইকোর্টের রায় বাতিলের আদেশ দেন। এ আদেশের পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ দুলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
ঢাকা/এম/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মিজানুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার উপাদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মিজানুর রহমান ওই এলাকার মৃত শিক্ষক আবদুর রহিমের মেজ ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা মিজানুর মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে মিজানুর রহমান বাড়ির পাশে একটি বিলে শাপলা তুলতে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর হদিস পাননি। এরপর খুঁজতে খুঁজতে গতকাল রাত ৯টায় ওই বিলের পানিতে তাঁর ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে তাঁরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
মিজানুর রহমানের বড় ভাই সফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলেন। খুব সহজ-সরল স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। সাঁতার জানতেন না। ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবার গভীর শোকাহত।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।