পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের জঘন্য ও নজিরবিহীন লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এ ধরনের ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার অধিকার ইরানের রয়েছে।

“বিশ্বের ভুলে গেলে চলবে না যে, কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাঝপথে আমেরিকাই কূটনীতিকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে,” বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের বিরুদ্ধে একটি বিপজ্জনক যুদ্ধ শুরু করেছে।”

আরো পড়ুন:

ইরানকে আলোচনায় ফেরার আহ্বান যুক্তরাজ্যের

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানাল যেসব দেশ  

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “এটা এখন স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র কোনো নীতি বা নৈতিকতা মানে না এবং গণহত্যাকারী ও দখলদার এক শাসকগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তারা আইন বা অপরাধের তোয়াক্কা করে না।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন এবং এই অপরাধী শাসনের হাতে সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার এবং দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে।”

রবিবার (২২ জুন) ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে ইরানে ইসরায়েলের হামলায় সরাসরি যুক্ত হলো ওয়াশিংটন। তেহরানও এই হামলার সমুচিত জববা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি এখন কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে তাকিয়ে পুরো বিশ্ব।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

৫ হাজারের বেশি চলচ্চিত্রের সংগ্রহশালা এখন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ

চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহে রয়েছে পাঁচ হাজার ৪৪৫টি দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র।  এর মধ্যে সাদাকালো চলচ্চিত্র ৩১৮টি এবং রঙিন পাঁচ হাজার ১২৭টি। ফিল্ম আর্কাইভের ছয়টি অত্যাধুনিক ভল্টে এসব চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ফিল্ম আর্কাইভের সংগ্রহে থাকা সবচেয়ে পুরানো চলচ্চিত্র হল ‘দ্য লুমিয়র ব্রাদার্স’। বিদেশি এই চলচ্চিত্র ১৮৯৫ সালে নির্মিত হয়। ফিল্ম আর্কাইভের বিশাল সংগ্রহশালায় রয়েছে ‘ধ্রুব’ (১৯৩৪), ‘দেবদাস’ (১৯৩৫), ‘মুখ ও মুখোশ’ (১৯৫৬), ‘এ দেশ তোমার আমার’ (১৯৫৯), ‘আসিয়া’ (১৯৬০), ‘কখনো আসেনি’ (১৯৬১), ‘সূর্যস্নান’ (১৯৬২), ‘ধারাপাত’ (১৯৬৩), ‘সুতরাং’ (১৯৬৪), ‘অনেক দিনের চেনা’ (১৯৬৪), ‘দুই দিগন্ত’ (১৯৬৪), ‘রূপবান’ (১৯৬৫)-এর মতো হাজারও দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র।

চলচ্চিত্র ছাড়াও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সংগ্রহে রয়েছে চলচ্চিত্র-সংক্রান্ত গ্রন্থ, সাময়িকী, প্রকাশনা, গানের বই, পোস্টার, প্রচারপত্র, স্থিরচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী।

চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পাশাপাশি ফিল্ম আর্কাইভ অ্যানালগ ধ্রুপদী ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১৬০টি ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তর করা হয়েছে। 
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ধ্রুপদী ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তর করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ